ক্লাস এসাইনমেন্ট

নবম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান – ১৯ম সপ্তাহ – গণিত – অর্থনীতি

নবম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ (১৯তম সপ্তাহ) সমাধান এখানে দেয়া হলো। এই এসাইনমেন্ট (নির্ধারিত কাজ বা প্রশ্ন) প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও শিক্ষা অধিদপ্তর (dshe.gov.bd)। সাপ্তাহিক এসাইনমেন্ট বিতরণ গ্রিড অনুযায়ী ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্টের উত্তর লিখে সম্পন্ন করে জমা শিক্ষকের নিকট জমা দিতে হবে। সব বিষয়ের উত্তর / সমাধান নিচে দেয়া হলো।

১৯তম সপ্তাহে ৯ম শ্রেণির ৪টি বিষয়ের এসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে : গণিত, অর্থনীতি, উচ্চতর গণিত, গার্হস্থ্য

☑ Class 6-7-8-9 Assignment 2021 (19th Week) Download link (PDF, 21 Pages) : http://www.dshe.gov.bd/sites/default/files/files/dshe.portal.gov.bd/notices/7e4f9303_dce0_42c8_9378_278988408203/(%E0%A7%A7%E0%A7%AF%E0%A6%A4%E0%A6%AE%20%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B9).pdf

Class 9 assignment 19th week answer 2021 – Math

zu6dPOv
NgLZhSp

Class 9 assignment 19th week answer 2021 – Finance

UNBs7gY

>> ৯ম সপ্তাহে ৯ম শ্রেণির ৬টি বিষয়ের উপর এসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে : পদার্থ বিজ্ঞান, হিসাব বিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, জীববিজ্ঞান, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, পৌরনীতি ও নাগরিকতা।
>> ৯ম শ্রেণির ৯ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রকাশিত হয়েছে ২৭ জুন ২০২১।
>> Class 9- 9th week’s assignment (6 pages, PDF) : https://edudaily24.com/wp-content/uploads/Class-9-Assignment-9th-week-2021.pdf

>> পদার্থ বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট :
পদার্থ বিজ্ঞানের ক্রমবিকাশ কীভাবে ঘটেছে তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

* উত্তর শিগগিরই প্রকাশ করা হবে ।

>> হিসাববিজ্ঞান এসাইনমেন্ট 
কাল্পনিক তিনটি (মূলধন আনায়ন সংক্রান্ত , সম্পত্তি ক্রয় সংক্রান্ত, খরচ প্রদান সংক্রান্ত) লেনদেন লেখ এবং হিসাবখাত উল্লেখ করে হিসাব সমীকরণে প্রভাব একটি ছকে উপস্থাপন কর।। তােমার পরিবারের ৫টি লেনদেন ও ৫টি লেনদেন নয় এমন ঘটনা উল্লেখ কর।

* উত্তর শিগগিরই প্রকাশ করা হবে ।

>> বাংলাদেশ ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এসাইনমেন্ট 
বিশ্বসভ্যতা বিকাশে গ্রিক ও রােমান সভ্যতার ভুমিকা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন রচনা কর। (২৫০-৩০০ শব্দ)

* উত্তর শিগগিরই প্রকাশ করা হবে ।

>> জীব বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট 
কাগজ, সুতা এবং রং ব্যবহার করে একটি আদর্শ উদ্ভিদকোষের মডেল প্রস্তুত কর।

* উত্তর শিগগিরই প্রকাশ করা হবে ।

>>> ফিনান্স ব্যাংকিং এসাইনমেন্ট 
কেস স্টাডি : X লিমিটেড ,Y লিমিটেড ও Z লিমিটেড তিনটি একই ধরনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান X লিমিটেড এর অধিক  মুনাফা অর্জন হলেও পাওনাদারদের দাবী মেটাতে প্রায়শই বিরােধ সৃষ্টি হয়। Y লিমিটেড এর আয়ের তুলনায় মূলধন খরচ অধিক। Z লিমিটেড অন্যান্য বছর ভালাে মুনাফা অর্জন করলেও কোভিড – ১৯ পরিস্থিতিতে ব্যবসায়টি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
— কেস স্টাডিটির ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন করো।
(প্রতিবেদনে ভূমিকা, অর্থায়নের নীতির ব্যাখ্যা, কোন প্রতিষ্ঠানে কোন নীতির ব্যত্যয় ঘটেছে তার পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনার জন্য যথাযথ সুপারিশ ও উপসংহার থাকবে।)

* উত্তর শিগগিরই প্রকাশ করা হবে ।

>>> পৌরনীতি ও নাগরিকতা এসাইনমেন্ট :
‘রাষ্ট্রের উৎপত্তি ও রাষ্ট্র গঠনের উপাদান’এই শিরােনামে নিম্নের সংকেত অনুসরণ করে সর্বোচ্চ ৩০০ শব্দের মধ্যে একটি প্রবন্ধ লিখ।
সংকেত :
১। রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কে তােমার দৃষ্টিতে অধিক গ্রহণযােগ্য মতবাদ।
২। মতবাদটি অধিক গ্রহণযােগ্য মনে হওয়ার যৌক্তিক কারণ
৩। রাষ্ট্র গঠনের উপাদান সমূহ
৪। তােমার দৃষ্টিতে রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
৫। উক্ত উপাদানটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে হওয়ার যৌক্তিক ব্যাখ্যা

* উত্তর শিগগিরই প্রকাশ করা হবে ।


>> অষ্টম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট pdf download করতে ক্লিক করুন : https://edudaily24.com/%e0%a7%ac%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%a0-%e0%a7%ad%e0%a6%ae-%e0%a7%ae%e0%a6%ae-%e0%a6%93-%e0%a7%af%e0%a6%ae-%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%a3%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%8f%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a7%a8%e0%a7%a6%e0%a7%a8%e0%a7%a7/

>> ৭ম সপ্তাহে ৯ম শ্রেণির ৪টি বিষয়ের উপর এসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে : গণিত, রসায়ণ, ব্যবসায় উদ্যোগ, ভূগোল ও পরিবেশ।
>> ৯ম শ্রেণির ৬ষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রকাশিত হয়েছে ৭ জুন ২০২১।

ASSIGNMENT COVER PAGE >> https://edudaily24.com/%e0%a6%8f%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%95%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%9c/

৯ম শ্রেণির এসাইনমেন্ট – ভূগোল ও পরিবেশ – ৭ষ্ঠ সপ্তাহ / Class 9 GEOGRAPHY Assignment Answer :

ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্ট >> সৌরজগতের চিত্র অঙ্কন কওে “পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ”- অনধিক ১০০ শব্দের একটি প্রতিবেদন লিখ।

ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্ট এর উত্তর : ৯ম শ্রেণির আইসিটি এসাইনমেন্টের উত্তর – ৬ষ্ঠ সপ্তাহ / নবম শ্রেণির এসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি / Class 9 ICT Assignment Answer :

বরাবর,
প্রধান শিক্ষক,
আন্জুমান আদর্শ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় , নেত্রকোণা।

বিষয় : পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ – এই সম্পর্কে প্রতিবেদন।

জনাব, বিনীত নিবেদন এই যে, আপনার আদেশ নং ব.বি ১৩-৭ তারিখঃ ১৫ জুন ২০২১ অনুসারে “পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ শীর্ষক প্রতিবেদনটি নিম্নে পেশ করছি। জনাব, বিনীত নিবেদন এই যে, আপনার আদেশ নং ব.বি ১৩-৭ তারিখঃ ১৫ জুন ২০২১ অনুসারে “পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ” শীষর্ক প্রতিবেদনটি নিম্নে পেশ করছি। |

পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যের তুলনা :
সূর্য এবং তার গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, অসংখ্য ধুমকেতু ও অগণিত উল্কা নিয়ে সৌরজগত গঠিত। সূর্য সৌরজগতের কেন্দ্রে অবস্থান করছে। গ্রহগুলাে মহাকর্ষ বলের প্রভাবে সূর্যের চারদিকে ঘুরছে। সৌরজগতের যাবতীয় গ্রহ-উপগ্রহের নিয়ন্ত্রক হলাে সূর্য। সূর্যকে ভিত্তি করে সৌরজগতের যাবতীয় কাজ-কর্ম চলে। এই মহাবিশ্বের বিশালতার মধ্যে সৌরজগৎ নিতান্তই ছােট। সৌরজগতে সূর্যকে ঘিরে ঘুরছে আটটি গ্রহ। এদের মধ্যে পৃথিবী ও মঙ্গল হচ্ছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুটি গ্রহ।।

পৃথিবী (Earth) :
পৃথিবী আমাদের বাসভূমি। এটি সূর্যের তৃতীয় নিকটতম গ্রহ। সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব ১৫ কোটি কিলােমিটার। এর ব্যাস প্রায় ১২,৬৬৭ কিলােমিটার। পৃথিবী একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। তাই এখানে ৩৬৫ দিনে এক বছর। চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। পৃথিবী একমাত্র গ্রহ যার বায়ুমণ্ডলে প্রয়ােজনীয় অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও তাপমাত্রা রয়েছে যা উদ্ভিদ ও জীবজন্তু বসবাসের উপযােগী। সৌরজগতের গ্রহগুলাের মধ্যে একমাত্র পৃথিবীতেই প্রাণের অস্তিত্ব আছে।

মঙ্গল (Mars) :
মঙ্গল পৃথিবীর নিকটতম প্রতিবেশী। বছরের অধিকাংশ সময় একে দেখা যায়। খালি চোখে মঙ্গল গ্রহকে লালচে দেখায়। সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব ২২.৮ কোটি কিলােমিটার। এর ব্যাস ৬,৭৮৭ কিলােমিটার, পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় অর্ধেক। এই গ্রহে দিনরাত্রির পরিমাণ পৃথিবীর প্রায় সমান। সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরতে মঙ্গলের সময় লাগে ৬৮৭ দিন। মঙ্গল গ্রহের উপরিভাগে রয়েছে গিরিখাত ও আগ্নেয়গিরি। এ গ্রহে অক্সিজেন ও পানির পরিমান খুবই কম এবং কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ এত বেশি (শতকরা ৯৯ ভাগ) যে প্রাণীর অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয়। মঙ্গলে ফোবস ও ডিমােস নামে দুটি উপগ্রহ রয়েছে।

মঙ্গলকে কখনাে কখনাে লাল গ্রহও বলা হয়ে থাকে কারণ এর পৃষ্ঠ হচ্ছে লাল রঙের। এর পৃষ্ঠ ধূলিময় এবং এর খুবই পাতলা বায়ুমণ্ডল রয়েছে। মঙ্গল গ্রহের মাটির নিচে পানি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা এখনাে মনে করেন। বর্তমানে মানুষ মঙ্গলের সন্ধান করছে এটা দেখার জন্য যে, এটি জীবনকে সমর্থন করে কি না। আর পৃথিবীতে রয়েছে জীবনের জন্য উপযােগী উপকরণ ও পরিবেশ। আর তাই পৃথিবীর অনুরূপ মঙ্গল গ্রহে কিছু বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য থাকলেও এ কারণেই বিজ্ঞানীরা মঙ্গলে উপনিবেশ স্থাপনের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন। হয়তাে অদূর ভবিষ্যতে মানুষ মঙ্গলে তাদের বসতি স্থাপন করবে।

প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানা :
সাব্বির আহমেদ,
নবম শ্রেণি, বিভাগ : মানবিক,
রােল : ০১,
আন্জুমান আদর্শ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় , নেত্রকোণা ।
প্রতিবেদন তৈরির তারিখ : ১৬ জুন, ২০২১

৯ম শ্রেণির এসাইনমেন্ট – ব্যবসায় উদ্যোগ – ৭ষ্ঠ সপ্তাহ / Class 9 business entrepreneurship assignment answer :

ব্যবসায় উদ্যোগ এসাইনমেন্ট >> ব্যবসায় বিস্তারের ভিত্তি হলাে ব্যবসায়িক পরিবেশ’- বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।

 উত্তর :
তারিখ : ১৫ জুন, ২০২১

বরাবর,
প্রধান শিক্ষক,
জেলা স্বরণী উচ্চ বিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ।

বিষয় : ব্যবসায় বিস্তারের ভিত্তি হলাে ব্যাবসায়িক পরিবেশ – এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন।

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আপনার আদেশ নং বাউবি.৩৫-১ তারিখ ১৪/৬/২০২১ অনুসারে উপরােক্ত বিষয়ের উপর আমার প্রতিবেদনটি নিম্নে পেশ করলাম।

ব্যবসায় বিস্তারের ভিত্তি হলাে ব্যবসায়িক পরিবেশ

সূচনা : ব্যবসায়ের যেসব উপাদান ও অবস্থা ব্যবসায় কার্যাবলিকে প্রভাবিত করে, তাদের সমষ্টিকে ব্যবসায় পরিবেশ বলে। ব্যবসায়ে প্রভাব বিস্তারকারী প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক উপাদানগুলাের সমন্বয়ে ব্যবসায় পরিবেশ গঠিত হয়। যেসব অবস্থা বা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, তাদের ব্যবসায় কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং সুনিদিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে সহযােগিতা পায়, তাকে ব্যবসায় পরিবেশ বলে।

ব্যবসায়ের পরিবেশ সম্পর্কে কয়েকজন মনীষীর সংজ্ঞা উল্লেখ করা হলাে :
অধ্যাপক ফিলিপ কটলারের মতে, “পরিবেশ হলাে সমগ্র শক্তি এবং সত্তার সমন্বিত রূপ, যা বাহ্যিক এবং সম্ভাব্যভাবে কোনাে বিশেষ প্রতিনিধির সঙ্গে প্রাসঙ্গিকভাবে সম্পর্কযুক্ত।
এন মিশ্রের মতে, “যেসব বাহ্যিক উপাদান ব্যবসায় ও এর ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে, সেগুলাের সমষ্টিকে ব্যবসায় পরিবেশ বলে” ।
সি বি গুপ্তের মতে,“ব্যবসায় পরিবেশ বলতে বাহ্যিক শক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহের সমষ্টিকে বােঝায়, যেগুলাে ব্যবসায় কার্যক্রম ও তাদের ব্যবস্থাপকীয় নিয়ন্ত্রণকে প্রভাবিত করে”।

ব্যবসায় পরিবেশের ধারণা : ব্যবসায়িক পরিবেশ হলাে ব্যবসায় সংগঠন পরিবেষ্টিত সকল অবস্থা, উপাদান ও শক্তির সমষ্টি যা উক্ত ব্যবসায় বা তার ব্যবস্থাপকের কার্যকারিতা বা সফলতাকেই প্রভাবিত করে। সাধারনত রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, সরকারের নতুন নতুন নীতি ও আইন, কর ব্যবস্থা ও কাঠামাে, শ্রমিক অসন্তোষ, রাজনৈতিক ও অথনৈতিক অবস্থা, জ্ঞান বিজ্ঞান ও শিক্ষার উন্নতি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক , অথনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি ইত্যাদি উপাদান ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। ব্যবসায়িক পরিবেশ অনুকূল প্রতিকুল হতে পারে। কোন স্থানের ব্যবসায়ের উন্নতি নির্ভর করে ব্যবসায়িক পরিবেশের উপর। পরিবেশ ব্যবসায় বা শিল্প স্থাপনের গুরত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে বিবেচিত হয়।

ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ : প্রাকৃতিক পরিবেশের অধিকাংশ উপাদানই বাংলাদেশে ব্যবসায় স্থাপনের জন্য অনূকুল। দেশের প্রায় সকল অংশই নদী বিধৌত। ছােট বড় মিলিয়ে এদেশে মােট ২৩০ টি নদী রয়েছে। ফলে সহজেই এখানে কৃষিজাত বিভিন্ন শিল্প ও ভােগ্য পণ্যের কাঁচামাল উৎপন্ন করা সম্ভব। অন্যদিকে নদী পথে ব্যবসায়িক পণ্য পরিবহন ও খরচ কম। তবে অনেক নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে অনেক নদীতে চর পড়ে নদী পথ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ব্যবসায় বা শিল্প স্থাপনের প্রয়ােজনীয় প্রাকৃতিক গ্যাস এদেশে বিদ্যমান। দেশে বিদ্যমান খনিজ, কয়লা, চুনাপাথর, কঠিন শিলা, খনিজ তৈল শিল্প বিকাশের সহায়ক। এ সকল প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করতে পারলে দেশের ব্যবসায় বাণিজ্যসহ অথনৈতিক উন্নীত ত্বরান্বিত হবে। অসংখ্য নদী বিধৌত ও সমুদ্রবেস্টিত হওয়ায় মৎস্য শিল্প বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ এখানে বিদ্যমান রয়েছে।

সামাজিক পরিবেশ : এদেশের মানুষ জাতিগত ও ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে উদার, পরিশ্রমী এবং সৃজনশীল। অতীতে জাহাজ নির্মাণ করে, মসলিন কাপড় উৎপাদন করে এদেশের মানুষ তাদের প্রতিভা ও পরিশ্রমের স্বাক্ষর রেখেছেন। সােনারগাঁয় এক সময় ব্যবসায়, শিক্ষা দীক্ষা, কৃষি, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক শিল্পে, কার শিল্পে ছিল বিশ্ব সেরা। বর্তমানেও জামদানী শাড়ী তৈরি, বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে মুখস্থ নির্ভরতা থেকে বের করে আরও দক্ষ ও সৃজনশীল করতে পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিল্প বাণিজ্য গবেষণায় আরও বেশী সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারবে। সাথে সাথে ব্যবসায় বানিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বৃদ্ধি করতে পারবে ।

অর্থনৈতিক পরিবেশ : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উপাদানগুলাের কয়েকটির ভিত্তি বেশ মজবুত হলেও অনেক গুলাের ভিত্তি তেমন সুদৃঢ় নয়। চাহিদার তুলনায় প্রয়ােজনীয় মূলধনের অভাব, গ্রামীন জনগনের ব্যাংকিং সেবা ও ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্র শহরের তুলনায় কম। প্রশাসনিক জটিলতা, দালাল শ্রেণীর লােকদের হয়রানি, দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতি ইত্যাদি প্রতিকূল অবস্থা কাটাতে পারলে বাংলাদেশ ব্যবসায় বিকাশ আরও দ্রুত অগ্রসর হতে পারবে। এর জন্য প্রয়ােজন গ্রামে গঞ্জে ব্যাংকিং ঋণ সুবিধা পৌছে দেওয়া এবং সহজ করা।

উপসংহার : উপরােক্ত আলােচনায় আলােচিত উপাদানগুলাে অনুকূলে থাকলে ব্যবসায় পরিবেশের উন্নয়ন ঘটে। আবার উপরােক্ত পরিবেশের উপাদানসমূহ প্রতিকূল হলে ব্যবসায় পরিবেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে অর্থ বিনিয়ােগ করে এবং ব্যবসায় পরিচালনা করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করে। যা সমাজ, রাষ্ট্র, তথা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানা : সুমাইয়া জাহান
নবম শ্রেণি, বিভাগ : ব্যবসায় শিক্ষা
রােল : ০১
জেলা স্বরণী উচ্চ বিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ
প্রতিবেদন তৈরির তারিখ : ১৬ জুন, ২০২১

*** ৯ম শ্রেণির ৭ম সপ্তাহের গণিত ও রসায়ন এসাইনমেন্টের উত্তর শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।


>> ৬ষ্ঠ সপ্তাহে ৯ম শ্রেণির ৪টি বিষয়ের উপর এসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে- আইসিটি, পদার্থবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা
>> ৯ম শ্রেণির ৬ষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রকাশিত হয়েছে ৭ জুন ২০২১।

Class 9 Assignment 2021 – 6th week – ICT – Physics – Accounting – History / ৯ম শ্রেণির এসাইনমেন্ট ২০২১ – আইসিটি, পদার্থবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা – ৬ষ্ঠ সপ্তাহ :

৯ম শ্রেণির এসাইনমেন্ট ২০২১ - আইসিটি, পদার্থবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা - ৬ষ্ঠ সপ্তাহ -  Class 9 Assignment 2021 - 6th week - ICT - Physics - Accounting - History
Class 9 Assignment 2021 – 6th week

৯ম শ্রেণির আইসিটি এসাইনমেন্টের উত্তর – ৬ষ্ঠ সপ্তাহ / নবম শ্রেণির এসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি / Class 9 ICT Assignment Answer :

>> আইসিটি এসাইনমেন্ট (৬ষ্ঠ সপ্তাহ) >> বর্তমানে কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষা। কার্যক্রম চলমান রাখায় ই-লার্নিং এর ভূমিকা’বিষয়ক ২৫০ শব্দের মধ্যে একটি প্রতিবেদন তৈরি করো।

উত্তর : বর্তমানের কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখায় ই-লার্নিংয়ের ভূমিকা :
বর্তমান আধুনিক বিশ্বায়নের যুগে তথ্যপ্রযুক্তি ভূমিকা অনস্বীকার্য। বর্তমান বিশ্বের দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় যে আধুনিক তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি কতটা গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। আমরা আজকেরে যে সভ্যতা সামনে দাড়িয়ে আছি তার অনেকটাই সার্থক হয়েছে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে বর্তমান সময়ে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এর ছােয়া লেগেছে। যােগাযােগের আধুনিকায়ন এবং ইন্টারনেটের বদৌলতে শুরু হয়েছে ই-লার্নিং। ই-লার্নিং হল ইলেকট্রনিক লার্নিং অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহার করে কিংবা ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক, টেলিভিশন সিডিরম, রেডিও, ভিডিও ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করাই হল ই- লার্নিং। ই-লার্নিং হলাে একটি আধুনিক পদ্ধতিতে পাঠদানের প্রক্রিয়া।
করােনাকালে স্বাভাবিক শ্রেণী কার্যক্রম চালু না রাখার যৌক্তিকতা রয়েছে। কারন উন্নত দেশগুলাে যেখানে করােনার থাবায় কোণঠাসা সেখানে আমাদের জনবহুল দেশ অনেকটাই বিপদের মুখে। যদি শ্রেণী কার্যক্রম চালু রাখা হতাে তাহলে দেশের বর্তমান করােনা পরিস্থির চিত্র আরও ভয়া হত। আজকের শিক্ষার্থীরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। আজকের শিক্ষার্থীরাই সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিবে আমারা তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তিতে কতাে উন্নত। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে শ্রেণী কার্যক্রম চালু না রাখার সিদ্ধান্ত খুবই যৌক্তিকসম্পন্ন এবং যুগােপযুগী। তাছাড়া ই-লার্নিং এর মাধ্যমে ঘরে বসেই পাঠদানের সুযােগ যেখানে রয়েছে সেখানে শ্রেণী কার্যক্রম চালু রাখা মানে হল তথ্য ও প্রযুক্তিকে নিরাশ করা। তাছাড়া সবার আগে জীবন, জীবিত থাকলে শিক্ষা হবে, প্রতিষ্ঠিত হওয়া যাবে।
শিক্ষাই পারে দেশকে, জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, সেখানে শিক্ষাব্যবস্থাই আজ বিপাকে। যদিও অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষাদান কার্যক্রম চলছে তবুও এটি কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে সকলেরই প্রশ্ন রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলাে বন্ধ থাকায় অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষাদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অনিশ্চিত এই পরিস্থিতিতে অনলাইন কার্যক্রম চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার ও ইউজিসি। ইতিমধ্যে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা পরিচিত হচ্ছে নতুন এক অধ্যায়ের সাথে প্র্যাকটিকেল ক্লাস, পরীক্ষা, গতানুগতিক শিক্ষা থেকে দূরে থেকে নতুন শিক্ষাধারায় সম্পৃক্ততায় শিক্ষার্থীরা কতটুকু উপকৃত হচ্ছে তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে অনেকেরই মনে। অনলাইন ক্লাস শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে নতুন বিষয় যা বৈশ্বিক মহামারির কারণে সকলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মূলত শিক্ষার্থীদের অনলাইন টিউটোরিয়াল বা জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে ও নিয়মিত প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এই অনলাইন ক্লাসের পাঠদান গ্রহণের ক্ষেত্রেও অনীহা রয়েছে অনেকের মাঝে। অনলাইন ক্লাসের মূল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলাে শিক্ষাব্যবস্থা যেন এই মহামারিতে মুখ থুবড়ে না পড়ে- যা দেশের জন্য অতি জরুরি।
আমার স্কুলে করােনা মহামারির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার কিছুদিন পরেই অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়েছে। জুম অ্যাপসের মাধ্যমে শিক্ষকরা ক্লাস নেন। আমাদের বাড়ির কাজ দেন। আবার পরের ক্লাসে পড়া ধরেন। জুম অ্যাপসের মাধ্যমে আমরা শিক্ষকদের কিছু না বুঝলে সরাসরি প্রশ্ন করতে পারি। শিক্ষকরাও আমাদের প্রশ্ন বুঝিয়ে দেন। এছাড়াও আমাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। ফেইসবুক গ্রুপের মাধ্যমে আমরা প্রশ্ন পেয়ে আমাদের খাতায় উত্তর লিখে ছবি তুলে গ্রুপে জমা দেই। এভাবেই আমার স্কুলে অনলাইন কার্যক্রম চলে।

আধুনিক প্রযুক্তি যে শুধু জীবন যাত্রার মানকেই উন্নত করছে তা কিন্তু নয়, সেই সাথে মানুষের দক্ষতাকেও উন্নত করছে। যেমন-
১. ই-লার্নিং এর মাধ্যমে যে কেউ খুব কম সময়ে তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করতে পারে।
২. খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসে অংশ নিয়ে নিজের পছন্দের বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করা যায়।
৩. নিজের সীমিত জ্ঞানের পরিধিকে ই- লার্নিং এর মাধ্যমে আরাে বিস্তৃত করা যায়।
৪. একজন শিক্ষার্থী প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান লাভের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে নিজেদের আরও দক্ষ করে তুলতে পারে।

শিক্ষার আলােকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ঠিক সমপরিমাণ ভূমিকা রাখে ই-লার্নিং। যেখানে আধুনিক প্রযুক্তি সর্বস্তরে বিরাজ করছে সেখানে শিক্ষাকে ডিজিটালাইজেশনে রূপান্তর করতে ই-লার্নিং এর আরাে প্রসার বৃদ্ধি করা প্রয়য়ােজন। ইলার্নিং এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নিজেকে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারে তাছাড়া ই-লার্নিং এর মাধ্যমে যে কেউ চাইলে সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে যেমন অর্থ উপার্জন করতে পারে ঠিক তেমনি বিদেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে পারে। তাই ই-লার্নিং কে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের দেশের তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তিকে আরাে উন্নত করা প্রয়ােজন।

৯ম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এসাইনমেন্টের উত্তর – ৬ষ্ঠ সপ্তাহ / Class 9 History Assignment Answer :

>> বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এসাইনমেন্ট (৬ষ্ঠ সপ্তাহ) >> বিশ্বসভ্যতার অগ্রগতি সাধনে মিশরীয় ও সিন্ধুসভ্যতার অবদান সংক্রান্ত তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে উভয় সভ্যতার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করো। (৩০০ শব্দের মধ্যে)

উত্তর : বিশ্বসভ্যতার অগ্রগতি সাধনে মিশরীয় সভ্যতার অবদান :

আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর পূর্ব অংশে বর্তমানে যে দেশটির নাম ইজিপ্ট সেই দেশেরই প্রাচীন নাম মিশর। খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ থেকে ৩২০০ অব্দ পর্যন্ত নীল নদের অববাহিকায় একটি সমৃদ্ধ জনপদেও উদ্ভব হয় যা প্রাচীন মিশর। সভ্যতায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তিনটি মহাদেশ দ্বারা ঘিরে থাকা মিশরের ভৌগলিক অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশটি এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরােপ মহাদেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত ভূমধ্যসাগরের উপকূলে অবস্থিত।এর উত্তরে ভূমধ্যসাগর, পূর্বে লােহিত সাগর, পশ্চিমে । সাহারা মরুভূমি, দক্ষিনে সুদান ও আফ্রিকার অন্যান্য দেশ।
সভ্যতায় মিশরীয়দের অবদান: প্রাচীন সভ্যতায় মিশরীয়দের অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। ধর্মায়। চিন্তা, শিল্প, ভাস্কর্য, লিখন পদ্ধতি, কাগজের আবিষ্কার, জ্ঞান বিজ্ঞানচর্চা—সবকিছুই তাদের অবদানে সমৃদ্ধ। মিশরীয়দের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে, তাদের জীবন ধর্মীয় চিন্তা ও বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত ছিল।

সভ্যতায় মিশরীয়দের অবদানের কয়েকটি উল্লেখযােগ্য বিষয়-
শিল্প : মিশরীয়দের চিত্রকলা বৈচিত্র্যপূর্ণ ও ঐতিহাসিক দিক থেকে গুরত্বপূর্ণ। অন্যান্য দেশের মতাে চিত্রশিল্পও গড়ে উঠেছিল ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে। তারা সমাধি আর মন্দিরের দেয়াল সাজাতে গিয়ে চিত্রশিল্পের সূচনা করে। তাদের প্রিয় রং ছিল সাদা-কালাে । সমাধি, পিরামিড, মন্দির, প্রাসাদ, প্রমােদ কানন, সাধারণ ঘর-বাড়ির দেয়ালে মিশরীয় চিত্রশিল্পীরা অসাধারণ ছবি এঁকেছেন। সেসব ছবির মধ্যে সমসাময়িক মিশরের রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনের কাহিনি ফুটে উঠেছে।

লিখনপদ্ধতি ও কাগজ আবিষ্কার : মিশরীয় সভ্যতার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল লিপি বা অক্ষর আবিষ্কার। নগর সভ্যতা বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মিশরীয় লিখনপদ্ধতির উদ্ভব ঘটে। পাঁচ হাজার বছর পূর্বে তারা সর্বপ্রথম ২৪টি ব্যঞ্জনবর্ণের বর্ণমালা আবিষ্কার করে। প্রথম দিকে ছবি এঁকে তারা মনের ভাব প্রকাশ করত। এই লিখন পদ্ধতির নাম ছিল হায়ারোগ্লিফিক।

