২০২১ সালের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এসাইনমেন্ট এর ৩য় সপ্তাহের নির্ধারিত কাজ বা প্রশ্ন ৩১ মার্চ ২০২১ তারিখে প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (dshe.gov.bd)। তৃৃতীয় সপ্তাহের নমুনা উত্তর বা সমাধান নিচে দেয়া হলো।
৩য় সপ্তাহে প্রকাশিত ৬ষ্ঠ শ্রেণির এসাইনমেন্টের বিষয় : গণিত, কৃষি শিক্ষা ও গার্হস্থ্য বিজ্ঞান।
উত্তর :
৬ষ্ঠ শ্রেণির গণিত ৩য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর :
এ্যাসাইনমেন্ট নং-১ : উদ্দীপক: তিনটি সংখ্যা ২৮, ৪৮ ও ৭২
(ক) ১ থেকে ৭২ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যাগুলি সনাক্ত কর;
ক এর উত্তর : ১ থেকে ৭২ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যাগুলি হলো : ২, ৩, ৫, ৭, ১১, ১৩, ১৭, ১৯, ২৩, ২৯, ৩১, ৩৭, ৪১, ৪৩, ৪৭, ৫৩, ৫৯, ৬১, ৬৭, ৭১;
(খ) ৮ ও ১২ সংখ্যা দুইটির সাধারণ ভাজক নির্ণয় কর;
খ. এর উত্তর : ৮ এর ভাজকসমূহ হলো:
- ১ X ৮ = ৮,
- ২ X ৪ = ৮
∴ ৮ এর ভাজকসমূহ হলো : ১, ২, ৪, ৮
আবার, ১২ এর ভাজকসমূহ হলো :
- ১ X ১২ = ১২,
- ২ X ৬ = ১২,
- ৩ X ৪ = ১২,
∴ ১২ এর ভাজকসমূহ হলো : ১, ২, ৩, ৪, ৬, ১২;
∴ ৮ ও ১২ সংখ্যা দুইটির সাধারণ ভাজক হলো : ১, ২, ৪; (উত্তর)
(গ) মৌলিক গুণনীয়কের সাহায্যে সংখ্যা তিনটির বৃহত্তম সাধারণ গুণনীয়ক নির্ণয় কর;
গ. এর উত্তর : মৌলিক গুণনীয়কের সাহায্যে সংখ্যা তিনটির বৃহত্তম সাধারণ গুণনীয়ক নির্ণয় করা হলো-
সংখ্যা তিনটি যথাক্রমে ২৮, ৪৮ ও ৭২;
এখানে,
২৮ = ১ X ২ X ২ X ৭
৪৮ = ১ X ২ X ২ X ২ X ২ X ৩
৭২ = ১ X ২ X ২ X ২ X ৩ X ৩
∴ ২৮ এর গুণনীয়কগুলো হলো = ১, ২, ৪, ৭, ২৮;
∴ ৪৮ এর গুণনীয়কগুলো হলো = ১, ২, ৩, ৪, ৬, ১২, ১৬, ৪৮;
∴ ৭২ এর গুণনীয়কগুলো হলো = ১, ২, ৩, ৪, ৬, ৮, ৯, ১২, ১৮, ২৪, ৩৬, ৭২;
∴ সংখ্যা তিনটির বৃহত্তম সাধারণ গুণনীয়ক হলো = ৪ (উত্তর)
(ঘ) ইউক্লিডীয় প্রক্রিয়ায় সংখ্যা তিনটির নূন্যতম সাধারণ গুণিতক নির্ণয় কর।
ঘ. এর উত্তর : ইউক্লিডীয় প্রক্রিয়ায় সংখ্যা তিনটির ন্যূনতম সাধারণ গুণিতক নির্ণয়-

(ঙ) দেখাও যে উদ্দীপকের ১ম ও ২য় সংখ্যাদ্বয়ের গুণফল, এদের ল.সা.গু ও গ.সা.গু এর গুণফলের সমান।
ঙ এর উত্তর : ১ম ও ২য় সংখ্যাদ্বয়ের গুণফল = ২৮ X ৪৮ = ১৩৪৪
১ম ও ২য় সংখ্যাদ্বয়ের ল.সা.গু. =

∴ ল. সা. গু. = ২ X ২ X ৭ X ১২ = ৩৩৬
১ম ও ২য় সংখ্যাদ্বয়ের গ.সা.গু.

