২০২২ সালের নভেম্বরে গ্রাহকদের অতিরিক্ত ৩০ লাখ মোবাইল সিম কার্ড বন্ধ হতে পারে। সিম বন্ধের বিষয়ে নতুন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
Advertisement
Advertisement
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, দেশের যেকোনো নাগরিক একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ১৫টি সিম কার্ড কিনতে পারবেন। কিন্তু অনেকে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ৩০ সিম কার্ডও তুলেছেন। এসব সিম কার্ডের সংখ্যা ৩০ লাখের বেশি। এসব সিম পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
Advertisement
Advertisement
আরো জানা গেছে, নিয়মের বেশি অতিরিক্ত সিম যারা তুলেছেন তাদের মধ্যে ৭ লাখ গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে মোবাইল অপারেটররা। মোবাইল অপারেটররা গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে যাচ্ছেন তারা কোন সিমগুলো বন্ধ ও চালু রাখতে চাচ্ছেন। আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রাহকরা কোনো সিম বন্ধ বা চালু রাখবেন তা বাছাই করার সুযোগ পাবেন।
Advertisement
Advertisement
সিম কার্ডের বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রতি দেশের ১৮ কোটি ৪০ লাখ মোবাইল সংযোগ ব্যবহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য বিশ্লেষণ করেছে বিটিআরসি। বিশ্লেষণে দেখা যায়, সাত লাখ ২৩ হাজার গ্রাহক নির্ধারিত সংখ্যার চেয়েও অতিরিক্ত ৩০ লাখ সিম নিয়েছেন।
এনআইডি কার্ডের অধীনে সিম সংখ্যা যাচাই
Advertisement
একজন ব্যক্তির এনআইডি কার্ডের অধীনে মোট সিম সংখ্যা কতগুলো, তা যাচাই করতে মোবাইল থেকে ডায়াল করতে হবে *16001# নাম্বারে।
এরপর এনআইডির শেষ ৪টি ডিজিট দিয়ে এন্টার করলেই ফিরতি এসএমএসে এনআইডি কার্ডের অধীনে থাকা সবগুলো সিমের নাম্বার প্রদর্শিত হবে। কারো যদি এনআইডি কার্ড ও স্মার্ট এনআইডি কার্ড দুটি নাম্বারে থাকে, তাহলে এই দুটি আইডি নাম্বারের অধীনে থাকা সবগুলো মোবাইল সিম নাম্বারের তালিকা প্রদর্শিত হবে।