
মেরিন একাডেমি ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২২-২০২৩ প্রকাশিত হয়েছে। ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে মেরিন ক্যাডেট প্রশিক্ষণ কোর্সে মেরিন একাডেমিতে ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর (dos.gov.bd)। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি (চট্টগ্রাম) সহ সরকারি-বেসরকারকারি মেরিটাইম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (মোট ৯টি) ভর্তির মাধ্যমে নটিক্যাল / ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেয়া যাবে।
কোর্সের নাম : | মেরিন ক্যাডেট প্রশিক্ষণ কোর্স ( নটিক্যাল / ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাডেট) |
---|---|
মোট আসন সংখ্যা : | ৫৯০টি |
কোর্সের নাম : | মেরিন ক্যাডেট প্রশিক্ষণ কোর্স ( নটিক্যাল / ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাডেট) |
আবেদনের শেষ তারিখ : | ৩১ জুলাই ২০২২ |
আবেদনের লিংক : | https://doscadet.solutionart.net অথবা http://dos.gov.bd |
এক নজরে :
মেরিন একাডেমির নাম, তালিকা ও আসন সংখ্যা
প্রতিষ্ঠানের নাম | সিট / আসন সংখ্যা |
---|---|
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম | পুরুষ ১৪০ জন ও মহিলা ২০ জন |
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, পাবনা | পুরুষ ৫০ জন |
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, বরিশাল | পুরুষ ৫০ জন |
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, রংপুর | পুরুষ ৫০ জন |
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, সিলেট | পুরুষ ৫০ জন |
মেরিন ফিশারিজ একাডেমি, চট্টগ্রাম | পুরুষ ৬৫ জন ও মহিলা ৫ জন |
ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম একাডেমি, ঢাকা | পুরুষ ৮০ জন |
ওয়েষ্টার্ণ মেরিটাইম একাডেমি, ঢাকা | পুরুষ ৪০ জন |
মাস মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম | পুরুষ ৪০ জন |
আবেদনের যোগ্যতা
- বয়স : ৩০ জুন ২০২২ তারিখে সর্বোচ্চ ২২ বৎসর (পুরুষ/মহিলা)।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা : মাধ্যমিক/সমমান (বিজ্ঞান) এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান (বিজ্ঞান) উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম যোগ্যতা জিপিএ ৩.৫০। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পদার্থ ও গণিত বিষয়ে পৃথক ভাবে জিপিএ ৩.৫০ এবং ইংরেজীতে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ অথবা IELTS গড় স্কোর ৫.৫ থাকতে হবে।
- ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থী : O লেভেলে ৫টি বিষয়ের মধ্যে ন্যূনতম ৩টিতে A গ্রেড এবং ২টিতে B গ্রেড থাকতে হবে এবং A লেভেলের জন্য নূনতম ২ টি বিষয়ে B গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ (উভয় পরীক্ষায় পদার্থ বিজ্ঞান এবং গণিতসহ) হতে হবে।
- শারীরিক মান (নূন্যতম) : উচ্চতা ৫’-৪”; মহিলা ৫’-২”। ওজন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার BMI চার্ট মোতাবেক হতে হবে (BMI নূন্যতম মান ১৭ এবং সর্বোচ্চ ২৭; যেমন ৫’-৪”; ৪৫-৭১ কেজি; ৫’-৬”; ৪৮-৭৬ কেজি)। দৃষ্টিশক্তি: নটিক্যাল ক্যাডেটের জন্য ৬/৬; ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাডেটের জন্য ৬/১২ (চশমাসহ অবশ্যই ৬/৬ হতে হবে)।
- বৈবাহিক অবস্থা : অবিবাহিত হতে হবে।
- নাগরিকত্ব : বাংলাদেশী পুরুষ ও মহিলা নাগরিক।
ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি ও মানবণ্টন
- ভর্তি পরীক্ষায় মোট নম্বর ৩০০। এর মধ্যে এমসিকিউ পরীক্ষায় ১০০, এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ১৫ গুন = ৭৫ নম্বর (সর্বোচ্চ) এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ২৫ গুন = ১২৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)।
- এমসিকিউ পরীক্ষা : সর্বমোট ২০০টি MCQ প্রশ্ন থাকবে পদার্থ বিজ্ঞান (২৫ নম্বর), গণিত (২৫ নম্বর), বাংলা (১০ নম্বর), ইংরেজি (২৫ নম্বর) ও সাধারণ জ্ঞান (১৫ নম্বর) বিষয়ের উপর। সময় ২ ঘণ্টা ও এমসিকিউতে মোট নম্বর ১০০। এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা প্রাথমিক শারীরিক যোগ্যতা পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবে।