∴ গসাগু = ৪
∴ ল.সা.গু এবং গ.সা.গু এর গুণফল = ৩৩৬ x ৪ = ১৩৪৪
সুতরাং, উদ্দীপকের ১ম ও ২য় সংখ্যাদ্বয়ের গুণফল, এদের ল.সা.গু এবং গ.সা.গু এর গুণফলের সমান। [দেখানো হলো]
৬ষ্ঠ শ্রেণির কৃষি শিক্ষা ৩য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর :
প্রশ্ন : ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা গ্রামের আদর্শ কৃষক আবদুর রহিম নিজ বাড়িতে ২টি গাভী, ১টি ষাঁড়, ২০টি হাঁস ও ২০টি মুরগি পালন করেন।
এ ছাড়াও বাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি , ফলমূল এবং পুকুরে নানা ধরনের মাছ চাষ করে থাকেন। তিনি মনে করেন মৌলিক চাহিদাগুলোর অধিকাংশই তার কার্যক্রম থেকে পেয়ে থাকেন।
তুমি কী মনে কর মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর সব কয়টি কৃষি কার্যক্রমের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব? যুক্তি দ্বারা তোমার মতামত উপস্থাপন কর।
উত্তর : ভূমিকা: ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা গ্রামের আদর্শ কৃষক আবদুর রহিম নিজ বাড়িতে ২টি গাভী , ১টি ষাঁড় , ২০টি হাঁস ও ২০টি মুরগি পালন করেন। এ ছাড়াও বাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ফলমূল এবং পুকুরে নানা ধরনের মাছ চাষ করে থাকেন। তিনি মনে করেন মৌলিক চাহিদাগুলোর অধিকাংশই তার কার্যক্রম থেকে পেয়ে থাকেন।
আমার মতামত: আমিও মনে করি মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর সব কয়টি কৃষি কার্যক্রমের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব।
যুক্তি দ্বারা এখানে মতামত উপস্থাপন করা হলো-
১. মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদা রয়েছে। এগুলো হলো- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো কৃষি কার্যক্রমের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব।
২. কৃষি একটি আদি, আধুনিক এবং সম্মানজনক পেশা। তাই সংগত কারণে কৃষির পরিধি ব্যাপক। ফসল উৎপাদন, পশু-পালন, হাঁস-মুরগি পালন, মৎস্য চাষ ও বনায়ন কৃষির অন্তর্ভুক্ত বিষয়।
৩. কৃষি আমাদের খাদ্য যোগান দেয়। ধান, গম, আলু, ভুট্টা, শাকসবজি, ফল-ফলাদি এসব খাদ্য ও পুষ্টি আমরা কৃষি থেকে পাই। যার মাধ্যমে আমাদের মৌলিক চাহিদা-খাদ্যের অভাব পূরণ হয়। পাট, তুলা ও রেশম থেকে কাপড় তৈরির সুতা পাই।
৪. যার ফলে আরেকটি মৌলিক চাহিদা পূরণ হয়। কাঠ, বাঁশ, খড়, শন, গোলপাতা ইত্যাদি থেকে গৃহনির্মাণ সামগ্রী ও আসবাবপত্র পাই।
৫. মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো কৃষি কার্যক্রমের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব।
৬. মৌলিক চাহিদা-বাসস্থানের চাহিদা পূরণ হয়। কাঠ ও আখের ছোবড়া, বাঁশ ইত্যাদি থেকে কাগজ পাই; যেটি শিক্ষার মূল উপকরণ।
৭. আমলকী, হরতকি, বয়রা, থানকুনি, বাসক ইত্যাদি থেকে ঔষধ পাওয়া যায়। আরেকটি মৌলিক চাহিদা পূরণ হয় কৃষি দ্বারা। খাদ্য উৎপাদন এবং বস্ত্র, বাসস্থানের উপাদান সরবরাহ করে থাকেন কৃষক।
