লিখিত পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান—এ চারটি বিষয়ের প্রতিটিতে ২০ করে মোট ৮০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। বাকি ২০ নম্বর মৌখিকে।
বাংলা :
বাংলা সাহিত্যের জন্য সাধারণত বিখ্যাত কবি, লেখক ও সাহিত্যিক যেমন—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, জসীমউদ্দীন, বেগম রোকেয়া, কবি আল মাহমুদ, জহির রায়হান, জীবনানন্দ দাশ, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, প্রমথ চৌধুরী, মুনীর চৌধুরী, শামসুর রাহমান—এর জন্ম ও মৃত্যুবরণের সাল, জন্মস্থান এবং বিখ্যাত লেখাগুলো কী কী, এসবের ওপর প্রশ্ন থাকতে পারে। বিভিন্ন লেখকের ছদ্মনামও মনে রাখতে হবে। ব্যাকরণ অংশের জন্য অষ্টম, নবম, দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণের মৌলিক অংশগুলো পড়তে হবে।
যেমন—কারক, সন্ধি, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, সমাস, বিপরীত শব্দ, সমার্থক শব্দ—এগুলো থেকে প্রশ্ন আসে। তা ছাড়া বিগত ১০ বছরের প্রাইমারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নগুলোর সমাধান করলে অনেক প্রশ্ন কমন পাওয়া যাবে।
ইংরেজি :
ইংরেজিতে সাধারণত Grammar based প্রশ্ন করা হয়। সাহিত্য থেকে দু-একটি প্রশ্ন থাকতে পারে। এ অংশে ভালো করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো Parts of Speech অর্থাত্ Noun, Pronoun, Adjective, Adverb, Verb, Preposition থেকে প্রশ্ন থাকেই।
তা ছাড়া ব্যতিক্রমধর্মী Article-এর ব্যবহার থাকে, ঞবহংব-কে বাক্যের মাধ্যমে শনাক্ত করতে হয়, Right form of verb-এর সঠিক ব্যবহার, Voice-এর ক্ষেত্রে Active থেকে Passive আর Passive থেকে Active করার নিয়ম জানতে হবে।
Narration-এর ক্ষেত্রে Direct ও Indirect করার নিয়ম জানা থাকতে হবে।
Sentence-এর প্রকারভেদ ও উদাহরণগুলো শিখতে হবে। এখান থেকেও প্রায়ই প্রশ্ন থাকে। Translation, Synonym I Antonym-এর ওপরও জোর দিতে হবে।
গণিত :
গণিতে ভালো করতে হলে এতে দক্ষতার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে—‘শর্টকাট টেকনিক’ প্রয়োগ করে সাধারণ সময়ের অর্ধেক সময়ে সমাধান করতে পারা।
এর জন্য শর্টকাট মেথড বা শর্ট টেকনিক নামে বাজারে অনেক গণিত বই আছে; এগুলো চর্চার পাশাপাশি বেসিক ভালো করার জন্য (পঞ্চম-অষ্টম পর্যন্ত) গণিত বইয়ের ওপর দখল আনতে হবে।
পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় এখন আর নেই। এই অল্প সময়ের জন্য বিশেষ কিছু অধ্যায় আছে, যেগুলো থেকে অবশ্যই কমন আসে; সেই অধ্যায় বেশি চর্চা করতে হবে; যেমন—ঐকিক নিয়ম, শতকরা, লাভ-ক্ষতি, ভগ্নাংশ, দশমিকের অঙ্ক, বীজগণিতের সূত্র প্রয়োগের মাধ্যমে অঙ্কগুলো মান নির্ণয়, উত্পাদকে বিশ্লেষণ ইত্যাদি। এসব অংশ চর্চা করলে অঙ্কে ভালো করা যাবে।
সাধারণ জ্ঞান :
এ অংশে সাধারণত বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকেই বেশির ভাগ প্রশ্ন করা হয়, তবে কিছু আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থেকেও প্রশ্ন থাকে।
বাংলাদেশের বিষয়াবলির মধ্যে ভৌগোলিক জ্ঞান বাড়াতে হবে। কোন জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত এবং কোন ফসল কোন অঞ্চলে অধিক হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি, বাংলাদেশের ইতিহাসের পটভূমি, ১৯৫২ সালের ঘটনা থেকে ১৯৭১ সালের ঘটনা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সব তথ্য মুখস্থ রাখতে হবে।
বাংলাদেশের বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সম্পর্কেও প্রশ্ন থাকে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তুর মধ্যে আছে—বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা—আইন বিভাগ, প্রশাসনিক বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ইত্যাদির কাজ ও এখতিয়ার, কৃষি, অর্থনীতি, রাজনীতি ইত্যাদি।
এ অংশে আরো ভালো করার জন্য বাজারে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এবং বিশেষ সংখ্যাসহ বিভিন্ন সাধারণ জ্ঞানের বই চর্চা করতে হবে।
পরীক্ষার আগে বিগত ১০ বছরের প্রাইমারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের পাশাপাশি সরকারি কর্মকমিশন ও অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নগুলো সমাধান করলে অনেক প্রশ্নই কমন পাওয়া যাবে।
দরকারি তথ্য :
♦ প্রার্থী বেশি হওয়ায় এ বছর লিখিত পরীক্ষা হবে চার ধাপে। এর মধ্যে প্রথম ধাপের পরীক্ষা আগামী ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা ৩১ মে, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপের পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে।
♦ এক ঘণ্টাব্যাপী ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ) অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর করে কাটা যাবে।
♦ প্রার্থীরা নিজ নিজ প্রবেশপত্র পরীক্ষা গ্রহণের ৫ দিন আগে (admit.dpe.gov.bd) ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। এসএমএসের মাধ্যমে প্রার্থীদের পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে দেবে শিক্ষা অধিদপ্তর।
♦ জেলাভিত্তিক চার ধাপের পরীক্ষার সূচি পাওয়া যাবে এই লিংকে : https://bit.ly/2EjQNNQ
সূত্র : কালের কণ্ঠ । চাকরি আছে । ২২-৫-২০১৯