- মৌখিক পরীক্ষা : প্রাথমিক শারিরীক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবে।
ভর্তি পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৫০%
অনলাইনে আবেদনের ধাপ ও নিয়ম
মেরিন একাডেমি, মেরিটাইম একাডেমি ও মেরিন ফিশারিজ একাডেমিতে অনলাইনে ভর্তি আবেদনের ধাপ ও নিয়ম (নির্দেশনা) দেওয়া হয়েছে ৯ পৃষ্ঠার এই PDF ফরমেটের গাইডলাইনে : https://doscadet.solutionart.net/media/application-guideline.pdf
ভর্তি পরীক্ষা
লিখিত ভর্তি পরীক্ষার তারিখ আবেদন জমা দেয়া প্রার্থীদের মোবাইল নাম্বারে এসএমএস পাঠিয়ে জানিয়ে দেবে কর্তৃপক্ষ।
মেরিন ক্যাডেট প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট
মনোনীত ক্যাডেটরা ২ বছর প্রশিক্ষণ শেষে প্রি-সি নটিক্যাল সায়েন্স অথবা প্রি-সি মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং সনদ পাবেন।
মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি ২০২২-২০২৩ – Marine academy admission circular 2022

মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরির সুযোগ কোথায়-কেমন
- মেরিন একাডেমি বা মেরিটাইম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্নাতক পর্যায়ে দুটি বিভাগ আছে। একটি মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অন্যটি নটিক্যাল সায়েন্স।
- মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং/নটিক্যাল সায়েন্স কোর্সে দুই বছর পড়াশোনা করে জাহাজের ইঞ্জিন/ডেক বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার/অফিসার হওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে প্রথমে শিক্ষানবিশ ইঞ্জিন ক্যাডেট/ডেক ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়ে এক বছর ‘সি টাইম’ অতিবাহিত করতে হবে। এরপর দেশে কিংবা বিদেশে (সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি) ‘সিওসি (সার্টিফিকেট অব কম্পটেন্সি) ক্লাস থ্রি’ পরীক্ষা দিয়ে পাস করে জাহাজে ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার (মেরিন)/থার্ড অফিসার (নটিক্যাল) হিসেবে চাকরি করা যাবে। এ ছাড়া মেরিন একাডেমিতে পড়াশোনা করলে এক বছর জাহাজের প্রশিক্ষণ শেষে আবার মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এক বছর মেয়াদি বা সপ্তম ও অষ্টম সেমিস্টার সম্পন্ন করে বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সনদ অর্জন করা যাবে। জাহাজে ইঞ্জিন ও ডেক বিভাগের সবচেয়ে বড় পদ যথাক্রমে চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও ক্যাপ্টেন (মাস্টার)।
- মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা নটিক্যাল সায়েন্সে পড়াশোনা করে জাহাজে চাকরি ছাড়াও দেশে পাওয়ার প্ল্যান্ট ও শিল্প-কলকারখানায় উচ্চ পদে চাকরি পাওয়া যায়। তবে এ ক্ষেত্রে অন্তত মাস কয়েক জাহাজে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার পাওয়া যাবে। এ ছাড়া বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সনদধারীরা অন্য যেকোনো সরকারি-বেসরকারি চাকরির জন্যও আবেদন করতে পারবেন। টেকনিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরিতে সার্টিফিকেটের পাশাপাশি কাজের অভিজ্ঞতা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়।
মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কেমন
চাকরির শুরুতে একজন ইঞ্জিন ক্যাডেট বা ডেক ক্যাডেট দেশি জাহাজে ৩০০ মার্কিন ডলার এবং বিদেশি জাহাজে ২৫০ থেকে ৩০০ মার্কিন ডলার বেতন পান। চাকরির শুরুতে নবীন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের বেশ কিছু অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয়। কোর্স শেষ করে প্রথম দিকে (অভিজ্ঞতা না থাকায়) চাকরি পেতে কিছুটা সমস্যা হয়। জাহাজ মালিক কিংবা মেরিন এজেন্সির মালিকদের অধীনে কম বেতনে চাকরি করতে হয়। বিদেশি জাহাজে চাকরি হয়েছে কিন্তু ভিসা হয়নি, এমনও অনেক উদাহরণ আছে।