৮. কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন কৃষিনির্ভর। আমাদের এই মৌলিক চাহিদাগুলো মেটানো হয় বিভিন্ন ফসল উৎপাদন, পশুপাখি প্রতিপালন, মৎস্যচাষ ও বনায়নের মাধ্যমে।
অতএব উপরোক্ত আলোচনা থেকে সহজেই প্রতীয়মান হয় যে, মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর সব কয়টি কৃষি কার্যক্রমের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব।
৬ষ্ঠ শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৩য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর :
প্রশ্ন / এসাইনমেন্ট নং-১ :
১। তোমার গৃহ পরিবেশের বিভিন্ন অংশের নামগুলো লেখ।
২। নিম্নে উল্লেখিত গৃহের অভ্যন্তরীণ স্থানগুলোকে ছকে সাজাও এবং সেই স্থানগুলোতে তোমার পরিবারের সদস্যরা কী কী কাজ করে তা উল্লেখ কর;
শোবার ঘর, ড্রইং রুম, রান্নাঘর, খাওয়ার ঘর, পড়ার ঘর, বাথরুম;
উত্তর :
ভূমিকাঃ গৃহ হল এমন একটা স্থান যেখানে আমরা পরিবার বদ্ধ হয়ে বাস করি। গৃহ আমাদের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমরা আমাদের বিভিন্ন রকম চাহিদা পূরণের জন্য সারাদিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকি। কাজের শেষে বিশ্রাম ও আরামের জন্য আমরা গৃহে ফিরে আসি । ফলে আমাদের সব ক্লান্তি দূর হয়।
গৃহে আমাদের খাদ্য, বস্ত্র ও পোশাক পরিচ্ছদ, শিক্ষা ,স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, বিনোদন, বিভিন্ন শখ ইত্যাদি পূরণ হয়। এখানে সবার প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও সহযোগিতা থাকার ফলে পারিবারিক বন্ধনটা ও মজবুত হয়।
প্রশ্ন-১ : তোমার গৃহ পরিবেশের বিভিন্ন অংশের নামগুলো লেখ।
উত্তর: প্রতিটি মানব শিশুর জীবনের প্রথম পরিবেশ হল গৃহ। আশেপাশের সব কিছু নিয়ে গৃহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। গৃহের ভিতর ও বাইরের সব অংশ নিয়েই গড়ে ওঠে গৃহপরিবেশ।
পরিবারের সদস্যদের সুখ-শান্তি এবং শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নির্ভর করে গৃহ পরিবেশের উপর।
গৃহপরিবেশের অংশগুলোর অন্তর্ভুক্ত হলো :
১. বিভিন্ন ঘর বা কক্ষ,
২. ছাদ/চালা,
৩. বারান্দা,
৪. আঙিনা ইত্যাদি।
প্রশ্ন-২ : নিম্নে উল্লেখিত গৃহের অভ্যন্তরীণ স্থানগুলোকে ছকে সাজাও এবং সেই স্থানগুলোতে তোমার পরিবারের সদস্যরা কী কী কাজ করে তা উল্লেখ কর :
শোবার ঘর, ড্রইং রুম, রান্নাঘর, খাওয়ার ঘর, পড়ার ঘর, বাথরুম।
উত্তর: গৃহ পরিবেশের বিভিন্ন অংশের নাম, অভ্যন্তরীণ স্থান এবং সেই স্থানগুলোতে সম্পাদিত কাজ।
গৃহে প্রবেশ করার দরজা থেকে শুরু করে বারান্দা, বিভিন্ন ঘর, বাগান, গাড়ি ইত্যাদি সবই গৃহের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন স্থান।
গৃহের কাজের উপর ভিত্তি করে গৃহের অভ্যন্তরীণ স্থানকে মোটামুটি তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-
- ১। আনুষ্ঠানিক স্থান
- ২। অনানুষ্ঠানিক স্থান
- ৩। কাজের স্থান।
নিম্নে উল্লেখিত গৃহের অভ্যন্তরীণ স্থানগুলোকে ছকে সাজাই এবং সেই স্থানগুলোতে আমার পরিবারের সদস্যরা যে যে কাজ করে তা উল্লেখ করি-