ভাস্কর্য : ভাস্কর্য শিল্পে মিশরীয়দের মতাে প্রতিভার ছাপ আর কেউ রাখতে সক্ষম হয়নি। ব্যাপকতা, বৈচিত্র্য এবং ধর্মীয় ভাবধারায় প্রভাবিত বিশাল আকারের পাথরের মূর্তিগুলাে ভাস্কর্য শিল্পে তাদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ বহন করে। প্রতিটি ভাস্কর্য ধর্মীয় ভাবধারা, আচার অনুষ্ঠান, মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত ছিল। প্রতিটি শিল্পই ছিল আসলে ধর্মীয় শিল্পকলা। সর্বশ্রেষ্ঠ ভাস্কর্য হচ্ছে গিজার অতুলনীয় কিংস। ফিংকস হচ্ছে এমন একটি মূর্তি, যার দেহ সিংহের মতাে, কিন্তু মুখ মানুষের মতাে। মিশরের সবচেয়ে বড় পিরামিড হচ্ছে ফারাও খুফুর পিরামিড। মন্দিরগুলােতে মিশরীয় ভাস্কর্য স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন প্রতিফলিত হয় ।

মিশরীয়দের আর্থ-সামাজিক অবস্থা : পেশার ওপর ভিত্তি করে মিশরীয়দের কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন- রাজপরিবার, পুরােহিত, অভিজাত, লিপিকার, ব্যবসায়ী, শিল্পী এবং কৃষক ও ভূমিদাস শ্রেণি । মিশরের অর্থনীতি মূলত ছিল কৃষিনির্ভর। উৎপাদিত ফসলের মধ্যে উল্লেখযােগ্য ছিল গম, যব, তুলা, পেঁয়াজ, পিচফল ইত্যাদি। ব্যবসা-বাণিজ্যেও মিশর ছিল অগ্রগামী। মিশরে উৎপাদিত গম, লিনেন কাপড় ও মাটির পাত্র ক্রিট দ্বীপ, ফিনিশিয়া, ফিলিস্তিন ও সিরিয়ায় রপ্তানি হতাে। বিভিন্ন দেশ থেকে মিশরীয়রা স্বর্ণ, রৌপ্য, হাতির দাঁত, কাঠ ইত্যাদি আমদানি করত।

মিশরীয়দের অর্থনীতিতে নীলনদের অবদান : নীল নদ মিশরের নীল নদের উৎপত্তি আফ্রিকার লেক ভিক্টোরিয়া থেকে। সেখান থেকে নদটি নানা দেশ হয়ে মিশরের মধ্য দিয়ে ভূ-মধ্যসাগরে এসে পড়েছে। ইতিহাসের জনক হেরােডােটাস যথার্থই বলেছেন- “মিশর নীল নদের দান’। নীল নদ না থাকলে মিশর মরুভূমিতে পরিণত হতাে। প্রাচীনকালে প্রতিবছর নীল নদে বন্যা হতাে। বন্যার পর পানি সরে গেলে দুই তীরে পলিমাটি পড়ে জমি উর্বর হতাে। জমে থাকা পলিমাটিতে জন্মাতাে নানা ধরনের ফসল।

 >> বিশ্বসভ্যতার অগ্রগতি সাধনে সিন্ধু সভ্যতার অবদান : সিন্ধু নদের অববাহিকায় গড়ে উঠেছিল বলে এর নাম রাখা হয় সিন্ধু সভ্যতা। সিন্ধু সভ্যতার সংস্কৃতিকে হরপ্পা সংস্কৃতি বা হরপ্পা সভ্যতা ও বলা হয় । ঐতিহাসিকদের মতে ২৫০০ থেকে ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত এ সভ্যতা টিকে ছিল। ঐতিহাসিকরা আরাে মনে করেন পাঞ্জাব থেকে আরব সাগর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ ভৌগলিক এলাকা জুড়ে সিন্ধু সভ্যতা গড়ে উঠে ছিল।
পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতাগুলাের অন্যতম হল সিন্ধু সভ্যতা তাই বিশ্বসভ্যতার অগ্রগতিতে তার অবদান খুবই গুরুত্বপুর্ন। তার অবদানের কয়েকটি দিক হল।

নগর পরিকল্পনা : সিন্ধুসভ্যতার এলাকায় যেসব শহর আবিস্কৃত হয়েছে তার মধ্যে হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারাে সবচেয়ে বড় শহর। ঘরবাড়ি সবই পােড়ামাটি বা রােদে পােড়ানাে ইট দিয়ে তৈরি। শহরগুলাের বাড়িঘরের নকশা থেকে সহজেই বােঝা যায় যে, সিন্ধুসভ্যতা যুগের অধিবাসীরা উন্নত নগরকেন্দ্রিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিল। হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারাের নগর পরিকল্পনা একই রকম ছিল। নগরীর ভেতর দিয়ে চলে গেছে পাকা রাস্তা। রাস্তাগুলাে ছিল সােজা। প্রত্যেকটি বাড়িতে খােলা জায়গা, কৃপ ও স্নানাগার ছিল। জল নিষ্কাশনের জন্যে ছােট নর্দমাগুলােকে মূল নর্দমার সাথে সংযুক্ত করা হতাে। রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হতাে। পথের ধারে ছিল সারিবদ্ধ ল্যাম্পপােস্ট।

পরিমাপ পদ্ধতি : সিন্ধুসভ্যতা যুগের অধিবাসীরা দ্রব্যের ওজন পরিমাপ করতে শিখেছিল। তাদের এই পরিমাপ পদ্ধতির আবিষ্কার সভ্যতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান বলে বিবেচিত। তারা বিভিন্ন দ্রব্য ওজনের জন্য নানা মাপের ভিন্ন ভিন্ন আকৃতির বাটখারা ব্যবহার করত। দাগ কাটা স্কেল দিয়ে দৈর্ঘ্য মাপার পদ্ধতিও তাদের জানা ছিল।

স্থাপত্য ও ভাস্কর্য : সিন্ধুসভ্যতা যুগের অধিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ এবং চমৎকার স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন রেখে গেছে। সেখানে দুই কক্ষ থেকে পঁচিশ কক্ষের বাড়ির সন্ধানও পাওয়া গেছে।

আর্থ-সামাজিক অবস্থা : সিন্ধু সভতার অর্থনীতি ছিল মূলত কৃষি নির্ভর। তাছাড়া অর্থনীতির একটি বড় দিক ছিল পশুপালন। কৃষি ও পশুপালনের পাশাপাশি মৃৎপাত্র নির্মাণ, ধাতুশিল্প, বয়নশিল্প, অলঙ্কার নির্মাণ, পাথরের কাজ ইত্যাদিতেও তারা যথেষ্ট উন্নতি লাভ করেছিল। এই উন্নতমানের শিল্পপণ্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সেখানকার বণিকরা বিদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক যােগাযােগ রক্ষা করে চলত। বণিকদের সাথে আফগানিস্তান, বেলুচিস্তান, মধ্য এশিয়া, পারস্য, মেসােপটেমিয়া, দক্ষিণ ভারত, রাজপুতনা, গুজরাট প্রভৃতি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক যােগাযােগ ছিল।

৯ম শ্রেণির পদার্থ বিজ্ঞান এসাইনমেন্টের উত্তর – ৬ষ্ঠ সপ্তাহ / Class 9 Physics Assignment Answer :

*** ৬ষ্ঠ সপ্তাহের হিসাব বিজ্ঞানের উত্তর এই সাইটে শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।


>> ৫ম সপ্তাহে ৯ম শ্রেণির ৩টি বিষয়ের উপর এসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে- ইংরেজি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বিজ্ঞান
>> ৯ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রকাশিত হয়েছে ৩০ মে ২০২১।

৯ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহে এসাইনমেন্ট - ইংরেজি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বিজ্ঞান - Class 9 - 5th week assignment - English, Bangladesh and global studies & Science
Class 9 – 5th week assignment – English, Bangladesh and global studies & Science

৯ম শ্রেণির ইংরেজি এসাইনমেন্ট (৫ম সপ্তাহ) :

Class Nine English Assignment (5th week) : Pastime may change generation to generation. Take an interview with your parents or grand-parents or elderly people of your family. Know about their pastime activities and take notes on them. Also think about the pastime activities of your generation. Write the differences and mention why these differences have taken place.

Answers : Pastimes may change from generation to generation

Introduction : After taking an interview with my grandparents, I have noticed that popular pastimes have changed. My grandparents answered their favorite pastimes were playing sports such as cricket or football outdoors, meeting with their friends, etc. Whereas pastime activities of my generation are watching TV, spending time on social media or playing computer games, etc.

Body / Description : In old generations, people have different interests and hobbies. They were interested in activities that mostly have physical involvement. Hanging out with friends or family, outdoor games like cricket, hockey, football and activities like watching TV or movies were common.

  • Note-1: My sister enjoys her pastimes by reading newspapers, magazines, and books.
  • Note-2: My father enjoys his pastimes by gossiping with friends at a tea stall and watching the news on Television.
  • Note-3: My mother enjoys her pastimes by gossiping with family members, sewing Nakshi Kanthas and preparing pithas.
  • Note-4: My elder brother enjoys his pastimes by reading newspapers and discussing them with his friends at a tea stall.
  • Note-5: My grandmother enjoys her pastimes by gossiping with her grandchildren.
  • Note-6: In his pastimes, my uncle reads newspapers and watches talk shows on television.

Now the young people are becoming more and more interested in computer games, Facebook browsing, chatting, and video games. Internet connection through mobile operators has taken the whole world in the grape of our young generation.

Differences between Pastimes : There are some differences between the pastimes enjoyed by the seniors and the juniors in our community or family.
Senior people often like watching informative programs, but the juniors usually do not like it. Juniors normally prefer music, films, etc. on television.
Senior women often like to do some traditional things such as sewing Kantha, preparing pitha, or telling stories to children, but junior women are not very interested to do these. They often watch daily soaps or enjoy music on television in their pastimes.
Once origami was a popular pastime. But now robots have preoccupied. The brain of our young generation. Thus, it is widely found that significant changes are bringing about a revolutionary change in our present day’s pastimes.

৯ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সমাধান (৫ম সপ্তাহ) :

এসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ : বাংলাদেশে জুলাই মাসের সকাল ১০   টার সময়ে জাপান, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় নির্ণয় কর। বাংলাদেশের সাথে উল্লিখিত দেশসমূহের স্থানীয় সময় ও ঋতুগত পার্থক্যের কারণ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : জুলাই মাসে বাংলাদেশে যখন সকাল ১০ টা বাজে,
তখন জাপানে বাজে দুপুর ১ টা ।
বাংলাদেশে যখন সকাল ১০ টা বাজে, তখন কানাডায় বাজে রাত ১২টা ।
বাংলাদেশে যখন সকাল ১০ টা বাজে, তখন যুক্তরাষ্ট্রে বাজে রাত ১২টা ।

স্থানীয় সময় (Local Time) : প্রতিদিন পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে তার নিজ মেরুরেখার উপর আবর্তিত হচ্ছে। ফলে পূর্ব দিকে অবস্থিত স্থানগুলােতে আগে সূর্যোদয় ঘটে । পৃথিবীর আবর্তনের ফলে কোনাে স্থানে যখন সূর্য ঠিক মাথার উপর আসে বা সর্বোচ্চে অবস্থান করে তখন এ স্থানে মধ্যাহ্ন এবং স্থানীয় ঘড়িতে তখন বেলা ১২ টা ধরা হয়। এ মধ্যাহ্ন সময় থেকে দিনের অন্যান্য সময় স্থির করা হয় । একে কোনাে স্থানের স্থানীয় সময় বলা হয় । সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যেও স্থানীয় সময় নির্ণয় করা যায় । পৃথিবীর কেন্দ্রে কোণের পরিমাণ ৩৬০ ডিগ্রি ।

এই ৩৬০ ডিগ্রি কৌণিক দূরত্ব আবর্তন করতে পৃথিবীর ২৪ ঘন্টা বা (২৪ x ৬০) = ১,৪৪০ মিনিট সময় লাগে ।
সুতরাং পৃথিবী ১ ডিগ্রি * ঘােরে (১,৪৪০  ÷ ৩৬০) = ৪ মিনিট সময়ে
অর্থাৎ প্রতি ১ ডিগ্রি দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট ।

পৃথিবী প্রায় একটি গােলকের ন্যায় । তাই পৃথিবীর মানচিত্রে সময় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কাল্পনিক রেখার ভূমিকা অপরিসীম । গােলাকার পৃথিবী নিজ অক্ষ বা মেরুরেখায় পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করছে। ফলে ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থান ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সূর্যের সামনে উপস্থিত হচ্ছে।

যে সময়ে কোনাে স্থানের মধ্যরেখা সূর্যের ঠিক সামনে আসে তখন ঐ স্থানে দুপুর হয় এবং ঘড়িতে তখন ১২টা বাজে। দুপুর বা মধ্যাহ্ন অনুসারে অন্যান্য সময় নির্ণয় করা হয় । পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করে বিধায় পূর্বে অবস্থিত স্থানসমূহে আগে সূর্যোদয় হয়। কোনাে স্থানের সময় বেলা ১টা হলে তার ১° পূর্বের স্থানে সময় বেলা ১টা ৪ মিনিট এবং ১° পশ্চিমের স্থানে বেলা ১২টা ৫৬ মিনিট হবে। গ্রিনিচে (০) যখন সকাল ৮ টা, তখন কোনাে স্থানে সকাল ১০ টা হলে উক্ত স্থানের দ্রাঘিমা হবে ৩০° পূর্ব। আবার সময় গ্রিনিচের চেয়ে কম হলে উক্ত স্থানটি গ্রিনিচের পশ্চিমে অবস্থিত হবে। এভাবে দ্রাঘিমার অবস্থান থেকে সময় ও সময়ের অবস্থান থেকে দ্রাঘিমা নির্ণয় করা হয় ।

ঋতুগত পার্থক্যের কারণ : আমরা পাশের চিত্রটির দিকে তাকাই। এখানে সূর্যকে পরিশ্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থান থেকে ঋতু পরিবর্তনের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে । বার্ষিক গতির জন্য সূর্যরশ্মি কোথাও লম্বভাবে আবার কোথাও। তির্যকভাবে পতিত হয় এবং দিবা রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে । লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মি কম বায়ুস্তর ভেদ করে আসে বলে ভূপৃষ্ঠকে অধিক উত্তপ্ত করে । তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মি যে কেবল অধিক বায়ুস্তর ভেদ করে আসে তা নয় , এটি লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মি অপেক্ষা অধিক আনব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে বছরের বিভিন্ন সময়ে ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র তাপের তারতম্য হয় এবং ঋতু পরিবর্তন ঘটে। পৃথিবীতে সময়ভেদে তাপমাত্রার পার্থক্য বা পরিবর্তনকে ঋতু পরিবর্তন বলে । সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থান থেকে ঋতু পরিবর্তনের ব্যাখ্যা পাওয়া যায় ।

ঋতু পরিবর্তনের চিত্র - season change photo
ঋতু পরিবর্তনের চিত্র

উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে শীতকাল : ২১ শে জুন সূর্যের উত্তরায়ণের শেষ দিন। এই দিন সূর্যরশ্মি কর্কটক্রান্তির উপর লম্বভাবে পতিত হয়। ফলে ঐ দিন এখানে দীর্ঘতম দিন এবং ক্ষুদ্রতম রাত্রি হয় ।২১ শে জুনের দেড় মাস পূর্ব থেকে দেড় মাস পর পর্যন্ত মােট তিন মাস উত্তর গোলার্ধে উত্তাপ বেশি থাকে। । এ সময় উত্তর গােলার্ধে গ্রীষ্মকাল । এ সময়ে সূর্যের তির্যক কিরণের জন্য দক্ষিণ গােলার্ধে দিন ছােট ও রাত বড় হয়। এজন্য সেখানে তখন শীতকাল ।

উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে বসন্তকাল : ২৩ শে সেপ্টেম্বর সূর্যরশ্মি নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে পড়ে এবং সর্বত্র দিবা-রাত্রি সমান হয় । সেজন্য এ তারিখের দেড় মাস পূর্ব থেকে দেড় মাস পর পর্যন্ত মােট তিন মাস তাপমাত্রা মধ্যম ধরনের হয়ে থাকে। এ সময় উত্তর গােলার্ধে শরৎকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে বসন্তকাল ।

উত্তর গােলার্ধে শীতকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল : ২২ শে ডিসেম্বর সূর্যের দক্ষিণায়নের শেষদিন অর্থাৎ এই দিন সূর্য মকরক্রান্তির উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে সেখানে দিন বড় ও রাত ছােট হয় । এ তারিখের দেড় মাস পূর্বে ও পরে দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল এবং উত্তর গােলার্ধে শীতকাল থাকে।

উত্তর গােলার্ধে শীতকাল ও দক্ষিণ গােলার্ষে গ্রীষ্মকাল : ২২শে ডিসেম্বর সূর্যের দক্ষিণায়নের শেষদিন অর্থাৎ এই দিন সূর্য মকরক্রান্তির উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে সেখানে দিন বড় ও রাত ছােট হয় । এ তারিখের দেড় মাস পূর্বে ও পরে দক্ষিণ গােলার্ধে গ্রীষ্মকাল এবং উত্তর গোলার্ধে শীতকাল থাকে।

৯ম শ্রেণির বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট সমাধান (৫ম সপ্তাহ) :

এসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ : উপরের গ্লাসের পানিতে কয়েকটি দৃষক পদার্থ (যেমন : অদ্রবণীয় ময়লা-আবর্জনা, | বালি, লবণ ইত্যাদি) মেশাও। এখন এই দূষিত পানিকে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে বিশুদ্ধ কর।। ক) পানি বিশুদ্ধকরণ সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি লিখে উপস্থাপন কর। খ) গ্লাসে তৈরিকৃত দূষিত পানি বিশুদ্ধ না করে পান করলে তােমার কী কী সমস্যা হতে পারে? বিশ্লেষণ করো।

উত্তর : ১নং প্রশ্নের উত্তর (ক) :
পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়াসমূহ : ভূপৃষ্ঠে যে পানি পাওয়া যায় তাতে নানারকম ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ, এমনকি রােগ সৃষ্টি করতে পারে এরূপ জীবন ধ্বংসকারী জীবণু রয়েছে ।

তাই ব্যবহারের আগে পানি বিশুদ্ধ করে নিতে হয় । ভূগর্ভের পানি সাধারণত রােগ জীবাণু মুক্ত, কিন্তু এই পানিতে আর্সেনিকের মতাে নানা রকম ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতির কথা এখন আমরা সবাই জানি । পানি কীভাবে বিশুদ্ধকরণ করা হবে, সেটি নির্ভর করে এটি কোন কাজে ব্যবহার করা হবে, তার ওপর। স্বাভাবিকভাবেই খাওয়ার জন্য অত্যন্ত বিশুদ্ধ পানি লাগলেও জমিতে সেচকাজের জন্য তত বিশুদ্ধ পানির দরকার হয় না। সাধারণত যেসব প্রক্রিয়ায় পানি বিশুদ্ধ করা হয়, সেগুলাে হলাে পরিস্রাবণ, ক্লোরিনেশন, ফুটন, পাতন ইত্যাদি। নিচে এই প্রক্রিয়াগুলাে বর্ণনা করা হলাে :

i. পরিস্রাবণ : পরিস্রাবণ হলাে তরল আর কঠিন পদার্থের মিশ্রণ থেকে কঠিন পদার্থকে আলাদা করার একটি প্রক্রিয়া । পানিতে অদ্রবণীয় ধুলা – বালির কণা থেকে শুরু করে নানারকম ময়লা আবর্জনার কণা থাকে । এদেরকে পরিস্রাবণ করে পানি থেকে দূর করা হয় । এটি করার জন্য পানিকে বালির স্তরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করা হয় , তখন পানিতে অদ্রবণীয় ময়লার কণাগুলাে বালির স্তুরে আটকে যায় । বালির স্তর ছাড়াও খুব সূক্ষ্মভাবে তৈরি কাপড় ব্যবহার করেও পরিস্রাবণ ক যায় । বর্তমান সময়ে আমাদের অনেকের বাসায় আমরা যেসব ফিল ব্যবহার করি, সেখানে আরাে উন্নতমানের সামগ্রী দিয়ে পরিস্রাবণ করা হয় ।

ii. ক্লোরিনেশন : যদি পানিতে রােগ সৃষ্টিকারী জীবাণু থাকে, তবে তা অবশ্যই দূর করতে হবে এবং সেটি করা হয় জীবাণুনাশক ব্যবহার করে। নানারকম জীবাণুনাশক পানি বিশুদ্ধ করার কাজে ব্যবহার করা হয় । এদের মাঝে অন্যতম হচ্ছে ক্লোরিন গ্যাস (Cl2) । এছাড়া ব্লিচিং পাউডার [(Ca(OCl)cl] এবং আরও কিছু পদার্থ, যার মাঝে ক্লোরিন আছে এবং জীবাণু ধ্বংস করতে পারে, সেগুলাে ব্যবহার করা হয় । আমাদের দেশে বন্যার সময় পানি বিশুদ্ধ করার জন্য যে ট্যাবলেট বা কিট ব্যবহার করা হয়, সেটি হলাে মূলত সােডিয়াম হাইপােক্লোরাইড (Naocl), এর মাঝে যে ক্লোরিন থাকে, সেটি পানিতে থাকা রােগ জীবাণুকে ধংস করে ফেলে । ক্লোরিন ছাড়াও ওজোন (63) গ্যাস দিয়ে অথবা অতিবেগুনি রশ্মি দিয়েও পানিতে থাকা রােগ জীবাণু ধ্বংস করা যায় । বােতলজাত পানির কারখানায় এ পদ্ধতি ব্যবহার করে পানিকে রােগ – জীবাণুমুক্ত করা হয় ।

iii. ফুটন : পানির ফুটন প্রক্রিয়ায় পানিকে জীবাণুমুক্ত করা সম্ভব । পানিকে খুব ভালােভাবে ফুটালে এতে উপস্থিত জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায় । ফুটন শুরু হওয়ার পর ১৫-২০ মিনিট ফুটালে সেই পানি জীবাণুমুক্ত হয় । বাস – বাড়িতে খাওয়ার জন্য এটি একটি সহজ এবং সাশ্রয়ী প্রক্রিয়া ।

iv. পাতন : যখন খুব বিশুদ্ধ পানির প্রয়ােজন হয়, তখন পাতন প্রক্রিয়ায় পানি বিশুদ্ধ করা হয় । যেমন : ঔষধ তৈরির জন্য, পরীক্ষাগারে রাসায়নিক পরীক্ষা – নিরীক্ষার জন্য পুরােপুরি বিশুদ্ধ পানির প্রয়ােজন হয় । এই প্রক্রিয়ায় একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাপ দিয়ে সেটাকে বাষ্পে পরিণত করা হয় । পরে ঐ বাম্পকে আবার ঘনীভূত করে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করা । হয় । এই প্রক্রিয়ায় বিশুদ্ধ করা পানিতে অন্য পদার্থ থাকার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে ।

১নং প্রশ্নের উত্তর (খ) : গ্লাসে তৈরিকৃত দূষিত পানি বিশুদ্ধ না করে পান করলে আমার যেসব সমস্যা হতে পারে তা নিম্নে আলােচনা করা হলাে:
আমার শরীরে নানা ধরনের রােগ হতে পারে ) দূষিত পানি পান করার ফলে সম্প্রতি ভয়াবহ হারে বেড়ে গেছে পানিবাহিত রােগের প্রকোপ । দূষিত পানি পানেই এসব রােগের উৎপত্তি হয় । ময়লা-গন্ধযুক্ত পানি পান করলে নানা জটিল রােগের

হেপাটাইটিস, টাইফয়েড, ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয়, জন্ডিসের মতাে মারাত্মক ব্যাধির উৎস এই দূষিত পানি। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের অভিমত, এ রকম দূষিত পানি দীর্ঘদিন পান করতে থাকলে আরাে জটিল রােগ, এমনকি মরণব্যাধি ক্যান্সারও হতে পারে। কিডনি রােগ, আলসার, রক্তচাপ, অ্যাজমা, যক্ষ্মা ইত্যাদি রােগের প্রকোপ বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তা দিতে না পারলে জনস্বাস্থ্যকে সম্পূর্ণভাবে হুমকি মুক্ত  আর তাই গ্লাসে তৈরিকৃত দূষিত পানি বিশুদ্ধ না করে পান করলে আমার উল্লিখিত সমস্যাগুলাে হতে পারে ।


৯ম শ্রেণির বাংলা ও রসায়ন এসাইনমেন্ট – ৪র্থ সপ্তাহ (বিজ্ঞান বিভাগ) :

Class 9 Bangla Chemistry Class Assignment 2021 - 4th week
Class 9 Bangla Chemistry Class Assignment 2021 – 4th week

৯ম শ্রেণির বাংলা ও ব্যবসায় শিক্ষা এসাইনমেন্ট – ৪র্থ সপ্তাহ (ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ) :

Class 9 Bangla Business Class Assignment 2021 - 4th week
Class 9 Bangla Business Class Assignment 2021 – 4th week

৯ম শ্রেণির বাংলা এবং ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্ট – ৪র্থ সপ্তাহ (মানবিক বিভাগ) :

Class 9 Bangla Geography Class Assignment 2021 - 4th week
Class 9 Bangla Geography Class Assignment 2021 – 4th week

৯ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের এসাইনমেন্টের উত্তর – Class 9 Assignment Answers – 4th week :

>> বাংলা এসাইনমেন্ট উত্তর :

‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে মানবিক সমাজ গঠনে যে প্রতিবন্ধকতাসমূহ রয়েছে তা কীভাবে দূর করা যেতে পারে বলে তুমি মনে কর? যৌক্তিক মত উপস্থাপন কর।

উত্তর : মানবিক সমাজের প্রতিবন্ধকতা : মানবিকতা বলতে বােঝায় মানুষের মূল্যবােধ। মানুষের বিচার বুদ্ধি । যে বুদ্ধি আমরা অর্জন করি বিভিন্ন ধরনের জ্ঞানের মাধ্যমে যেমন ধর্মীয় সামাজিক,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইত্যাদি। মানবিকতার মূলমন্ত্র হলাে মানুষের কল্যাণ, জাতির কল্যাণ সমাজের কল্যাণ। মােটকথা মানুষের ভলাে, মানুষের জন্য ভালাে কিছু করা, মানুষের উন্নতি সাধন করাই মানবিকতা। কিন্তু শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত অভাগীর স্বর্গ গল্পে মানবিকতা বলতে আমরা যা বুঝি তার বিন্দুমাত্র মিল খুঁজে পাই নি। তাইতাে মানবিক সমাজ গঠনে ব্যর্থ হয়েছে “অভাগীর স্বর্গ” গল্প। কারণ অভাগীর স্বর্গ গল্পে রয়েছে মানবিক সমাজ গঠনের নানবিধ প্রতিবন্ধকতা ।যেমনঃ

শ্রেণি বৈষম্য : অভাগীর স্বর্গ গল্পে আমরা দেখতে পাই যে তখনকার সমাজ ব্যবস্থার মাঝে শ্রেণি বৈষম্য ছিল প্রকট।এই শ্রেণি বৈষম্য এর মাঝে ছিল ধনী-গরীব ভেদাভেদ, উঁচু জাত-নিচু জাতের ভেদাভেদ। এই গল্পে আমরা দেখতে পেরেছি সমাজের উচু জাতের লােকদের দ্বারা নিচু জাতের অর্থাৎ গরীব অসহায়দের প্রতি বৈষম্য।।
ন্যায়বিচারের ভাব ও অভাগীর বেল গাছ লাগানাের | ঘটনা থেকে আমরা দেখতে পাই যে তখনকার সমাজ | ব্যবস্থায় কতটা ন্যায়বিচারের অভাব ছিল।

শােষকের শােষণ : অভাগীর স্বর্গ গল্পের জমিদার এর চরিত্র থেকে একথা স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে শাসক শ্রেণির লােকদের অপরীসীম শােষণ যা একটি মানবিক সমাঝ গঠনের প্রধান অন্তরায় বলে আমি মনে করি।

সামাজিক মর্যাদা : একটা মানুষ যখন সমাজে তার নিজ পরিচয়ে মাথা উচু করে বাঁচতে না পারে অর্থাৎ সামাজিক মর্যাদা নিয়ে দাঁড়াতে না পারে তখন ই সমাজের মাঝে অমানবিক আচার আচরণ প্রকট হয়ে দেখা যে যা মানবিক সমাজ গঠনের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।

বিবিধ : সমাজে ধনী-দরিদ্রের মধ্যে যেমন প্রর্থক্য রয়েছে, তেমনি রয়েছে ধর্মে-ধর্মে, সম্প্রদায়ে-সম্প্রদায়ে। এবং জাত-পাতের প্রকট পার্থক্য। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব পার্থক্য অশিক্ষা, অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও হীন স্বার্থবুদ্ধিপ্রসূত। এতে করে সমাজ প্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়। সমাজজীবনে সৃষ্টি হয় নানা দুঃখজনক ঘটনার। এমনকি এত মানবতার বিপর্যয়ও ঘটে থাকে।

প্রতিবন্ধকতা জয় করার উপায় :
১. যথােপযুক্ত শাসনব্যবস্থাঃ একটি সুন্দর মানবিক সমাজ গঠনে আইনের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে কার্যকরী শাসনব্যবস্থা চালু থাকলে শুধু সমাজ নয় বরং সারা পৃথিবীকে মানবিক করে তােলা সম্ভব।
২. সুষম বিচার ব্যবস্থাঃ যে সমাজে বিচার ব্যবস্থা সুষম অর্থাৎ ন্যয়বিচার রয়েছে সে সমাজ কে আমরা মানবিক বলতে পারি। একটা সমাজে যদি অন্যায় অপরাধের সঠিক বিচার হয়, বিচার ব্যবস্থা যদি পক্ষপাতদুষ্ট না হয় তখন ই কেবল সমাজের বসবাস রত মানুষ যারা রয়েছে তারা নিজেদের কে নিরাপদ ও সুরক্ষিত ভাবতে পারবে আর তাতেই মানবিক সমাজ গঠনের পথটা সুগম হয়ে যাবে।
৩. শাসন ব্যবস্থার স্বচ্ছতাঃ সমাজে যারা শাসক গােষ্ঠী রয়েছে অর্থাৎ যারা সমাজে নীতি নির্ধারক তারা যদি সমাজের মানুষের উপকারে তাদের শাসন করে তবে সে সমাজ মানবিক হতে বাধ্য। শাসনের নামে যেন শােষণ না হয়। শােষিত মানুষের মাঝে সবসময় ক্ষোভ বিরাজ করে।

৪. আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সমাজে যাতে সবাই নিজের মত করে বাঁচতে পারে, নিজস্ব ধর্মীয় আচার। আচরণ পালন করতে পারে, নিজের মতামত স্পষ্ট করে প্রকাশ করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
৫. সামাজিক মূল্যবােধ চর্চা করতে হবে। সমাজের প্রতিটি মানুষের মাঝে সামাজিক মূল্যবােধ কে জাগিয়ে তুলতে হবে।
৬. শ্রেণি বৈষম্য দূরীকরণ করতে হবে। আমরা যদি দেখি | হিন্দুস্থানি দারােয়ান অশ্রাব্য গালি দিলেও গায়ে হাত দিনা
অশৌচের ভয়ে। এতেই প্রতীয়মান হয় যে তৎকালীন হিন্দুসমাজে জাত-পাত ও বর্ণপ্রথা প্রচলিত ছিল। এই ধরণের বৈষম্য অবশ্যই দূর করতে হবে যদি আমরা একটি মানবিক সমাজ গঠন করতে চাই।

 >> রসায়ন এসাইনমেন্ট ও উত্তর :

“প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে। বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক” – এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন লিখতে হবে। প্রতিবেদনে অবশ্যই পাঁচ ধরনের রাসায়নিক পদার্থের ঝুঁকির মাত্রা ও সংশ্লিষ্ট সতর্কতামূলক সাংকেতিক চিহ্ন উল্লেখ করে তা থেকে নিরাপদ থাকার উপায় উদাহরণ হিসেবে লিখতে হবে।

উত্তর : 
প্রতিবেদকের নাম : ………………….
প্রতিবেদকের শিরােনাম : …………….
প্রতিবেদনের তারিখ : …………………
প্রতিবেদকের ঠিকানা : …………………

প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক

সাধারনত যেখানে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে পরিক্ষা নিরীক্ষা এবং গবেষণা করা হয় তাকে পরীক্ষাগার বা রসায়ন গবেষণাগার (Chemistry Laboratory) বলে।

রসায়ন গবেষণাগারে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য থাকে । প্রায় প্রত্যেকটি রাসায়নিক দ্রব্যই আমাদের জন্য অথবা পরিবেশের জন্য কম-বেশি ক্ষতিকর। কোনাে রাসায়নিক দ্রব্য বিস্ফোরক জাতীয়,কোনাে রাসায়নিক দ্রব্য দাহ্য (সহজেই যাতে আগুন ধরে যায়) কোনােটি আমাদের শরীরে সরাসরি ক্ষতি করে আবার কোনােটি পরিবেশ ক্ষতি করে রসায়ন পরীক্ষাগারে যে যন্ত্রপাতি বা পাত্র ব্যাবহার করা হয় তার বেশির ভাগই কাচের তৈরি। তাই এ রসায়ন পরীক্ষাগারে ঢােকা থেকে শুরু করে বের হওয়া প্রতিটি পদক্ষেপে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অসতর্ক হলেই যেকোনাে ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যেমনঃ-এসিড গায়ে পড়লে শরীর ক্ষত সৃষ্টি হবে।পােশাকে পড়লে পােশাকটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়া রসায়ন গবেষণাগারে অগ্নিকান্ড বিস্ফোরণসহ নানা ধরনের ছােট বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

তাই শরীরকে রক্ষা করতে পরতে হবে নিরাপদ পােশাক বা অ্যাপ্রােন। রসায়ন গবেষণাগারে ব্যবহৃত অ্যাপ্রােনের হাতা হবে হাতের কবজি পর্যন্ত আর লম্বায় হাটুর পর্যন্ত। এটি  হাতকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় গ্লাভস যা চোখকে রক্ষা করার জন্য সেফটি গগলস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেকোনাে ধরনের রাসয়নিক দ্রব্য ব্যবহারের আগেই আমাদের জেনে নিতে হবে সে রাসায়নিক দ্রব্যটি কোন প্রকৃতির। সেটি কি বিস্ফোরক অথবা দাহ্য নাকি তেজস্ক্রিয়াসেটি বােঝানাের জন্য রাসায়নিক পদার্থের বােতল বা কৌটার লেবেলে এক ধরনের সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।


বিস্ফোরক পদার্থ (Explosive Substance) : -এ চিহ্নবিশিষ্ট পদার্থ থেকে খুব সাবধানে থাকতে হবে।এসব পদার্থ ব্যবহারের সময় মনে রাখতে হবে এসব পদার্থে আঘাত লাগলে বা আগুন। লাগলে প্রচন্ড বিস্ফোরণ হতে পারে, যার জন্য শরীরের এবং গবেষণাগারের মারাত্নক ক্ষতি হতে পারে।তাই এ দ্রব্যগুলাে খুব সাবধানে নাড়াচাড়া করতে হবে।TNT,জৈব পার-অক্সাইড,নাইট্রোগ্লিসারিন ইত্যাদি এ ধরনের বিস্ফোরক পদার্থ।

Allsigns International Ltd - Explosive Substance

দাহ্য পদার্থ ( Flammable Substance) :- অ্যালকোহল, ইথার ইত্যাদি দাহ্য। পদার্থ।এসব পদার্থে দ্রুত আগুন ধরে যেতে পারে।তাই এদের আগুন বা তাপ থেকে সব সময় দূরে হবে। ক্ষত সৃষ্টিকারীঃ- এ চিহ্নধারী পদার্থ শরীরে লাগলে শরীরে ক্ষত সৃষ্টি করে।শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে গ্রহন করলে তা শরীরের ভেতরের অঙ্গেরও ক্ষতিসাধন করতে পারোহাইড্রোক্লোরিক এসিড,সালফিউরিক এসিড,সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের ঘন দ্রবন এ জাতীয় পদার্থের উদাহরণ।

Warning Flammable Substance 7421 > Flammable & Gas Warning Signs

পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ( Dangerous for the environment ) :- এ চিহ্নধারী পদার্থগুলাে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।অর্থাৎ উদ্ভিদ ও প্রানী উভয়ের জন্যই বিপজ্জনক।এ ধরনের পদার্থের উদাহারণ হলাে লে মার্কারি ইত্যাদি।তাই এগুলাকে ব্যবহারের সময় যথেষ্ট সং হওয়া প্রয়ােজন।আবার,ব্যবহারের পরে যেখানে সেখানে ।। ফেলে তা একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে।এসব পদার্থকে যথাসম্ভব পুনরুদ্ধার করে আবার ব্যবহার করার চেষ্টা করে হবে।তাহলে এগুলাে সহজে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না।

DANGEROUS TO THE ENVIRONMENT – Linden Signs & Print

স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থ (Health Risk Substance) :- এ ধরনের পদার্থ ত্বকে লাগলে বা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে শরীরের ভেতরে গেলে শরীরের স্বল্পমেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিসাধন করে।এগুলাে শরীরের মধ্যে গেলে ক্যানসারের মতাে কঠিন রােগ হতে পারে কিংবা শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতিসাধন করতে পারে।এ ধরনের পদার্থের উদাহারণ হলাে বেনজিন,টুলইন,জাইলিন ইত্যাদি।তাই এগুলােকে সতর্কভাবে রাখতে হবে এবং ব্যবহারের সময় অ্যাপ্রােন,হ্যান্ড গ্লাভস,সেফটি গগলস এগুলাে পরে নিতে হবে।

বিষাক্ত পদার্থ (Toxic Substance)- এ চিহ্নধারী পদার্থ বিষাক্ত প্রকৃতির।তাই শরীরে লাগলে যা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে শরীরের নানা ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।বেনজিন,ক্লোরােবেনজিন,মিথানল এ। ধরনের পদার্থ।এ ধরনের পদার্থ ব্যবহারের সময় অ্যাপ্রােন,হ্যান্ড গ্লাভস,সেফটি গগলস ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।

 >>> ব্যবসায় উদ্যোগ এসাইনমেন্ট উত্তর :

ক) সাভারের হেমায়েতপুর-এ চামড়ার জুতা  তৈরির কারখানা।
খ) পােলট্রি ফার্মে মুরগির ডিম ও বাচ্চা উৎপাদন করা ।
গ) পদ্মা সেতু তৈরি করা।
ঘ) বাখরাবাদ গ্যাসফিল্ড থেকে গ্যাস। উত্তোলন।
ঙ) কক্সবাজারে মেরিনড্রাইভ সড়ক তৈরি।
চ) সুন্দরবন থেকে মধু আহরণ করা।
ছ) জয়পুরহাট সুগারমিলে আখ থেকে চিনি তৈরি।।
জ) বৈদেশিক বাণিজ্যে সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করা।
ঝ) গাছের চারা উৎপাদন।
ঞ) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া।
উপরে বর্ণিত কাজগুলাে কোন শিল্পের (প্রজনন, নিষ্কাশন, নির্মাণ, উৎপাদন, সেবা) আওতাভুক্ত তার তালিকা তৈরি করে আওতাভুক্ত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর :

ক) সাভারের হেমায়েতপুর-এ চামড়ার জুতা  তৈরির কারখানা।
খ) পােলট্রি ফার্মে মুরগির ডিম ও বাচ্চা উৎপাদন করা ।
গ) পদ্মা সেতু তৈরি করা।
ঘ) বাখরাবাদ গ্যাসফিল্ড থেকে গ্যাস। উত্তোলন।
নবম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান - ১৯ম সপ্তাহ - গণিত - অর্থনীতি 19

 >>> ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্ট উত্তর

“পরিবেশ বাঁচলে বাঁচবে পৃথিবী”- অনধিক ৩০০ শব্দের মধ্যে একটি প্রতিবেদন লিখো ।

উত্তর : পরিবেশ বাঁচলে বাঁচবে পৃথিবী

১) সূচনা : আমরা এই সুন্দর পৃথিবীতে বাস করি। এই পৃথিবী থেকে আমরা সব ধরনের সুযােগ-সুবিধা গ্রহন করি। তাই এই পৃথিবীকে সুন্দর রাখার দায়িত্বও আমাদের। পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশ আমাদের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে। পৃথিবীর জলবায়ু, ভূপ্রকৃতি, উদ্ভিদ, প্রাণী, নদ-নদী, সাগর, খনিজ সম্পদ ইত্যাদির উপর আমাদের ক্রিয়াকলাপ পরিবেশে ঘটায় নানান রকম পরিবর্তন। মানুষ ও পরিবেশের মধ্যে সম্পর্ক নিবিড়।

২) পরিবেশের উপাদান : পরিবেশের উপাদান দুই প্রকার। যেমন: জড় উপাদান ও জীব উপাদান। যাদের জীবন আছে, যারা খাবার খায়, যাদের বুদ্ধি আছে, জন্ম আছে, মৃত্যু আছে তাদের বলে জীব। গাছপালা, পশুপাখি, কীটপতঙ্গ, মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী হলাে জীব। এরা পরিবেশের জীব উপাদান। জীবদের নিয়ে গড়া পরিবেশ হলাে জীব পরিবেশ। মাটি, পানি, বায়ু, পাহাড়, পর্বত, নদী, সাগর, আলাে, উষ্ণতা, আর্দ্রতা হলাে পরিবেশের জড় উপাদান। এই জড় উপাদান নিয়ে গড়া পরিবেশ হলাে জড় পরিবেশ।

৩) ভূগোলের শাখা

পরিবেশ বাঁচলে বাঁচবে পৃথিবী”- অনধিক ৩০০ শব্দের মধ্যে একটি প্রতিবেদন লিখো - ভূগোলের শাখা
নবম শ্রেণির এসাইনমেন্ট সমাধান - ১৯ম সপ্তাহ - গণিত - অর্থনীতি 20

৪)  ভূগােল ও পরিবেশের আন্ত:সম্পর্ক : পৃথিবী আমাদের আবাসভূমি। মানুষের আবাসভূমি হিসেবে পৃথিবীর বর্ণনা হলাে ভূগােল। প্রকৃতি, পরিবেশ ও সমাজের সাথে রয়েছে ভূগােলের নিবিড় সম্পর্ক। পৃথিবীপৃষ্ঠের পরিবর্তনশীল বৈশিষ্ট্যের যথাযথ যুক্তিসংগত ও সুবিন্যস্ত বিবরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয় হলাে ভূগােল। পৃথিবীর পরিবেশের সীমার মধ্যে থেকে মানুষের বেঁচে থাকার যে সংগ্রাম চলছে সে সম্পর্কে যুক্তিপূর্ণ আলােচনা ভূগােলের মাধ্যমেই করা হয়।

মানুষ যেখানেই বাস করুক তাকে ঘিরে একটি পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিরাজমান। প্রকৃতির সকল দান মিলেমিশে তৈরি হয় পরিবেশ। নদী-নালা, সাগর, মহাসাগর, পাহাড়, পর্বত, বন, জঙ্গল, ঘর, বাড়ি, রাস্তাঘাট, উদ্ভিদ, প্রাণী, পানি, মাটি ও বায়ু নিয়ে গড়ে ওঠে পরিবেশ। এই পরিবেশে বসবাস করতে গিয়ে আমরা নানান সমস্যার মুখােমুখি হই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ুর পরিবর্তন, পাহাড়, নদী, সাগর, প্রাকৃতিক পরিবর্তন, সমভূমি, মরুভূমি ইত্যাদি প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে আমাদের উপর প্রভাব ফেলে। এইসব নানাবিধ সমস্যা ও পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারার পদ্ধতিগত আলােচনা ও সমাধান আমরা ভূগােলের মাধ্যমে পেয়ে থাকি। তাই ভূগােল ও পরিবেশের সাথে আন্ত:সম্পর্ক রয়েছে।

৫)  পরিবেশ সংরক্ষণে আমাদের ভূমিকা : সুস্থ, সুন্দর, নিরাপদ পরিবেশ সবার জন্য অপরিহার্য। মানুষের জন্যতাে বটেই, সৃষ্টিকূলের জন্যও নিরাপদ পরিবেশ জরুরি। যেমন মাছের জন্য নিরাপদ জলাশয়, পাখির জন্য সবুজ বৃক্ষরাজি। বন্য প্রাণীর জন্য গভীর অরণ্য। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লেখা-পড়ার পরিবেশ এবং নির্মল প্রকৃতি। বন্ধুদের সাথে দরকার সমঝােতা। কর্মক্ষেত্রে দরকার অনুকূল পরিবেশ। এমনকি সমুদ্রের তলদেশের জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্যও প্রয়ােজন নিরাপদ ও সুস্থ পরিবেশ। পৃথিবীর সকল প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য দরকার অনুকূল পরিবেশ। যেমনজীবনের প্রয়ােজনে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহন করতে হয় যার মূলে রয়েছে অক্সিজেন। এই অক্সিজেন আমরা পেয়ে থাকি প্রকৃতি ও পরিবেশ থেকে। পরিবেশের এমন অসংখ্য উপাদান রয়েছে যা প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষভাবে আমাদের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। কিন্তু মানুষ নিজের প্রয়ােজনে স্বেচ্ছাচারিতায় নির্বিচারে পরিবেশ বিনাশ করে আজ ধ্বংসের মুখােমুখি দাড়িয়েছে। এখন মানুষেকেই সুস্থ সুন্দর নিরাপদভাবে বাঁচার তাগিদে পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

১) পরিবেশ সংরক্ষণের মূল উপাদান বৃক্ষ এবং বাঁচতে হলে বেশি বেশি বৃক্ষ রােপণ করতে হবে।
২) বায়ু দূষণ রােধ করতে হবে।
৩) পানি দূষণ বন্ধ করতে হবে।
৪) তেজস্ক্রিয় দূষণ বন্ধ করতে হবে।
৫) খাদ্য দূষণ বন্ধ করতে হবে।
৬) শব্দ দূষণ থামাতে হবে।
৭) নদ-নদীর পানি প্রবাহ সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
৮) সমাজের যার যার অবস্থান থেকে পরিবেশ রক্ষায় প্রত্যেককে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে ইত্যাদি।

