এমআইটি, হার্ভার্ড৷ নাম শুনলে অনেকেরই মনে হয়, ইস্ আমি যদি সেখানে পড়তে পারতাম! তাদের এই স্বপ্ন অনেকটাই পূরণ করে দিতে এসেছে ‘এডএক্স’৷এটা একটা অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা যেখানে গেলে পাওয়া যাবে ঐ দুই বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের লেকচার৷
অনলাইনে শিক্ষাগ্রহণ৷ বিষয়টা অনেকদিন ধরেই হয়ে আসছে৷ এবার তাতে যোগ দিল অ্যামেরিকার দুই শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় – ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি) এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়৷ এই দুটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ বিনিয়োগে তৈরি করা হয়েছে এডএক্স নামের একটি অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা৷
‘এডএক্স’
আগামী সেপ্টেম্বর থেকে এডএক্স এর মাধ্যমে লেখাপড়া শুরু করতে পারবেন বিশ্বের যে কেউ৷ এজন্য প্রয়োজন শুধু ইন্টারনেট সংযোগ সহ একটি কম্পিউটার৷ এডএক্স’এ সাইন-আপ করতে কোনো টাকা-পয়সা লাগবে না বলে জানানো হয়েছে৷ তবে যে সফলভাবে কোর্স শেষ করতে পারবে তাকে ‘ক্রেডিট’ দেয়া হবে এবং সেসময় একট নির্দিষ্ট ফি নেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানান এই প্রকল্পের প্রধান অনন্ত আগারওয়াল৷ এমআইটি’র কম্পিউটার সায়েন্স ও আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স ল্যাবেরও প্রধান তিনি৷
এডএক্স এর সাইটে অধ্যাপকদের ভিডিও লেকচার পাওয়া যাবে৷ প্রতিটি লেকচারের সঙ্গে থাকবে কুইজ৷ এছাড়া শিক্ষার্থীরা প্রশ্নও করতে পারবেন৷ সঙ্গে সঙ্গে তার উত্তর দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে৷ থাকবে অনলাইনে আলোচনার সুযোগ৷ ই-টেক্সটবুক আর অনলাইনে ল্যাবরেটরি ব্যবহারেরও সুযোগ থাকবে এডএক্স’এ৷
এ বছরের শুরুতে এমআইটি একটি অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেছিল৷ যার নাম ‘এমআইটিএক্স’৷ এর আওতায় ‘ইনট্রোডাকশন টু সার্কিটস অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স’ কোর্সে নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হয়েছিল৷ আগারওয়াল বলেন, সারা বিশ্ব থেকে প্রায় এক লক্ষ বিশ হাজার শিক্ষার্থী এই কোর্স করার জন্য নাম নিবন্ধন করেছিল৷ যার মধ্যে এখনো প্রায় বিশ হাজার শিক্ষার্থী নিয়মিতভাবে কোর্সটা পড়ে যাচ্ছে৷
তিনি বলেন, শুরুতে এডএক্স এর মাধ্যমে চার বা পাঁচটি কোর্স অফার করা হবে৷ পরবর্তীতে সামাজিক বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগের বিভিন্ন কোর্সেও পাঠদানের ইচ্ছা তাদের রয়েছে বলে জানান আগারওয়াল৷ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ও যেন এডএক্স ব্যবহার করতে পারে সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি৷
তথ্যসূত্র: ডয়েচে ভেলে
>> ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করে রাখুন : youtube.com/edudaily24