- শোবার ঘর,
- ড্রইং রুম,
- রান্নাঘর,
- খাওয়ার ঘর,
- পড়ার ঘর,
- বাথরুম ।
গৃহের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন স্থানের বিন্যাসঃ
আনুষ্ঠানিক স্থান–
গৃহের অভ্যন্তরীণ স্থানের নাম-
- ড্রইং রুম,
- খাওয়ার ঘর।
সম্পাদিত কাজ-
- অতিথি, বন্ধু বান্ধব এলে এই স্থানে তাদের অভ্যর্থনা জানাই, আপ্যায়ন করি।
- তাদের থাকার ব্যবস্থা করে থাকি।
অনানুষ্ঠানিক স্থান :-
গৃহের অভ্যন্তরীণ স্থানের নাম-
- শোবার ঘর,
- পড়ার ঘর।
সম্পাদিত কাজ-
- এখানে আমরা বিশ্রাম নেই, ঘুমাই।
- এসব স্থানে আমরা পড়াশোনা, সাজসজ্জা করি ইত্যাদি।
কাজের স্থান:
গৃহের অভ্যন্তরীণ স্থানের নাম-
- রান্নাঘর,
- বাথরুম।
সম্পাদিত কাজ-
- এ স্থানে রান্না করা, বিভিন্ন রকম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ , বিভিন্ন দ্রব্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ ইত্যাদি কাজ করা হয়।
- এছাড়াও খাবার পরিবেশন করার জন্য বাসনপত্র, গ্লাস, জগ, চামচ, ছুরি, কাঁটা চামচ, টেবিল ম্যাট ইত্যাদি যথাযথভাবে রাখার কাজগুলো হয়ে থাকে।
২৫ মার্চ ২০২১ তারিখ প্রকাশিত ২য় সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এসাইনমেন্টের বিষয় : ইংরেজি এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়। ষষ্ঠ শ্রেণির দ্বিতীয় সপ্তাহের সব বিষয়ের উত্তর আমাদের সাইটে ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।
ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি এসাইনমেন্ট সমাধান – ২য় সপ্তাহ :
Class 6 English Assignment (2nd week) Answer :
My First Day at School :
My first day at school is one of the most memorable days of my life. The day was Sunday 1 January 2012. I went to a nearby primary school with my father. I had many unknown fears. After reaching school, I saw some students were playing in the field. Then, we went to the Headmaster’s office. There we met some teachers. A teacher took us to my classroom. When my father left me in the class, I understood that I was in a new and unknown world. Soon all of the students joined the assembly. The headmaster delivered a short speech welcoming us at the beginning of the year. Then we returned to the class. After a while, our class teacher entered the class. He told us about many rules and important things.
After some time the first bell rang. Then a new teacher came. She was our English teacher. She told us an interesting story. I enjoyed the class. Really the teachers were very friendly to us. All my fear disappeared after the class. At last, the final bell rang. My father was waiting for me at the school gate. We came back home. I will never forget the sweet memories of the first day at school.
৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সমাধান – ২য় সপ্তাহ :
৬ষ্ঠ শ্রেণির ২য় সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট উত্তর :
১৯৫২ ভাষা আন্দোলন : ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষাকে বাংলা করার জন্য ছাত্ররা একত্রিত হয়ে মিছিল বের করে। সেই মিছিলে পাক বাহিনির গুলিতে রফিক, সালাম, বরকত, ভাববারসহ আরাে অনেকে শহীদ হয়। ভাষা আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু জেলে। থাকলেও তিনি চিরকূটের মাধ্যমে আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিয়েছে। ১৯৪৭ সালের ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তানের কর্মী সম্মেলনে গণতান্ত্রিক যুবলীগ গঠিত হয়। এর আগে ১৯৪৮ সালে ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর ভাষা বিষয়ক কিছু প্রস্তাব গৃহীত হয়। সম্মেলনের কমিটিতে গৃহীত প্রস্তাবগুলাে পাঠ করলেন সেদিনের। ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট সাধারণ নির্বাচন : ১৯৫৪ সালে ১০ই মার্চ পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ববঙ্গে যুক্তফ্রন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করে। কিন্তু পাকিস্তান শাষকগােষ্ঠী বাঙালির এই আধিপত্য মেনে নিতে পারেনি। মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে ৩০শে মে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়। | এটা ছিল বাঙ্গালিদের উপর জুলুমের এক বহিঃপ্রকাশ। এই নির্বাচনের পর বঙ্গবন্ধুকে ৭ মাস কারাবন্ধি করে রাখা হযেছিল।নিরাপত্তা ব্যবস্থার ন্যূনতম উন্নতি করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেনি। বাঙালিদের প্রতি জাতিগত এই বৈষম্যর বাস্তব চিত্র তুলে ধরে ১৯৬৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারী লাহারে আহত ‘সর্বদলীয় জাতীয় সংহতি সম্মেলন’ শেখ মুজিবর রহমান ৬ দফা দাবী উপস্থাপন করেন। ভাষণে তিনি বলেন, ‘গত দুই যুগ ধরে পূর্ব বাংলাকে যেভাবে শােষণ করা হয়েছে তার প্রতিকারকল্পে এবং পূর্ব বাংলার ভৌগােলিক দূরত্বের কথা বিবেচনা করে আমি ৬ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করছি।’ পরবর্তীতে এই ৬ দফা দাবি বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ হিসাবে বিবেচিত হয়।
৬৬ এর ৬ দফা আন্দোলন : ১৯৬৫ সালে পাকভারত যুদ্ধর সময়কাল বাস্তব ক্ষেত্রে প্রমাণিত হয় পূর্ব বাংলা সভাবে অরক্ষিত ছিল। স্পষ্ট হয়ে ওঠে পাকিস্তানের সামরিক শাসকগণ। সামাজিক, সাংস্কৃতিক নিপীড়ন ও এখলিভিক শােষাণর ধারাবাহিকতায় বাংলার নিরাপত্তা ব্যবস্থার ন্যূনতম উন্নতি করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেনি। বাঙালিদের প্রতি জাতিগত এই বৈষম্যর বাস্তব চিত্র তুলে ধরে ১৯৬৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারী লাহারে আহত ‘সর্বদলীয় জাতীয় সংহতি সম্মেলন’ শেখ মুজিবর রহমান ৬ দফা দাবী উপস্থাপন করেন। ভাষণে তিনি বলেন, ‘গত দুই যুগ ধরে পূর্ব বাংলাকে যেভাবে শােষণ করা হয়েছে তার প্রতিকারকল্পে এবং পূর্ব বাংলার ভৌগােলিক দূরত্বের কথা বিবেচনা করে আমি ৬ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করছি।’ পরবর্তীতে এই ৬ দফা দাবি বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ হিসাবে বিবেচিত হয়।
৬৯-এর গণ–আন্দোলন : পূর্ববাংলার স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনগুলাের সমন্বয়ে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে ওঠে। এই ধারাবাহিকতায় স্বায়ত্বশাসনের আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পথকে উন্মুক্ত করে। -সহিংস আন্দোলন সহিংসতার দিকে ধাবিত হতে থাকে। এই সময় রাজনৈতিক দলের ৬ দফা দাবি গণদাবিতে পরিণত হয়।
