জেনে রাখুন

অনলাইনে লার্নার কার্ড বা শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন

ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে সবার আগে লার্নার কার্ড বা শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করতে হয়। বর্তমানে বিআরটিএ অফিসে না গিয়েও অনলাইন থেকে লার্নার কার্ড বা শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করা যায়।

 

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) অনলাইনে বিভিন্ন সেবা দিতে সার্ভিস পোর্টাল (https://bsp.brta.gov.bd) চালু করেছে। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব সহজেই ঘরে বসে শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন-সহ মোটরযান সংক্রান্ত অনেক সেবা পাওয়া যাবে।

 

অনলাইনে লার্নারের জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে সবার প্রথমে বিআরটিএ এর সার্ভিস পোর্টালের https://bsp.brta.gov.bd/register লিংকে প্রবেশ করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার জন্য এই লিংকে গিয়ে আপনার নাম, জন্মতারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি নম্বর, মোবাইল নম্বর , ইমেইল এবং একটি পাসওয়ার্ড দিতে হবে। তারপর অপশনে ক্লিক করুন। এরপর আপনার মোবাইল নম্বরে একটা কোড যাবে, সেই কোড দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে হবে।

 

রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন করার পর ড্রাইভিং লাইসেন্স অপশনে ক্লিক করুন, এরপর শিক্ষানবিশ লাইসেন্সের জন্য “আবেদন” অপশনে ক্লিক করুন। এরপর আপনাকে লার্নার লাইসেন্স পাওয়ার জন্য কিছু নির্দেশনা দেওয়া হবে, সব কিছু চেক করে ওকে অপশনে ক্লিক করুন। আপনি কোন ধরনের লাইসেন্স করতে চান সেটা নির্বাচন করুন। তারপর পর্যায়ক্রমে আপনার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম-সহ অন্যান্য তথ্য দিয়ে ফরমটি ঠিকঠাক পূরন করুন। এই ক্ষেত্রে আপনার নাম ঠিকানা সব কিছুই অবশ্যই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে করবেন।

 

যদি শুধুমাত্র মোটরসাইকেলের জন্য লার্নার কার্ড বা শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্স করাতে চান তাহলে আপনাকে ৩৪৫ টাকা জমা দিতে হবে, আর যদি মোটরসাইকেল এবং প্রাইভেট কার উভয়ের জন্য লার্নার করাতে চান তাহলে আপনাকে ৫১৮ টাকা জমা দিতে হবে। আপনি চাইলে আপনার সুবিধামতো এলাকার বিআরটিএ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। এর জন্য আপনাকে এলাকা নির্ধারন করে দিতে হবে।

ফরমটি পূরণ করা হয়ে গেলে মেডিকেল সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয় পত্র, ইউটিলিটি বিলের ছবি আপলোড করতে হবে। মেডিকেল সার্টিফিকেটের ছবি আপলোড করার আগে তা অবশ্যই সত্যায়িত করিয়ে নিতে হবে। এরপর সংরক্ষন অপশনে ক্লিক করতে হবে। সব কিছু ঠিকভাবে সম্পন্ন করলে আপনি পেমেন্ট বা ফি পরিশোধের অপশন পাওয়া যাবে। সেখান থেকে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড কিংবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহজেই পেমেন্ট জমা দেওয়া যাবে। পেমেন্ট ঠিকভাবে জমা হলে সাকসেসফুল লেখা আসবে। এরপর লার্নার কার্ড প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। প্রিন্ট করার পাশাপাশি এর সফট কপি বা পিডিএফ কপি পেনড্রাইভ/কম্পিউটার বা মেমোরি কার্ডে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।

লার্নার কার্ড বা শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত দরকারি তথ্য :
https://bsp.brta.gov.bd/drivingLicense;jsessionid=4C72F3C60EF8A7CD82E6854A1B79BE9C.server1

Rate this post

প্রাসঙ্গিক

2 Comments

  1. আমি মোটরসাইকেল এর লার্নার কার্ড করতে চাই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page