‘গেরিলা’য় অভিনীতদের সংবর্ধনা দিলো ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি

নাহিদ হাসান
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যাল ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘গেরিলা’তে অভিনীতদের সংবর্ধনা দিয়েছে। পাশাপাশি এ চলচ্চিত্রটিও প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়।  গতকাল জাতীয় জাদুঘরে অয়োজিত প্রদশর্নী ও সংবর্ধনায়  সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী। এ অয়োজনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অবঃ), এবি. তাজুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিশিষ্ট গবেষক এ এস এম সামছুল আরেফিনসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ক্যাপ্টেন (অবঃ) এবি. তাজুল ইসলাম বলেন,  ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আজকে যে মহতী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন এজন্য আমি আমার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ও সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে অকৃত্রিম অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনারা সবাই জানেন স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্যে আমরা কি পরিমান ত্যাগ স্বীকার করেছি। আমরা ৩০ ল বাঙালীর রক্তের দামে, চার লক্ষ ৬০ হাজার মা-বোনের ইজ্জতের দামে, এক কোটি মানুষের দেশান্তরী ও দুর্দশার বিনিময়ে ও কোটি কোটি মা-বোনের ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে ও আদেশে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি ও নয়মাসের যুদ্ধের পরিণতিতে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ভূখন্ড পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র গেরিলার কুশীলবগণের সংবর্ধনা ও চলচ্চিত্রটি  প্রদর্শনের মাধ্যমে এ দেশের তরুন সমাজ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারছে, যা জানা খুব জরুরী।’
বিশেষ অতিথিরা বলেন,  আধুনিক প্রযুক্তি ও বাস্তব সম্মত শিা প্রদান করা অত্যন্ত দরকার। যে যত বেশী আধুনিক প্রযুক্তি ও বাস্তব সম্মত শিায় দতা অর্জন করবে সে তত বেশী আধুনিক বিশ্ব গড়তে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এ ধরনের জীবন ঘনিষ্ঠ ও কর্মমূখী শিক্ষা প্রদান এবং মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্রের (গেরিলা) কুশীলবগণের সংবর্ধনা প্রদান এর জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
সংবর্ধিত গুণীজনেরা বলেন,  মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘গেরিলা’র কুশীলবগণের সংবর্ধনা প্রদান করে এদেশের শিল্পী সমাজকে যে সম্মান প্রদান করল তার জন্য ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ একটি আদর্শ হয়ে থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও শিাবিদ বলেন,  আমাদের সকলকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে বাস্তব সম্মত শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে হবে।