৭০-এর সাধারণ নির্বাচন : ২৫শে মার্চ ৬৯ সারা দেশে সামরিক শাসন জারির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তান্তর হলেও সামরিক সরকার গণ-দাবিকে উপেক্ষা করার মত শক্তি সঞ্চয় করতে পারেনি। তাই প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল আগা মােহাম্মদ ইয়াহিয়া খান সারা দেশে এক ব্যক্তি এক ভােটের নীতিতে সাধারণ নির্বাচন দিতে বাধ্য হন। ৭ই ডিসেম্বর ‘৭০ থেকে ১৯শে ডিসেম্বর’ ৭০ এর মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে। তফসিল ঘােষণা করা হয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে দেশব্যাপী এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ৬ দফা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের পক্ষে রায় প্রদান করে।এ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ জাতীয় পরিষদে ৩১০ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসন এলাভ করনিরস্তুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিষ কেন্দ্রীয় সরকার গঠন আন্তঃনাক্ত করে। নির্বাচন জয়লাভের পর পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল আসা মােহাম্মদ ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সরকার গঠন মত দিতে অস্বীকার করেন।
৭১ এর অসহযোগ আন্দোলন : একটি রাজনৈতিক দল জনগণের ভােটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের ম্যান্ডেট পেয়েছে। তারা সরকার গঠন করবে, এটাই ছিল বাস্তবতা। কিন্তু সামরিক শাসকগণ সরকার গঠন বা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে এক আলােচনা শুরু করে। কিসের জন্য আলােচনা, এটা বুঝতে বাঙালি। নেতৃবৃন্দের খুব একটা সময় লাগেনি। জাতীয় সংসদের নির্ধারিত অধিবেশন স্থগিতের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু ১লা মার্চ ১৯৭১ দেশব্যাপী অসহযােগের আহবান জানান। সর্বস্তরের জনগণ একবাক্যে বঙ্গবন্ধুর এই আহবানে সাড়া দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের সমস্ত প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে অচল করে তােলে। তারপর। ৭ই মার্চ শেখবুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘােষনা দেন এবং সংগ্রামের ডাক দেন। বসব মুজিবর রহমানের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত সুহণ করা হয়।
৬ষ্ঠ শ্রেণির ১ম সপ্তাহের এসাইনমেন্টের উত্তর :
মাধ্যমিক স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রথম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টের উত্তর লিখে ২৫ মার্চ ২০২১ তারিখের মধ্যে নিজ-নিজ স্কুলের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে।
মূল্যায়নের লক্ষ্যে ২০২১ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ১ম সপ্তাহের এস্যাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ হিসেবে ৫ টি বিষয়ের ৫ টি এস্যাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে।
৬ষ্ঠ শ্রেণির ২০২১ সালের প্রথম সপ্তাহের বাংলা ২য় পত্র এ্যাসাইনমেন্ট ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা
বিষয়ঃ বাংলা ব্যাকরণ, এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ নং-০১
অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরােনাম: ভাষা ও বাংলা ভাষা (ব্যাকরণ);
পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তু:
১.৫ ভাষার রূপ বৈচিত্র্য
- (জ) সাধু ও চলিত ভাষা
এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ
১. নিচের রচনাংশটুকু চলিত রীতিতে রূপান্তর কর:
তারপর স্বর্গীয় দূত পূর্বে যে টাকওয়ালা ছিল, তাহার কাছে গেলেন। সেখানে গিয়া আগের মতাে একটি গাভি চাহিলেন। সেও ধবল রােগীর মতাে তাহাকে কিছুই দিলনা।
তখন স্বর্গীয়দূত বলিলেন, আচ্ছা, যদি তুমি মিথ্যা বলিয়া থাক, তবে যেমন ছিলে আল্লাহ তােমাকেআবার তেমনি করিবেন।
তারপর স্বর্গীয়দূত পূর্বে যে অন্ধছিল, তাহার কাছে গিয়া বলিলেন, আমি এক বিদেশি।
