গ্রামীণফোন পোস্টপেইড গ্রাহকরা ভোগান্তিতে

গ্রামীণফোন পোস্টপেইড গ্রাহকরা দীর্ঘ দিন ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা, মাই প্ল্যানের নামে চাপিয়ে দেওয়া মাসিক বিল, রিচার্জ অফার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়াসহ নানা সমস্যার অভিযোগ তুলেছেন গ্রামীণফোন গ্রাহকরা। এসব সমস্যার জেরে অনেকেই গ্রামীণফোন ব্যবহার বন্ধ করে দিচ্ছেন। এছাড়া মোবাইল নাম্বার পোর্টাবলিটি (এমএনপি) করেও অন্য অপারেটরে চলে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

যারা পোস্টপেইড/মাইপ্ল্যান হিসেবে সিম কিনেছেন তারা সিমটিকে প্রিপেইডে মাইগ্রেট করতে পারবেন না

কয়েকজন পোস্টপেইড গ্রাহক বলেন, “আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি পোস্টপেইড থেকে প্রিপেইড সুবিধা চালু করা। কিন্তু গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য হচ্ছে- প্রিপেইড থেকে যারা পোস্টপেইড/মাই প্ল্যানে মাইগ্রেট করে এসেছে, শুধুমাত্র তারাই আবার পোস্টপেইড থেকে প্রিপেইডে ফিরে যেতে পারবেন, অন্যরা অর্থাৎ যারা পোস্টপেইড/মাইপ্ল্যান হিসেবে সিম কিনেছেন তারা সিমটিকে প্রিপেইডে মাইগ্রেট করতে পারবেন না। অন্যান্য অপারেটররা যেকোনো পোস্টপেইড গ্রাহককে প্রিপেইডে মাইগ্রেটের সুযোগ দিলেও গ্রামীণফোন সব পোস্টপেইড গ্রাহককে এ সুযোগ দিচ্ছে না। এই ২০২০ সালে এসেও এমন অদ্ভূত কথা শুনতে হচ্ছে। অথচ এই পোস্টপেইড কনসেপ্ট আগে গ্রহণযোগ্য হলেও বর্তমানে এই পদ্ধতির কোনো দরকারই পড়ে না। এমনকি গ্রামীণ প্লল্লী ফোন (পোস্টপেইড) সিমগুলোকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রিপেইড করে দেওয়া হলেও অরিজিনাল এক্সপ্লোর বা মাইপ্ল্যান সিমকে প্রিপেইড করার সুযোগ রাখা হয়নি। তুলনামূলক বেশি কলরেট, কম সুবিধা দেওয়ার পরও ভালো নেটওয়ার্কের কারণে অনেকেই গ্রামীণফোন ছাড়তে চাননি। কিন্তু গ্রামীণফোনের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে তারাই চাচ্ছেন না গ্রাহকরা থাকুক!”

এদিকে, গতকাল ১৫ জুলাই ২০২০ তারিখে গ্রামীণফোনের মাইজিপি অ্যাপে আপডেট আনা হয়েছে। নতুন এই সংস্করণে অ্যাপের মাধ্যমে পোস্টপেইড থেকে প্রিপেইডে মাইগ্রেশন করার অপশন রাখা হয়েছে। কিন্তু এখানেও বিপত্তি! শুধুমাত্র প্রিপেইড থেকে পোস্টপেইড/মাইপ্ল্যানে আসা গ্রাহকরাই এই সুবিধা পাবেন। অরিজিনাল বা শুরু থেকে যারা পোস্টপেইডে ছিলেন, তারা এই প্রিপেইড মাইগ্রেশনের সুযোগ পাবেন না।

এই ব্যাপারটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় হচ্ছে।