সম্পূর্ণ সুপারকন্ডাক্টিং চুম্বক ব্যবহার করে ৩ লাখ ৫১ হাজার গাউসের (চৌম্বকশক্তির একক) একটি স্থিতিশীল চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি করেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা, যা একটি বিশ্বরেকর্ড।
এ আবিষ্কারের ফলে এ সংক্রান্ত উন্নত বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি—যেমন নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স স্পেকট্রোমিটারের বাণিজ্যিক ব্যবহারে বিপ্লব ঘটবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। পাশাপাশি এটি ফিউশন ম্যাগনেট সিস্টেম, মহাকাশে তড়িৎচৌম্বকীয় প্রপালশন, অতিপরিবাহী তাপ প্রবর্তন, ম্যাগলেভ প্রযুক্তি ও বিদ্যুৎ পরিবহনেও তৈরি করবে নতুন সম্ভাবনা।
চুম্বকটি তৈরি করেছে হফেইভিত্তিক চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের ইনস্টিটিউট অব প্লাজমা ফিজিক্স (এএসআইপিপি)। সঙ্গে ছিল হফেই ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপ্লাইড সুপারকন্ডাক্টিভিটি সেন্টার, হফেই কম্প্রিহেনসিভ ন্যাশনাল সায়েন্স সেন্টারের এনার্জি ইনস্টিটিউট এবং সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর স্বাভাবিক চৌম্বকক্ষেত্র প্রায় ০.৫ গাউস। সেখানে নতুন তৈরি এই চৌম্বকক্ষেত্র পৃথিবীর তুলনায় ৭ লাখ গুণ শক্তিশালী। এর আগের বিশ্বরেকর্ড ছিল ৩ লাখ ২৩ হাজার ৫০০ গাউস।
এএসআইপিপি-এর গবেষক লিউ ফাং জানান, নতুন চুম্বকটিতে উচ্চ তাপমাত্রার সুপারকন্ডাক্টিং ইনসার্ট-কয়েল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা নিম্ন তাপমাত্রার চুম্বকগুলোর সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করে। এতে নিম্ন তাপমাত্রা ও উচ্চ চৌম্বকক্ষেত্রের পরিস্থিতিতে সৃষ্ট নানা প্রযুক্তিগত জটিলতা সফলভাবে অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে।
প্রায় ৩৫.১ টেসলা শক্তির এই চৌম্বকক্ষেত্র ৩০ মিনিট স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং এটিকে নিরাপদভাবে বন্ধ করা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের চুম্বক ফিউশন রিঅ্যাক্টরের মূল উপাদান। এটি উচ্চতাপমাত্রার প্লাজমাকে চৌম্বক বলয়ে আটকে রাখতে পারে।
সূত্র: সিএমজি বাংলা