বিদেশে আমার সম্বল ফুরাইয়া গিয়াছে। এখন আল্লাহর দয়া ছাড়া আমার দেশে পৌঁছিবার আর কোনাে উপায় নাই। যিনি তােমার চক্ষু ভালাে করিয়া দিয়াছেন, আমি তােমাকে সেই আল্লাহর দোহাই দিয়া একটি ছাগল চাহিতেছি;
যেন আমি সেই ছাগল-বেচা টাকা দিয়া দেশে ফিরিয়া যাইতে পারি।
এ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত নির্দেশনা:
সাধু ও চলিত রীতির বৈশিষ্ট্যসমূহ জানতে পাঠ্যবইয়ের ৭নং পৃষ্ঠা পড়তে হবে
মূল্যায়ন রুব্রিক্স:
- ১. সর্বনাম ও ক্রিয়াপদগুলির সঠিকভাবে রূপান্তর করতে পারলে অতি উত্তম;
- ২. সর্বনাম পদের আংশিক ও ক্রিয়াপদগুা পরিপূর্ণভাবে রূপান্তর করতে পারলে উত্তম;
- ৩. সর্বনাম ও ক্রিয়াপদগুলির আংশিক রূপান্তর করতে পারলে-ভালাে;
- ৪. সর্বনাম ও ক্রিয়াপদগুলির কোনাে রূপান্তর করতে না পারলে – অগ্রগতি প্রয়ােজন;
ষষ্ঠ শ্রেণির ২০২১ সালের প্রথম সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের এ্যাসাইনমেন্ট ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা
শ্রেণি: ৬ষ্ঠ, বিষয়ঃ ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা;
এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের ক্রম: এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ-১
অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরােনাম: প্রথম অধ্যায়: আকাইদ
পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তু:
- পাঠ- ১ (তাওহিদ);
- পাঠ-২ (কালিমা তায়্যিবা);
- পাঠ-৩ (কালিমা শাহাদাত);
- পাঠ-৪ (ইমান মুজমাল);
- পাঠ-৫ (আল আসমাউল হুসনা);
এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ:
তােমার চারপাশের নানা নিদর্শন উল্লেখসহ কালিমা তায়্যিবা ও কালিমা শাহাদাতের আলােকে আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদের উপর একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
নির্দেশনা:
তাওহিদ, কালিমা তায়্যিবা ও কালিমা শাহাদাতের ধারণা বিষয় শিক্ষক মাতা পিতা/ধর্মীয় জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের সাথে আলােচনা/ সহায়ক বই পুস্তক/ ইন্টারনেটের সহযােগিতা গ্রহণ;
মূল্যায়ন রুব্রিক্স:
১. অতি উত্তম:
- আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদের ধারণা ও নিদর্শন পরিপূর্ণ মাত্রায় উপস্থাপন;
- একত্ববাদ উপস্থাপনায় কালিমা তায়্যিবা কালিমা শাহাদাতের পরিপূর্ণ প্রতিফলন;
- পরিপূর্ণ মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা;
২. উত্তম :
- আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদের ধারণা ও নিদর্শন অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপস্থাপন;
- একত্ববাদ উপস্থাপনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে কালিমা তায়্যিবা ও কালিমা শাহাদাতের প্রতিফলন;
- অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা;
৩. ভালো:
- আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদের ধারণা নিদর্শনের আংশিক উপস্থাপন;
- একত্ববাদ উপস্থাপনায় কালিমা তায়্যিবা কালিমা শাহাদাতের আংশিক প্রতিফলন;
- উপস্থাপনায় আংশিক নিজস্বতা ও সৃজনশীল;
৪. অগ্রগতি প্রয়ােজন:
- আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদের ধারণা ও নিদর্শন উপস্থাপনার অভাব;
- একত্ববাদ উপস্থাপনায় কালিমা তায়্যিবা কালিমা শাহাদাতের প্রতিফলনের অভাব;
- উপস্থাপনায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতার অভাব;
>> সপ্তম শ্রেণির এসাইনমেন্ট ২০২১ : সব সপ্তাহের প্রশ্ন ও উত্তর
>> অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট ২০২১ – সব সপ্তাহের প্রশ্ন ও উত্তর
>> নবম শ্রেণির এসাইনমেন্ট ২০২১ : সব সপ্তাহের প্রশ্ন ও উত্তর
>>> ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির এসাইনমেন্ট ২০২১ (এক সঙ্গে সব ক্লাসের সপ্তাহের এসাইনমেন্ট)
>> সাপ্তাহিক এসাইনমেন্ট মূল্যায়ন ছক ২০২১
সব ক্লাসের এস্যাইমেন্ট
Good