৬) উপসংহার : আমাদের পরিবেশকে যদি আমরা যথাযথভাবে রক্ষা করতে পারি তাহলে বেঁচে থাকার সকল উপাদান আমরা পরিবেশ থেকে সহজেই পেতে পারি। আমাদের নিজেদের প্রয়ােজনেই পরিবেশ সংরক্ষণ করতে হবে। তাহলেই আমরা সুস্থ ও সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করতে পারবাে। পরিবেশ বাঁচলে আমরা বাঁচবাে আর তাহলেই বাঁচবে পৃথিবী।


তৃতীয় সপ্তাহ : নবম শ্রেণির এসাইনমেন্ট ২০২১ (নির্ধারিত কাজ) প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও শিক্ষা অধিদপ্তর (dshe.gov.bd)। সাপ্তাহিক এসাইনমেন্ট বিতরণ গ্রিড অনুযায়ী ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ৩য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট শুরু হবে ৩ এপ্রিল ২০২১, এসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৮ এপ্রিল ২০২১। সব বিষয়ের উত্তর / সমাধান এখানে দেয়া হয়েছে।

নবম শ্রেণির তৃতীয় সপ্তাহে ৬টি বিষয়ের এসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে : কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, অর্থনীতি, গণিত, উচ্চতর গণিত, চারু ও কারুকলা।

>> নবম শ্রেণির তৃতীয় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ডাউনলোড (PDF) লিংক : https://edudaily24.com/wp-content/uploads/3rd-Assignment-Class-9-2021.pdf

তৃতীয় সপ্তাহের সব বিষয়ের উত্তর / সমাধান :

নবম শ্রেণির গণিত এসাইনমেন্ট সমাধান (৩য় সপ্তাহ)

নবম শ্রেণির গণিত এসাইনমেন্ট সমাধান (৩য় সপ্তাহ) - পৃষ্ঠা-১ - Class 9 Math Assignment Solutions - 3rd week - Page-1
Class 9 Math Assignment Solutions – 3rd week – Page-1
নবম শ্রেণির গণিত এসাইনমেন্ট সমাধান (৩য় সপ্তাহ) - পৃষ্ঠা-২ - Class 9 Math Assignment Solutions - 3rd week - Page-2
Class 9 Math Assignment Solutions – 3rd week – Page-2

নবম শ্রেণির অর্থনীতি এসাইনমেন্ট উত্তর (৩য় সপ্তাহ)

প্রশ্ন : ‘আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অর্থনীতির দশটি মৌলিক নীতি কার্যকর ভূমিকা রাখে। উপরােক্ত বিষয়ে অনাধিক ৩০০ শব্দের একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

উত্তর : অর্থনীতির জনক এডাম স্মিথ এর মতে- অথনাতি হচ্ছে এমন একটি বিজ্ঞান যা জাতিসমূহের সম্পদের উৎস, ধরণ ও কারণ অনুসন্ধান করে । অর্থনীতিবিদ আলফ্রেড মার্শাল এর মতে- অর্থনীতি এমন একটি বিষয় যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ কার্যাবলি নিয়ে আলােচনা করে। অর্থনীতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের কল্যাণ সাধন।
অর্থাৎ, মানুষ কিভাবে অর্থ উপার্জন করে এবং তা বিভিন্ন অভাব মােচনে ব্যয় করে তাই অর্থনীতির আলােচ্য বিষয় । অর্থনীতির দশটি মােলিক নীতি আমাদের সমাজে সম্পদ স্বল্পতার পরিপ্রেক্ষিতে অমীম অভাব মােকাবেলা করতে হয় ।

অর্থনীতিবিদ গ্রেগরি ম্যানকিউয়ের মতবাদ অনুসারে অর্থনীতির দশটি মােলিক নীতি নিম্নে উল্লেখ করা হলাে :
১. মানুষকে পেতে হলে ছাড়তে হয় ।
২. সুযােগ ব্যয় ।
৩. যুক্তিবাদী মানুষ প্রান্তিক পর্যায় নিয়ে চিন্তা করে ।
৪. মানুষ প্রণােদনায় সাড়া দেয়।
৫. বাণিজ্য সবাই উপকৃত হয় ।
৬. অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংগঠিত করার জন্য সচরাচর বাজার একটি উত্তম পন্থা।
৭. সরকার কখনাে কখনাে বাজার নির্ধারিত  ফলাফলের উৎকর্ষ সাধন করতে পারে ।
৮. একটি দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান নির্ভর করে সে দেশের দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনের ক্ষমতার উপর ।
৯. যখন সরকার অতি মাত্রায় মুদ্রা ছাপায়, তখন দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায়।
১০. সমাজে মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্বের মধ্যে স্বল্পকালীন বিপরীত সম্পর্ক বিরাজ করে।

আমাদের জীবনে অর্থনীতির মৌলিক নীতিগুলাের প্রভাব যদি বাণিজ্য না থাকত তাহলে প্রতিটি পরিবারকে নিজেদের মৌলিক চাহিদা মেটানাের জন্য নিজেদেরকেই খাদচু উৎপাদন করতে হতাে , বস্ত্র তৈরি করতে হতাে , তেমনি বসবাসের জন্য বাসস্থান নির্মাণ | করতে হতাে । কিন্তু এটা কখনই একটি পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয় । এ কারণেই সমাজে মানুষ আদান – প্রদানের মধ্যে বিকল্প অবস্থা বাছাই করে।
পরিবারের মতই বিভিন্ন দেশ তাদের মধ্যে উৎপাদিত বিশেষায়িত দ্রব্য বিনিয়ােগ করে। ফলে বাণিজ্যে প্রতিটি দেশেই লাভবান হয়। মানুষের  দ্রব্য ব্যবহারের পরিবর্তন তখনই ঘটে যখন খরচ বা সুবিধা সংক্রান্ত কোনাে পরিবর্তন ঘটে । চাহিদা ও যােগানের মাধ্যমে দ্রব্যের দাম নিজে নিজেই নির্ধারিত হয় , যাকে অর্থনীতিতে অদৃশ্য হাত বলা হয়।

যখন এই অদৃশ্য হাত সঠিকভাবে কাজ করে না তখন সরকারের দৃশ্যমান হাতের হস্তক্ষেপের প্রয়ােজন হয় । আবার, অর্থনীতিতে যখন দাম স্তর বৃদ্ধি পায় তখন। সেখানে মূল্যস্ফীতি ঘটে । অর্থাৎ, অর্থনীতিতে অর্থের যােগান বেশি হলে মূল্যস্ফীতি হয়ে থাকে । আর এই । অর্থের যােগান নিয়ন্ত্রণ করে যেকোনাে দেশের সরকার । একটি দেশের সরকার যখন অধিকমাত্রায় মুদ্রা ছাপায় তখন ঐ দেশে মূল্যস্ফীতি দেখা দেয় ।
ফলে সে দেশের অর্থের মূল্য বা মান কমে যায় ।তাছাড়া , প্রতিটি দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান। নির্ভর করে সে দেশের উৎপাদন ক্ষমতার উপর যে। দেশের দ্রব্য বা সেবা উৎপাদনের ক্ষমতা বেশি সেদেশের মানুষের উন্নত খাবার ব্যবস্থা, উন্নত স্বাস্থ্য সেবা ও নাগরিক সুবিধা বেশি এবং জীবনযাত্রার মানও উন্নত । কাজেই বলা যায়- আমাদের জীবনে অর্থনীতির। মৌলিক নীতিগুলাের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।

আমার জীবন-যাপনে অর্থনীতির মৌলিক নীতিগুলাের ভূমিকা আমার জীবনে অর্থনীতির মৌলিক উপাদানগুলাের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যেন: একটি পণ্য ক্রয়ের বেলায় বেশি অর্থ খরচ হয়ে গেলে; অন্য পণ্য ক্রয়ে স্বল্প অর্থ ব্যয় করতে পারব। আবার, একটি পণ্য ক্রয় করলে অন্য আরেকটি পণ্য ক্রয়ের সুযােগ ত্যাগ করতে হবে ।
বাজারে পণ্যের দামাদামি করার মাধ্যমে ক্রয় – বিক্রয়। করতে পারি । বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি হস্তক্ষেপে নির্ধারিত দামে পণ্য ক্রয় করতে হয়। অন্যদিকে, প্রান্তিক পণ্য থেকে প্রান্তিক উপযােগ সর্বোচ্চ আদায়ের চেষ্টা করি। এছাড়া অন্যান্য উপাদানগুলােও আমার। জীবনে নানানভাবে প্রভাব ফেলে। অর্থনীতির মৌলিক উপাদানগুলােও ব্যক্তিক, ব্যবসায়িক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

মানবজীবনে অর্থনীতির গুরুত্ব অপরিসীম। স্বল্পমেয়াদে বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে বিপরীতমুখী সম্পর্ক বিরাজ করে। অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতি কমলে বেকারত্ব বাড়ে এবং মুদ্রাস্ফীতি বাড়লে বেকারত্ব কমে । আবার, যে দেশের মানুষের দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনের ক্ষমতা বেশি তাদের জীবনযাত্রার মানও তত উন্নত । তাই- অর্থনীতির মৌলিক । উপাদানগুলাে সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের সঠিক ধারণা রাখা উচিত ।

নবম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট উত্তর (৩য় সপ্তাহ)

প্রশ্ন : গৃহ ব্যবস্থাপনার পর্যায়গুলো অনুসরণ করে তোমার কক্ষটিতে কিভাবে আরো আকর্ষণীয় করে তোলা যায় তা নিচের বর্ণনা করো।

উত্তর : পারিবারিক লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, সংগঠন, নিয়ন্ত্রণ, মূল্যায়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে মানবীয় ও বস্তুবাচক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারকেই গৃহ ব্যবস্থাপনা বলে। গৃহ ব্যবস্থাপনা একটি ধারাবাহিক গতিশীল প্রক্রিয়া, যার জন্য প্রয়ােজন সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং যা কোন কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে সম্পন্ন করা হয়। এই ব্যবস্থাপনা হলাে পারিবারিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য কতগুলাে ধারাবাহিক কর্মপদ্ধতির সমষ্টি মাত্র। এ পদ্ধতি গুলাে ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন করতে হয় বলে । এগুলােকে গৃহ ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি বলা হয়।

গৃহ ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি বা পর্যায়গুলাে হলাে :
১. পরিকল্পনা
২. সংগঠন
৩. নিয়ন্ত্রণ ও
৪. মূল্যায়ন।

দৈনন্দিন কাজে সচেতনতার সাথে এই ধাপগুলাে আমাদের অনুসরণ করতে হয়। লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে দৈনন্দিন কাজের একটি সুষ্ঠ কর্ম পরিকল্পনা করা হয়। আর এই কর্ম পরিকল্পনা থেকে শুরু করে মূল্যায়ন, সংগঠন ও নিয়ন্ত্রণ ধারাবাহিকভাবে চক্রাকারে চলতে থাকে। গৃহ ব্যবস্থাপনার পর্যায়গুলাে অনুসরণ করে আমার কক্ষটিকে যেভাবে আরও আকর্ষণীয় করে তােলা যায় তা নিম্মে বর্ণনা করা হলাে: গৃহ ব্যবস্থাপনার সংজ্ঞা হতে স্পষ্ট ধারণা করা যায় যে, গৃহ ব্যবস্থাপনা পারিবারিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য কতগুলাে ধারাবাহিক কর্মপদ্ধতির সমষ্টি মাত্র। এ পদ্ধতি গুলাে ধারাবাহিক ভাবে সম্পন্ন করতে হয় বলেই এগুলােকে গৃহ ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি বা পর্যায় বলা হয়।

পরিকল্পনা : গৃহ ব্যবস্থাপনার প্রথম ধাপ হলাে পরিকল্পনা করা। লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে যেসব কর্মপ্রনালী অবলম্বন করা হয়, তার আগে কাজটি কীভাবে করা হবে, কেন করা হবে ইত্যাদি সম্বন্ধে চিন্তাভাবনা করার নাম পরিকল্পনা। অর্থাৎ পরিকল্পনা হলাে পূর্ব থেকে নির্ধারিত একিটি কার্যক্রম। এক্ষেত্রে, আমি আমার কক্ষটাকে কেন সুন্দর করতে চাই, কক্ষটি সুন্দর করতে চাইলে প্রথমে আমাকে কি করতে হবে এবং কেন করতে হবে এসব চিন্তাভাবনাই হলাে পরিকল্পনা। সৌন্দর্যবর্ধন এবং মনতুষ্টির জন্য আমি আমার কক্ষটাকে সুন্দর করতে চাই। কক্ষটি সুন্দর করতে হলে প্রথমে আমাকে আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে আলােচনা করে নিতে হবে। কারণ, পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে পরিবারের সদস্যদের মতামতে যেকোনাে কাজ করা অনেক সহজ হয়।

গৃহ ব্যবস্থাপনার পর্যায় অনুসরণ করে কক্ষটি আকর্ষণীয় করার উপায়-

সংগঠন : গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিবারের বিভিন্ন কাজগুলাের মধ্যে সংযােগ সাধন করার নাম সংগঠন। সংগঠন পর্যায়ে কোন কাজ কোথায় ও কিভাবে করা হবে তা স্থির করা হয়। কাজ করতে গেলে কোন কাজ কাকে দিয়ে করানাে হবে, সে কাজ সম্পর্কে কার অভিজ্ঞতা আছে, কিভাবে কাজটি করতে হবে, কি কি সম্পদ ব্যবহার করা হবে ইত্যাদি বিবেচ্য বিষয়সমূহ সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত। এক কথায় কাজ, কর্মী ও সম্পদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করাকে সংগঠন বলে।
আমার পরিকল্পিত কাজে আমার মা, বাবা এবং ভাই আমাকে সাহায্য করতে পারবে। যেভাবে তারা আমাকে সাহায্য করতে পারে তা নিম্মে কয়েকটি গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্টের মাধ্যমে দেখানাে হলাে :
– প্রথম পর্যায়ে করণীয় কাজের বিভিন্ন অংশের একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া রচনা করবে।
– দ্বিতীয় পর্যায়ে কোন কাজ আগে এবং কোন কাজ পরে হবে তা ধারাবাহিকভাবে নির্ধারন করবে।

নিয়ন্ত্রণ : গৃহ ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ করা। নিয়ন্ত্রণ বলতে বােঝায় পরিবারের সকল ব্যক্তি সুশৃংখলভাবে পারিবারিক লক্ষ্য অর্জনের কাজে নিয়ােজিত কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা। পরিকল্পিত কর্মসূচি ও পূর্ব নির্ধারিত মান অনুসারে কার্য সম্পাদিত হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা ও প্রযােজনবােধে উপযুক্ত সংশােধনীর ব্যবস্থা করা এ
পর্যায়ের কাজ চলাকালীন অবস্থায় কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে, যে পরিকল্পনা করা হয়েছে সে অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা, যাকে যে কাজ দেয়া হয়েছে সেই কাজ সঠিকভাবে করছে কিনা ইত্যাদি। প্রয়ােজনবােধে কাজের ধারা পরিবর্তন করে কাজ সম্পাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে কক্ষটি সাজানাে আমার পছন্দ হচ্ছে কিনা বা না হলে আমি যা করব – প্রয়ােজন অনুযায়ী গৃহীত পরিকল্পনায় কিছুটা রদবদল করে নতুন কোনাে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে দৃষ্টিনন্দন করার চেষ্টা করবাে।

