দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তির তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে শুরু হবে, চলবে ২১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ পর্যন্ত। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ওয়েবসাইটে (http://www.dshe.gov.bd) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
Advertisement
ভর্তি সংক্রান্ত এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সরকারি (সব) ও বেসরকারি (ঢাকা মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শূন্য আসনের বিপরীতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া গত ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Advertisement
Advertisement
ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠান পরবর্তী নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফলাফল সিট (অপেক্ষমাণ তালিকাসহ) ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। ফলাফল সিট অনুযায়ী ক্রমানুসারে আগামীকাল রোববার থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রমের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। অপেক্ষমাণ তালিকার ক্ষেত্রে ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
Advertisement
Advertisement
ভর্তির সময় নির্বাচিত শিক্ষার্থীর কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীর কাগজপত্র যাচাইকালীন শিক্ষার্থীর জন্মসনদের মূলকপি, জন্মসনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে), মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি ভালো করে দেখতে হবে।
মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে কোনো শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না। একই শিক্ষার্থী অনলাইনে জন্মনিবন্ধন নম্বর বারবার পরিবর্তন করে মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে একাধিকবার নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) জালিয়াতির কারণে তাকে ভর্তি করা যাবে না।
Advertisement
শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ জারিকৃত ভর্তি নীতিমালায় যেসব কোটা সংরক্ষিত আছে ভর্তির সময়ে উক্ত কোটাসমূহে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে। শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছাড়া অন্যান্য সংরক্ষিত কোটায় শূন্য আসন পূরণ না হলে সাধারণ নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অপেক্ষমাণ তালিকার ক্রমানুসারে উক্ত শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। কোনোভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।
সহোদর/সহোদরা বা জমজ ভাই-বোনের ভর্তি বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি ভর্তি নীতিমালা ২০২২-এ স্পষ্ট করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুযায়ী সহোদর/সহোদরা বা জমজ ভাইবোনকে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি আবেদন যাচাই-বাছাই করে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে এ সুবিধা কোনো দম্পতির সর্বোচ্চ দুই সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
Advertisement
সর্বোপরি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ জারিকৃত ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিধিবহির্ভূতভাবে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে এবং পরবর্তী সময়ে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন।