বুনিয়ানুম মারসুস অর্থ কি? এই শব্দের কৌশলগত ও প্রতীকী গুরুত্ব

বুনিয়ানুম মারসুস অর্থ কি? এই শব্দের কৌশলগত ও প্রতীকী গুরুত্ব : “বুনিয়ান আল-মারসুস” (بُنْيَانٌ مَّرْصُوصٌ) একটি আরবি শব্দগুচ্ছ, যার অর্থ “একটি দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত কাঠামো” বা “সীসা দ্বারা সিমেন্ট করা একটি কঠিন প্রাচীর”।
এই শব্দগুচ্ছটি কোরআনের সূরা আস-সাফ (৬১:৪) থেকে নেওয়া হয়েছে:
“নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাদেরকে ভালোবাসেন, যারা তাঁর পথে যুদ্ধ করে সারিবদ্ধভাবে, যেন তারা একটি দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত কাঠামো।”
এই আয়াতটি ঐক্য, শৃঙ্খলা এবং দৃঢ়তার গুরুত্বকে তুলে ধরে, বিশেষ করে যুদ্ধের সময়।
পাকিস্তানের সামরিক প্রেক্ষাপটে অপারেশন বুনিয়ান আল-মারসুস
২০২৫ সালের মে মাসে, পাকিস্তান “অপারেশন বুনিয়ান আল-মারসুস” চালু করে, যা ভারতের বিরুদ্ধে একটি প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযান ছিল। এই অভিযানে পাকিস্তান ২৫টিরও বেশি ভারতীয় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালায়, যার মধ্যে গুজরাট, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং ভারত-শাসিত কাশ্মীরের অংশ অন্তর্ভুক্ত ছিল ।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির ফজরের নামাজ আদায় করে এবং সূরা আস-সাফ তিলাওয়াত করে এই অভিযান শুরু করেন, যা এই অভিযানের ধর্মীয় অনুপ্রেরণাকে প্রতিফলিত করে ।
অপারেশন বুনিয়ান আল-মারসুসের কৌশলগত ও প্রতীকী গুরুত্ব
এই অপারেশনের নামকরণ পাকিস্তানের ঐক্য, দৃঢ়তা এবং আত্মরক্ষার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। কোরআনিক শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করে পাকিস্তান তার সামরিক পদক্ষেপকে ধর্মীয় ও জাতীয় ঐক্যের সাথে সংযুক্ত করেছে, যা জনগণের মধ্যে সমর্থন জোগাতে সহায়ক হয়েছে।
উপসংহার
“অপারেশন বুনিয়ান আল-মারসুস” শুধুমাত্র একটি সামরিক অভিযান নয়; এটি পাকিস্তানের ঐক্য, দৃঢ়তা এবং আত্মরক্ষার প্রতীক। কোরআনিক অনুপ্রেরণায় নামকরণ করা এই অভিযান পাকিস্তানের সামরিক কৌশল এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের সমন্বয়কে প্রতিফলিত করে। এই ধরনের নামকরণ জাতীয় ঐক্য জোরদার করতে এবং আন্তর্জাতিক মহলে একটি দৃঢ় বার্তা প্রেরণে সহায়ক হতে পারে।