মূল্যায়ন : গৃহ ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ পর্যায় হলাে মূল্যায়ন করা। কাজের ফলাফল বিচার বা যাচাই করাই হচ্ছে মূল্যায়ন। পরিকল্পনা ও। নিয়ন্ত্রণের ওপর কাজের ফলাফল নির্ভর করে। কাজটি করার পেছনে এ যে লক্ষ্য ছিল তা অর্জনে পূর্ববর্তী পর্যায়গুলাের অবদান পুত্থানুপুঙ্খরূপে মূল্যায়ন করতে হবে।মূল্যায়ন ছাড়া কাজের সফলতা ও বিফলতা নিরূপণ করা যায় না। কাজের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে ফলাফল যাচাই করতে হয়। উদ্দেশ্য সাধিত না হলে ফলাফল ভালাে হলাে হয়নি এটা বুঝতে হবে।

সঠিক মূল্যায়নের জন্য আমাকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলাের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে :

  • উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনার সাথে কাজের মিল খুজে বের করা;
  • লক্ষ্য অনুযায়ী পরিকল্পিত কাজগুলাে কতটা সার্থক হয়েছে তা যাচাই করা;
  • লক্ষ্য অনুযায়ী কাজের মান যাচাই করা
  • কাজের সফলতা বা ব্যর্থতা নিরূপণ করা এবং
  • কাজে ব্যর্থ হলে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করে পরবর্তীতে সংশােধনের মাধ্যমে কাজে সফল হওয়ার উপায় খুজে বের করা ।

মূল্যায়নের ভিত্তিতে এ কথা বলতে দ্বিধা নেই যে, সু-সজ্জিত এবং পরিচ্ছন্ন কক্ষটিতে বসে এখন আমার অনেক ভালাে লাগছে। দৃষ্টিনন্দন ও মনকাড়া এই কক্ষে বসে আমি আরাম অনুভব করছি। আমার কক্ষের প্রতিটি জিনিসই এখন আকর্ষিত।


২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২১। মোট বিষয় : ৪টি (ইংরেজি, জীববিজ্ঞান, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, পৌরনীতি ও নাগরিকতা)

নবম শ্রেণির দ্বিতীয় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট : ইংরেজি, জীববিজ্ঞান, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, পৌরনীতি ও নাগরিকতা। ৩য় সপ্তাহের নবম শ্রেণির এসাইনমেন্ট উত্তর এখানে দেয়া হয়েছে।

Class 9 English Assignment (2nd) Answers – Father of the nation paragraph

Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman :
Bangabandhu sheikh mujibur Rahman is the architect of independent Bangladesh. He is recognized as the greatest Bengali of the past thousand years. We owe to his charismatic leadership for making us a free nation. This great leader was born on 17th March 1920 at Tungipara in Gopalganj. His father’s name was Sheikh Lutfur Rahman and mother’s name was Sayera Khatun. He passed the matriculation examination from the Gopalganj Mission High School. He obtained BA degree in 1947 from the Kolkata Islamic College. Afterwards, he joined the politics and did his best for the Bengali Nation to make them free from the misrule and oppression of the Pakistani rulers.

He recognized the Awami. In 1966, he announced his famous six-point program, which aimed at self-rule for East Pakistan. Struck sharp at the roots of West-Pakistan dominance, the six-point program at once drew the attention of the nation. Though conservative elements of all political parties looked at it with consternation, it instantaneously stirred the younger generation, particularly the students, youth and working classed.

A sedition case, known as `Agartala conspiracy case’, was brought against him. It may be noted that during most of the period of the Ayub regime.

নবম শ্রেণির জীববিজ্ঞান এসাইমেন্টের উত্তর (২য় সপ্তাহ) :

>> জীববিজ্ঞান এসাইনমেন্ট : নিচের সংকেতগুলাে অনুসরণ কওে | Margulis এর শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী জীব জগতের ৫টি রাজ্যের বৈশিষ্ট্য তুলনামূলক ছকে উপস্থাপন কর এবং নিচে উল্লেখিত তােমার পরিচিত জীবগুলােকে তাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে ছকটিতে দেখাও।
সংকেত : (ক) নিচের বৈশিষ্ট্যেও আলােকে রাজ্য নির্বাচন কর: ১. কোষের প্রকৃতি ও সংখ্যা ২. নিউক্লিয়াসের গঠন ৩. সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গানুসমূহ ৪. কোষ বিভাজন ৫. খাদ্যাভাস ৬. জনন পদ্ধতি ৭. ভ্রণ গঠন।
(খ) কোনটি কোন রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত তা দেখাও : ১. আমগাছ ২. আমাশয়ের জীবাণু। ৩. দোয়েল | ৪. রাইজোবিয়াম
৫. মিউকর, ৬. সাইকাস ৭. শামুক ৮. অ্যাগারিকাস, ৯. নিউমােকক্কাস ১০. স্পাইরােগাইরা

উত্তর : Margulis-এর শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী জীব জগতের ৫টি রাজ্যের বৈশিষ্ট্য তুলনামূলক ছকে উপস্থাপন করা হল ।

মনেরাপ্রােটিস্টাফানজাইপ্লানটিঅ্যানিমেলিয়া
এর এককোষী । ফিলামেন্টাস, কলোনিয়াল ।১. এরা এককোষী ও বহুকোষী।১.এককোষী অথবা মাইসেলিয়াম দিয়ে গঠিত।১. এরা বহুকোষী।১. এরা বহুকোষী।
২. নিউক্লিয়াসেnক্রোমাটিন বস্তু থাকে কিন্তু। নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নাই।২. নিউক্লিয়াসে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে, নিউক্লিয়ার পর্দা আবৃত এবং নিউক্লিওলাস থাকে।২. নিউক্লিয়াসে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে, নিউক্লিয়ার পর্দা আবৃত এবং নিউক্লিওলাস থাকে।২. নিউক্লিয়াসে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে, নিউক্লিয়ার পর্দা আবৃত এবং নিউক্লিওলাস থাকে।২. নিউক্লিয়াসে ক্রোমাটিন বস্তু। থাকে, নিউক্লিয়ার পর্দা আবৃত এবং নিউক্লিওলাস থাকে।
৩, এদের কোষে। প্লাস্টিড,মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডােপ্লাজমিক জালিকা নেই, কিন্তু। রাইবােসােম আছে।৩. কোষে সকল ধরনের কোষ অঙ্গাণু থাকে।৩. প্লাস্টিড ছাড়া সকল ধরণের অঙ্গাণু থেকে।৩. কোষে সকল ধরনের কোষ অঙ্গাণু থাকে।৩. কোষে প্লাস্টিড, কোষপ্রাচীর ও কোষগহ্বর ছাড়া সকল ধরনের অঙ্গাণু থাকে।
৪. দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় কোষ বিভাজন হয়।৪. মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কোষ বিভাজিত হয়।৪. অ্যামাইটোসিস বা প্রত্যক্ষ প্রক্রিয়ায় কোষ বিভাজিত হয়।৪. মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় দেহকোষ এবং মিয়ােসিস প্রক্রিয়ায় জননকোষ বিভাজিত হয়।৪. মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় দেহকোষ এবং মিয়ােসিস প্রক্রিয়ায় জননকোষ বিভাজিত হয়।
৫. শশাষণ পদ্ধতিতে খাদ্য গ্রহণ করে এবং পরভােজী।৫. শােষণ ও ফটোসিনথেটিক পদ্ধতিতে খাদ্য গ্রহণ ঘটে। এরা পরভােজী এবং স্বভােজী।৫. শশাষণ পদ্ধতিতে খাদ্য গ্রহণ করে এবং মৃতজীবী বা পরজীবী বা মিথােজীবী।৫.স্বভােজী বা নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করে।৫.হেটারােট্রফিক অর্থাৎ পরভােজী।
৬. অযৌন প্রক্রিয়ায় প্রজনন ঘটে বংশ বৃদ্ধি করে।৬. যৌন ও অযৌন প্রক্রিয়ায় প্রজনন ঘটে বংশ বৃদ্ধি। করে।৬. অযৌন প্রক্রিয়ায় প্রজনন ঘটে বংশ বৃদ্ধি করে।৬. যৌন প্রক্রিয়ায় প্রজনন ঘটে বংশ বৃদ্ধি করে।৬. যৌন প্রক্রিয়ায় প্রজনন ঘটে বংশ বৃদ্ধি করে।
৭. ভূণ গঠিত হয় না। আমাশয়ের জীবাণু নিউমােকক্কাস৭.ভূণ গঠিত হয় না। রাইজোবিয়াম৭. ভূণ গঠিত হয় না। মিউকর অ্যাগারিকাস৭. ভূণ গঠিত হয় আমগাছ। সাইকাস স্পাইরােগাইরা৭. ভূণ গঠিত হয়। দোয়েল, শামুক

নবম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং এসাইমেন্টের উত্তর (২য় সপ্তাহ) :

>> ফিনান্স ব্যাংকিং এসাইনমেন্ট প্রশ্ন : অর্থায়নের ক্রমবিকাশ (নিবন্ধ রচনার ক্ষেত্রে ভূমিকা, অর্থায়নের ধারণা, ক্রমবিকাশ এবং উপসংহার লিখতে হবে।)

উত্তর :
অর্থায়নের ক্রমবিকাশ : এক সময় মানুষ পণ্যের বিনিময়ে পণ্য বিনিময় করতাে। যাকে বার্টার সিস্টেমস বলা হতাে। কিন্তু দ্রব্য বিনিময় প্রথার কিছু সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয় এবং এ সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্যই অর্থের সূচনা হয়। অর্থনৈতিক ক্রমবিকাশের সাথে সাথে পণ্য দ্রব্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় শ্রমবিভাগের সূচনা ঘটে। অষ্টদাশ এবং উনবিংশ শতাব্দিতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও উৎপাদনক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করে যা, শিল্প বিপ্লব নামে পরিচিতি লাভ করে। ব্যবসায়বাণিজ্য ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে সাথে প্রতিযােগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে অর্থায়নের ধারণা ও ব্যবহার অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়ে।

অর্থায়নের ধারণা:  অর্থায়ন তহবিল ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করে। কোন উৎস থেকে কী পরিমাণ তহবিল সংগ্রহ করে, কোথায় কীভাবে বিনিয়ােগ করা হলে কারবারে সর্বোচ্চ মুনাফা হবে, অর্থায়ন সেই সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে। একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মালামাল বিক্রয় থেকে অর্থের আগমন হয়। কারবারে মালামাল প্রস্তুত ও ক্রয় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের তহবিলের প্রয়ােজন হয়। যেমন: মেশিনপত্র ক্রয়, কাঁচামাল ক্রয়, শ্রমিকদের মজুরি প্রদান ইত্যাদি। এগুলাে তহবিলের ব্যবহার। তহবিলের এই প্রয়ােজন

অর্থায়নের ক্রমবিকাশ: অষ্টাদশ শতাব্দীতে অর্থায়ন মূলত হিসাবরক্ষণ ও আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কার্যক্রম ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করতাে। উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে ক্ল্যাসিকেল ধারার ব্যষ্টিক অর্থনীতির উন্নয়নের সাথে অর্থায়ন সম্পৃক্ত ছিল। অর্থায়নের ক্রমবিকাশের ধারা অর্থায়নের প্রকৃতি ও আওতা সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দেয়। তাছাড়া ব্যবসায়প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত আর্থিক অবস্থা তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন রকম প্রতিবেদন প্রস্তুত করণ এবং নগদ অর্থের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান যাতে করে যথাসময়ে প্রদেয় বিল পরিশােধ করতে পারে, তা অর্থায়নের ধারায় অর্থায়নের কাজ হিসেবে অন্তরভূক্ত হয়। কিন্তু সভ্যতা বিকাশের সাথে সাথে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের আওতা ও পরিধি বৃদ্ধি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন একজন আর্থিক ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব ও কার্যাবলীকে পরিবর্তন করেছে সেই সাথে অর্থায়ন বিষয়ক ধারণা ও পরিবর্তিত হয়েছে। নিম্নোক্ত আলােচনায় অর্থায়নের ক্রমবিকাশের ধারা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলাে:

ক) ১৯৩০-এর পূর্ববর্তী দশক : এই সময়কালে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলাের মধ্যে একত্রীকরণের প্রবণতা শুরু হয়। আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণ করে কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন প্রতিষ্ঠান একত্রীকরণ হওয়া উচিত এই সংক্রান্ত রূপরেখা দিতে আর্থিক ব্যবস্থাপকদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। তারা এই একত্রীকরণে বিশাল অংকের অর্থসংস্থান ও আর্থিক বিবরণী তৈরি করার দায়িত্ব পালন করেন।

খ) ১৯৩০-এর দশক : একত্রীকরণ প্রবণতা যুক্তরাষ্ট্রে যথেষ্ট সফলতা পায়নি। আগের দশকে একীভূত অনেক প্রতিষ্ঠানই পরের দশকে দেউলিয়া হয়ে যায়। উপরন্তু ত্রিশের দশকে যুক্তরাষ্ট্রে চরম মন্দা শুরু হয়। অনেক লাভজনক প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় পড়ে যায়। সেমতাবস্থায় কারবারগুলাে পুনর্গঠন করে কীভাবে প্রতিষ্ঠানগুলােকে দেউলিয়াত্ব থেকে রক্ষা করা রাখা যায়, এ ব্যাপারে আর্থিক ব্যবস্থাপক বিশেষ দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় থেকেই শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে অর্থায়নের প্রয়ােজন দেখা দেয়।

গ) ১৯৪০-এর দশক : এ সময়ে সুষ্ঠুভাবে কারবার পরিচালনার জন্য তারল্যের প্রয়ােজনীয়তা বিশেষভাবে উপলব্ধি করা যায়। নগদ অর্থপ্রবাহের বাজেট করে সুপরিকল্পিত নগদপ্রবাহের মাধ্যমে অর্থায়ন সেই দায়িত্ব পালন করে।

ঘ) ১৯৫০-এর দশক : এই দশকে অর্থায়ন পূর্বের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে সর্বোচ্চ লাভজনক বিনিয়ােগ প্রকল্প মূল্যায়নে নানা প্রকার গাণিতিক বিশ্লেষণ কাজে নিয়ােজিত হয়। সুদূরপ্রসারী প্রাক্কলনের মাধ্যমে উপযুক্ত দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়ােগ করে বিক্রয় বৃদ্ধি ও ব্যয় হ্রাস করে মুনাফা সর্বোচ্চকরণ করাই তখন অর্থায়নের প্রধান কাজে পরিণত হয়। এই ধারাকে অর্থায়নের সনাতন ধারা হিসেবে গণ্য করা হয়।

