বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে ওয়ালটনকে জমি বরাদ্দ

বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি, কালিয়াকৈরে ওয়ালটনকে ৩ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। একই সাথে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে বেসরকারি হাই-টেক পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর ২০২০) বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে উক্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) জনাব হোসনে আরা বেগম এনডিসি এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) জনাব হোসনে আরা বেগম এনডিসি বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে ওয়ালটনকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, ওয়ালটন দেশ-বিদেশে জনপ্রিয় একটি নাম। ওয়ালটন বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে আসায় অন্য কোম্পানিগুলো উৎসাহিত হবে। তিনি বলেন, দেশে এই মুহূর্তে ৫টি হাই-টেক পার্ক বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে ৩৫৫ একর জমিতে বিভিন্ন কোম্পানি কাজ করছে। এখান থেকে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন পার্কগুলোতে বেসরকারি খাত থেকে প্রায় ৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এর বিপরীতে ২০১৬ সাল থেকেই হাই-টেক পার্ক থেকে আয় শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ৫০ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে। পাশাপাশি ১৩ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ১১০টিরও বেশি স্টার্টআপ ও বড় কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করেছে। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি এবং ১১টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর ও ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা রাখবে। ওয়ালটন কারখানাকে প্রাইভেট হাই-টেক পার্ক ঘোষণা দেয়ায় বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম বলেন, যেসব ইলেকট্রনিক্স এবং প্রযুক্তিপণ্য বাংলাদেশে তৈরি করার কথা কেউ চিন্তাও করতে পারেন নি, আমরা সেগুলো তৈরি করে আসছি। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশে তৈরি বিশ্বমানের ওয়ালটন পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে আমরা ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলবো। পাশাপাশি এখানে একটি গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পও স্থাপন করা হবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) এন এম সফিকুল ইসলাম, পরিচালক (কারিগরী) ফাহমিদা আখতার, উপ-পরিচালক (সংগ্রহ) জনাব মো. মাহফুজুল কবীর, ওয়ালটন ল্যাপটপ বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রকৌশলী লিয়াকত আলীসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Rate This Article

How would you rate this article?

Edu Daily 24
Edu Daily 24

Experienced writer with deep knowledge in their field.

Our Editorial Standards

We are committed to providing accurate, well-researched, and trustworthy content.

Fact-Checked

This article has been thoroughly fact-checked by our editorial team.

Expert Review

Reviewed by subject matter experts for accuracy and completeness.

Regularly Updated

We regularly update our content to ensure it remains current.

Unbiased Coverage

We strive to present balanced information.