বাউবি : ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সায়েন্স পড়ার সুযোগ
দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে রূপান্তরের জন্য কম্পিউটার শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি)। ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা ভেবে দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাউবি চালু করেছে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড অ্যাপলিকেশন (ডিসিএসএ) প্রোগ্রাম।
কেন ভর্তি হবেন: দূরশিক্ষণ শিক্ষা ব্যবস্থায় বাসায় অধ্যয়ন করে এবং টিউটোরিয়াল ক্লাসের মাধ্যমে ডিগ্রী অর্জন করতে পারবেন। উন্নত কোর্স কারিকুলাম ও ইংরেজী মাধ্যম হওয়ায় ডিপে্লামাটির গ্রহণযোগ্যতা বেশী। ইতোমধ্যেই এই প্রোগ্রামের সিলেবাস পরিবর্তন করে যুগপোযোগী করা হয়েছে। কম্পিউটার প্রোগ্রামিং কোর্সে এখন ‘সি’ পড়ানো হয় এবং অনেকে ‘সি++’ প্রোগ্রামিং-এ দক্ষতাও অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তাছাড়া কম্পিউটার বেসিক্স কোর্সে-এ ইন্টারনেট অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে অফিস অটোমেশন কোর্সে মাইক্রোসফট এক্সেস বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং কোর্স-এ অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ই-মেইল, ইন্টারনেট ইত্যাদি বিষয়ে পর্্যাকটিস করার সুযোগ দেয়া হয়। ফলে একজন শিক্ষার্থী নিজে নিজে ই-মেইল, ইন্টারনেট ব্যবহার করে চিঠিপত্র কম্পোজ, সিভি তৈরী এবং অন্যান্য তথ্য আদান প্রদান করতে পারে। অন্য দিকে ভিজুয়্যাল প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডিজাইনিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, লিনাক্স সিলেবাসে অনত্মভর্ুক্ত করা হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা এখন ডিসিএসএ প্রোগ্রাম সম্পন্ন করে নিজেরাই ওয়েব পেইজ ডিজাইন করতে সক্ষম হবেন। বাউবি ইতোমধ্যেই ৪ বছর মেয়াদী বিএসসি (অনার্স) ইন কম্পিউটার সায়েন্স প্রোগ্রাম চালু করেছে। এই প্রোগ্রামে ভর্তির ড়্গেত্রে ডিসিএসএ প্রোগ্রাম সম্পন্নকারীদের জন্য ১০% আসন সংরড়্গণ করা হয়েছে। তাই ডিসিএসএ প্রোগ্রাম ভালভাবে শেষ করে একজন শিক্ষার্থী সহজেই বিএসসি (অনার্স) ইন কম্পিউটার সায়েন্স প্রোগ্রামে অধ্যয়নের সুযোগ পেতে পারেন। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশে ইমিগ্রেশনের ক্ষেত্রে বাউবি’র এই ডিপ্লোমাটি খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
ভর্তির যোগ্যতা: যে কোন বিষয়ে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। উচ্চতর ডিগ্রীধারী প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারেন।
শিক্ষার্থী নির্বাচন পদ্ধতি: নির্বাচনের জন্য যে নিয়মে আপনার সূচক গণনা করা হবে, তা হচ্ছে- এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ প্রাপ্তদের জন্যে ৫ পয়েন্ট ও দ্বিতীয় বিভাগ প্রাপ্তদের ৩ পয়েন্ট করে ধরা হয় এবং তৃতীয় বিভাগ প্রাপ্তদের জন্যে কোন পয়েন্ট ধরা হয় না। প্রোগ্রামের নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতার অতিরিক্ত অনুমোদিত উচ্চতর ডিগ্রীর জন্যে মাত্র ১ পয়েন্ট ধরা হয়। এছাড়া বয়সের ক্ষেত্রে প্রতি ১০ বছরের জন্যে ১ পয়েন্ট করে গণনা করা হয়।
কোথায় ভর্তি হবেন: বাউবি’র ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্রে হতে প্রাপ্ত আবেদন ফরম জমাদানের মাধ্যমে এই প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে। এই কেন্দ্র সমুহ হচ্ছে: ঢাকা, রাজশাহী, চট্রগ্রাম, খুলনা, যশোর, সিলেট, বরিশাল, কুমিল্লা, রংপুর, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ ও বগুড়া। শিক্ষাথর্ীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে এসব আঞ্চলিক কেন্দ্রের অধীনে খোলা হয়েছে বেশ কয়েকটি স্টাডি সেন্টার। উলে্লখযোগ্য স্টাডি সেন্টার হল: ঢাকা প্রকেৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকেৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকেৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
মেয়াদ ও ভর্তির সময়: দেড় বছর (৩৫ ক্রেডিট) মেয়াদী এই প্রোগ্রামটিতে প্রতি বছর জানুয়ারীতে ছাত্র ভর্তি করা হয়। ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া ৮ ডিসেম্বর ২০১৪ থেকে ১৪ জানুয়ারী ২০১৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে।
কোর্সসমূহ: ৩৫ ক্রেডিটের এই প্রোগ্রামটিতে ১২টি কোর্স রয়েছে। কোর্স সমূহ হলো: কম্পিউটার বেসিক (ওয়েব পেইজ ডিজাইনসহ), কম্পিউটার প্রোগ্রামিং (‘সি’ প্রোগ্রামিং ল্যাগুয়েজ), অফিস অটোমেশন (এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেল, এমএস এক্সেস ইত্যাদি), ভিজুয়্যাল প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডিজাইনিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল সিষ্টেম এন্ড কম্পিউটার অর্গানাইজেশন, ডাটা বেস ম্যানেজম্যান্ট সিষ্টেম, মাইক্রোকম্পিউটার এন্ড মাইক্রোপ্রসেসর, অপারেটিং সিষ্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্কস, ডেস্ক-টপ-পাবলিশিং, মাইক্রোকম্পিউটার ট্রাবলসুটিং এবং একটি প্রজেক্ট। প্রতি কোর্সেই তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক ক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে।
ভর্তির জন্য বিস্তারিত তথ্য জানতে ৯২৯১১১১ নম্বরে ফোন করুন অথবা এই ওয়েবসাইট দেখুন- www.bou.edu.bd
লিখেছেন : মো. জাহাঙ্গীর হোসেন পাইক, বাউবি