ঙ) ১৯৬০-এর দশক : এই সময় থেকেই আধুনিক অর্থায়নের যাত্রা শুরু। অর্থায়ন মূলধন বাজারকে অগ্রাধিকার দিতে শুরু করে। শেয়ারহােল্ডাররা প্রতিষ্ঠানের মালিক ফলে শেয়ার হােল্ডারদের সম্পদ বা শেয়ারের বাজারদর সর্বাধিকরণই ছিল এই সময়ের অর্থায়নের উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্যকে সফল করার ক্ষেত্রে নানা রকম আর্থিক বিশ্লেষণমূলক কার্য শুরু হয়। অর্থায়নে ঝুঁকির ধারণা বুঝিয়ে দেয় যে মনাফা বদ্ধির সাথে সাথে সাধারণত ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। সুতরাং মুনাফা বৃদ্ধি সর্বদা কাক্ষিত নাও হতে পারে।
চ) ১৯৭০-এর দশক : এই দশকে কম্পিউটার অধ্যায়ের শুরু হয়, যা শুধু উৎপাদন কৌশলই নয়, কারবারি অর্থায়নকেও পাল্টিয়ে দেয়। অর্থায়ন এখন অংকনির্ভর হয়ে উঠেছে। বেশির ভাগ আর্থিক সিদ্ধান্ত | মূলত জটিল অংকনির্ভর এবং কম্পিউটারের মাধ্যমেই তা সুচারুরূপে সম্পাদন করার প্রবণতা এই সময়ে বিশেষ জনপ্রিয়তা পায়। যেমন ঝুঁকির ধারণা এখন অনেকটা সঠিকভাবে পরিমাপ ও ব্যবস্থাপনা করা হয়। মূলধনি কাঠামাের সনাতন ধারণাও অনেক জটিল ও অংকনির্ভর হয়। এই সময় যেসব তাত্ত্বিক কারবারি অর্থায়নকে নানা তত্ত্বের বিশ্লেষণে সমৃদ্ধ করেছিলেন, তাদের মধ্যে হ্যারি মার্কোইজ, মার্টন মিলার, মডিগ্নিয়ানি ছিলেন উল্লেখযোেগ্য। পরবর্তীতে ১৯৯০-এর দশকে এসব তাত্ত্বিকগণ গাণিতিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে অর্থায়নের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য নােবেল পুরস্কার লাভ করেন

ছ) ১৯৮০-এর দশক : ব্যবসায় সম্প্রসারণ ও প্রতিযােগিতামূলক বাজারব্যবস্থায় টিকে থাকার জন্য অর্থায়ন তার সনাতনী দায়িত্বের পরিবর্তন করে নতুনরূপে আবির্ভূত হয়। এই সময় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে মূলধনের সুদক্ষ বণ্টন ও প্রকল্পগুলাে হতে অর্জিত আয়ের বিচার-বিশ্লেষণই ছিল অর্থায়নের মূল বিষয়।

জ) ১৯৯০-এর দশক ও আধুনিক অর্থায়নের সূচনা : এই দশকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (World Trade Organization) আত্মপ্রকাশ করে। বিশ্বব্যাপী আমদানি-রপ্তানির প্রতিবন্ধকতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। অর্থায়নও এ সময়ে আন্তর্জাতিকতা লাভ করে। একদিকে যেমন অর্থায়নের বিনিয়ােগ সিদ্ধান্ত পৃথিবীর কোথায়, কোন পণ্য প্রস্তুত করা ও বিক্রয় করা লাভজনক সেটা বিবেচনা করে, আরেকদিকে বিশ্বের কোন মূলধনি বাজার কী প্রকৃতির ও কোথা থেকে তহবিল সংগ্রহ করা লাভজনক, তাও অর্থায়নের বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়। ফলে অর্থায়ন হলাে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় একটি প্রায়ােগিক সমাধানের ক্ষেত্র, যা হিসাবরক্ষণ, অর্থনীতি ও অন্যান্য আর্থিক বিষয়গুলােকে সংমিশ্রণ করে সৃষ্টি হয়েছে।

অর্থায়নের আওতা বা পরিধি ব্যাপক বিস্তৃত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যেমন- ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক তথা সার্বিক কর্মকাণ্ডে আর্থিক লেনদেন অপরিহার্য। অর্থ ছাড়া যেমন দৈনন্দিন জীবনের অর্থনৈতিক কথাবার্তা চিন্তা করা যায় না। তেমনিভাবে অর্থ ছাড়া একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও অচল। তাই অর্থকে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জীবনীশক্তি (Life blood) বলা হয়। সমাজ ও সভ্যতার ক্রমবিকাশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে সাথে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের পরিধি ও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে আধুনিক পণ্য বাজারে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলাের মধ্যে প্রচণ্ড প্রতিযােগিতা সৃষ্টি হয়েছে। তাই প্রতিযােগিতামূলক ব্যবসায়িক পরিবেশে মুনাফা অর্জন করতে হলে একজন ব্যবসায়ীকে যুগউপযােগী পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে ও যথাযথ ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে অর্থের ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে হবে, যেন পণ্য উৎপাদন খরচ, বিক্রয় খরচ ও অন্যান্য খরচ সর্বনিম্ন রাখা সম্ভব হয় এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়।

নবম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা এসাইমেন্টের উত্তর (২য় সপ্তাহ) :

>> পৌরনীতি এসাইনমেন্ট প্রশ্ন : পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টি পাঠ-শেষে তােমার অর্জনসমূহের তালিকা সম্বন্বিত একটি পােস্টার তৈরি কর।
সংকেত : ১। নাগরিকতা ২। পরিবার ৩। সমাজ ৪। রাষ্ট্র ৫। আন্তর্জাতিক সংস্থা।

উত্তর : খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে ।


নবম শ্রেণির ১ম সপ্তাহের এসাইনমেন্টের প্রশ্ন ও উত্তর :

করোনার কারণে স্কুল-কলেজে ছুটি চলছে । শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে নির্ধারিত কাজ বা এ্যাসাইনমেণ্ট প্রণয়ন করা হয়েছে । এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের মার্চ মাসের ২০ তারিখ থেকে পূণরায় ৯ম শ্রেণির এসাইনমেণ্ট জমাদানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে  ।

  • ১ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২১
  • মোট বিষয় : ৩টি (বাংলা, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়)

৯ম শ্রেণিতে মোট ত্রিশটি বিষয় রয়েছে । ত্রিশটি বিষয়ের মধ্যে আবশ্যিক এবং গ্রুপ ভিত্তিক বিষয় রয়েছে। বিভিন্ন সপ্তাহে বিভিন্ন বিষয়ে এসাইনমেন্ট দেওয়া দেওয়া হবে । শিক্ষার্থীরা তাদের নির্ধারিত কাজ নির্ধারিত সময়ে শ্রেণী শিক্ষকের নিকট জমা দিবেন । নিচে নবম শ্রেণীর সকল বিষয়ের এ্যাসাইনমেণ্ট সমাধান দেওয়া হল –

 ১ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ : প্রথম সপ্তাহে তিনটি বিষয়ের উপর অ্যাসইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে । নিচে প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হল :

৯ম শ্রেণির বাংলা ১ম সপ্তাহের এসাইনমেন্টের প্রশ্ন ও উত্তর :

প্রশ্ন / অনুচ্ছেদ রচনা : ‘স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব

উত্তর : সুশিক্ষিত লােক মাত্রই স্বশিক্ষিত। আমাদের পাঠচর্চায় অনভ্যাস যে শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটির জন্য ঘটছে তা সহজেই লক্ষণীয়। আর্থিক অনটনের কারণে অর্থকরী নয় এমন সবকিছুই এদেশে অনর্থক বলে বিবেচনা করা হয়। সেজন্য বই পড়ার প্রতি লােকের অনীহা দেখা যায়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে লব্ধ শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ নয় বলে ব্যাপকভাবে বই পড়া দরকার। যথার্থ শিক্ষিত হতে হলে মনের প্রসার দরকার। তার জন্য বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে। বই-ই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। যার সাথে পার্থিব কোনাে সম্পদের তুলনা হতে পারে না। একদিন হয়তাে পার্থিব সব সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাবে, কিন্তু একটি ভালাে বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কখনাে নিঃশেষ হবেনা, তা চিরকাল জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখবে।

ব্যায়াম যেমন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে তেমনি বই পড়ার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের মনকে সুস্থ ও আনন্দিত রাখতে পারি। একটি ভালাে বই মানুষের মনশ্চক্ষু যেমন খুলে দেয়, তেমনি জ্ঞান ও বুদ্ধি কে প্রসারিত ও বিকশিত করে মনের ভিতর আলাে জ্বালাতে সাহায্য করে।

লাইব্রেরীতে লােকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী বই পড়ে যথার্থ শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারে । প্রগতিশীল জগতের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সাহিত্যচর্চা করা আবশ্যক। কেননা, সাহিত্যচর্চা হচ্ছে শিক্ষার সর্ব প্রধান অঙ্গ। আর সাহিত্য চর্চা করার জন্যই আমাদের বই পড়তে হবে। তাই, স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম।

৯ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১ম সপ্তাহের এসাইনমেন্টের প্রশ্ন ও উত্তর :

প্রশ্ন : ১৯৫২, ১৯৬৬, ১৯৭০ সাল বাংলাদেশের ইতিহাস বিনির্মানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন কিছু সময়। এর মাঝে কোন সালের ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অধিকতর প্রেরণা যুগিয়েছিল বলে তুমি মনে কর? যুক্তিসহ তোমার মতামত তুলে ধর।

উত্তর : প্রশ্নে উল্লেখিত সালগুলাে হলাে, ১৯৫২, ১৯৬৬,১৯৭০। নিম্নে এই সালগুলাের সাথে সম্পর্কিত ঘটনাগুলি ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করা হলাে:

১৯৫২ সাল (ভাষা আন্দোলন)

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ছিল পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন।
| ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গঠনের পর পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনীতিবিদরাই পাকিস্তান সরকারের প্রাধান্য পায়। পাকিস্তান সরকার ঠিক করে উর্দু ভাষাকে সমগ্র পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা করা হবে, যদিও পূর্ব পাকিস্তানে উর্দু ভাষার চল ছিলাে খুবই কম। পূর্ব পাকিস্তানের বাংলা ভাষাভাষী মানুষ | (যারা সংখ্যার বিচারে সমগ্র পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলেন) এই সিদ্ধান্তকে মােটেই  মেনে নিতে চায়নি। পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাভাষার সম-মর্যাদার দাবীতে শুরু হয়। আন্দোলন। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর খাজা নাজিমুদ্দিন জানান যে পাকিস্তান সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে। এই ঘােষণার ফলে আন্দোলন আরাে জোরদার হয়ে ওঠে। পলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে মিটিং-মিছিল। ইত্যাদি বে-আইনি ঘােষণা করে। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ সালে এই আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর অনেক ছাত্র ও আরাে কিছু রাজনৈতিক কর্মীরা মিলে একটি  মিছিল শুরু করেন। মিছিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ-এর কাছে এলে পুলিস মিছিলের উপর গুলি চালায়। গুলিতে নিহত হন আব্দুস সালাম,রফিক, বরকত, জব্বার সহ আরাে অনেকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সারা পূর্ব। পাকিস্তানে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে ও তীব্র আকার ধারন করে। অবশেষে পাকিস্তান। সরকার বাধ্য হয় বাংলা ও উর্দুভাষাকে সমমর্যাদা দিতে।

১৯৬৬ সাল (ছয় দফা)

১৯৬৬ সালে সংঘটিত হয় ঐতিহাসিক ৬ দফা। ঐতিহাসিক ৬ দফার প্রবক্তা জাতির | পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পূর্ব । বাংলার জনগণের প্রতি পাকিস্তান রাষ্ট্রের চরম বৈষম্যমূলক আচরণ ও অবহেলার বিরুদ্ধে আন্দোলন ও সংগ্রাম সুস্পষ্ট রূপ
লাভ করে ছয় দফার স্বায়ত্তশাসনের দাবিনামায়। ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহােরে অনুষ্ঠিত বিরােধী দলসমূহের এক। সম্মেলনে যােগদান করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান। সেখানে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে পূর্ব সেখানে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। দফাগুলাে হলাে:

১ম দফা : লাহাের প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তানের জন্য সত্যিকার অর্থে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করতে হবে। সরকার হবে সংসদীয় পদ্ধতির । সর্বজনীন ভােটাধিকারের ভিত্তিতে সকল প্রাপ্ত বয়স্কের ভােটে জাতীয় ও প্রাদেশিক আইনসভাগুলাে গঠিত হবে ।

২য় দফা : যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের হাতে থাকবে দেশরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয়। অবশিষ্ট সকল বিষয় প্রদেশের হাতে থাকবে ।

৩য় দফা : দেশের দুই অঞ্চলের জন্য দুটি পৃথক অথচ সহজ বিনিময়যােগ্য মুদ্রা চালু থাকবে অথবা দেশের দুই অঞ্চলের জন্য একই মুদ্রা থাকবে। তবে সংবিধানে এমন ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে এক অঞ্চলের মুদ্রা ও মূলধন অন্য অঞ্চলে পাচার হতে না পারে।

৪র্থ দফা : সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা ও কর ধার্য এবং আদায়ের ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে তবে কেন্দ্রিয় সরকারের ব্যয় নির্বাহের জন্য আদায় কৃত অর্থের একটি অংশ কেন্দ্রিয় সরকার পাবে ।

৫ম দফা ; বৈদেশিক বাণিজ্যি ও বৈদেশিক মুদ্রার উপর প্রাদেশিক সরকারের ক্ষমতা থাকবে। সকল প্রকার বৈদেশিক চুক্তি ও সহযােগিতার ব্যাপারে প্রাদেশিক সরকার দায়িত্ব পালন করবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা যুক্তিযুক্ত হারে উভয় সরকার কর্তৃক মেটানাে হবে।

৬ষ্ঠ দফা : আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য আঞ্চলিক সরকারগুলাে স্বীয় কর্তৃত্বাধীন আধা সামরিক বাহিনী (প্যারা মিলিশিয়া) গঠন ও পরিচালনা করতে পারবে।

ছয় দফা কর্মসূচির মূল আবেদন ছিল পূর্ব পাকিস্তান শুধু একটি প্রদেশ নয় বরং একটি স্বতন্ত্র স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল । সকল প্রকার শােষণ ও বঞ্চনার অবসান ঘটানােই ছিল এর লক্ষ্য।

>> ৫ম সপ্তাহের সব শ্রেণির এসাইনমেন্ট লিংক : http://dshe.gov.bd/sites/default/files/files/dshe.portal.gov.bd/notices/74316eee_1292_4a83_86d4_52b5e6e9a906/%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87%20%E0%A7%AF%E0%A6%AE%20%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%B0%20%E0%A6%8F%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%20(%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%AE%20%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF).pdf
>> ৬ষ্ঠ ৭ম ৮ম ও ৯ম শ্রেণির ২০২১ শিক্ষাবর্ষে ১ম এসাইনমেন্ট (২২ পৃষ্ঠা) ডাউনলোড লিংক : http://www.dshe.gov.bd/sites/default/files/files/dshe.portal.gov.bd/notices/da715823_af50_436a_9114_77874ebde3c5/%E0%A6%93%20%E0%A6%8F%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A7%20(%E0%A7%A7%E0%A6%AE%20%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF).pdf
>> এসাইনমেন্টের ফলপ্রসু যাচাইয়ের পাইলট প্রোগ্রাম সংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রম প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তি : dshe.gov.bd/sites/default/files/files/dshe.portal.gov.bd/notices/ff3c49ab_e84c_4801_af3a_bbcd2d720bc3/123.pdf

>> ষষ্ঠ শ্রেণির এসাইনমেন্ট ২০২১ : ১ম সপ্তাহের উত্তর
>> সপ্তম শ্রেণির এসাইনমেন্ট ২০২১ : ১ম সপ্তাহ
>> অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট ২০২১ – ১ম সপ্তাহ – বাংলা ও ইসলাম
>> সাপ্তাহিক এসাইনমেন্ট মূল্যায়ন ছক ২০২১

Rate this post

প্রাসঙ্গিক

3 Comments

  1. সব কি ঠিক আছে ভাই না বোন জানি না

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page