চাকরির খবর

৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অক্টোবরে

প্রায় ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অক্টোবরের (২০২০) প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ হতে পারে বলে জানা গেছে। অনলাইন আবেদনের জন্য প্রার্থীদের এক মাস সময় দেওয়া হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ে সব মিলিয়ে প্রায় ৩৬ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এই বিজ্ঞপ্তি চলতি বছরের প্রথম দিকে প্রকাশ হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতির কারণে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পিছিয়ে গেছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫,৩০০ জন সহকারী শিক্ষক এবং প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পাবেন। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করতে কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসছে। অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।

আরো আগেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশনা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রস্তুতি ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে দুই স্তরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির খসড়াও তৈরি হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক পদ ইতোমধ্যে সৃজন করা হয়েছে। এসব পদে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর ব্যাপারে আরো আগেই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদগুলো চিহ্নিত করে সেসব পদে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য কাজ করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে। এর জন্য ওয়েবসাইট আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এমনভাবে সিস্টেম করা হচ্ছে যাতে প্রার্থীরা আবেদন করার পর সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য (জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য) ও একাডেমিক তথ্য (সার্টিফিকেট) যাচাই-বাছাই করা যায়। এর ফলে আবেদনের পর উপযুক্ত প্রার্থীদের যাচাই করতে বাড়তি সময় লাগবে না।

এ বছরের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আবেদনকারী নারী-পুরুষ উভয়কেই শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এছাড়া আবেদনের ফি গতবারের (১৬৬+ টাকা) তুলনায় বাড়তে পারে।

প্রাক-প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (পিইডিপি) এর আওতাভুক্ত হলেও প্রকল্পের মেয়াদ শেষে এ স্তরের শিক্ষকদের রাজস্বখাতে অন্তভুক্ত করা হবে।

Rate this post

প্রাসঙ্গিক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page