চাকরির খবর

NTRCA বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ গণবিজ্ঞপ্তি শিগগিরই, পদ ৭০ হাজার

NTRCA বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ গণবিজ্ঞপ্তি শিগগিরই প্রকাশ করা হবে, এ বিজ্ঞপ্তির পদ সংখ্যা ৭০ হাজার। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এনটিআরসিএ (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) শিক্ষক নিয়োগ দেবে ৭০ হাজার পদে। ২০২২ সালের নভেম্বর বা ডিসেম্বরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এটি হবে চতুর্থ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা গণবিজ্ঞপ্তি। শূন্য পদগুলোর অনুমোদন ও গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুমতি চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাস কয়েক আগেই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

এনটিআরসিএ কর্তৃক বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ ২০২২

কর্তৃপক্ষ :বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (NTRCA)
পদের ধরন :MPOভুক্ত বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক পদ
পদের সংখ্যা :৭০ হাজার পদ
বিজ্ঞপ্তি নং :৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি
ওয়েবসাইট :http://www.ntrca.gov.bd
NTRCA teacher jobs 2022

  • দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় এর আগে একসঙ্গে এত বেশি শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি।
  • সর্বশেষ, ২০২১ সালের ৩০ মার্চ ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্য পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এবার প্রায় ৭০ হাজার শূন্য পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে। এর আগে দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় একসঙ্গে এত বেশি শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি।

এনটিআরসিএ সূত্র বলছে, আগামী অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। শূন্য পদগুলোর অনুমোদন ও গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুমতি চেয়ে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, এবার আবেদন ফিও কমিয়ে আনা হচ্ছে। অনলাইন আবেদন পদ্ধতি সহজ করাসহ নানা সুবিধা পাবেন নতুন আবেদনকারীরা।

২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ দেয় এনটিআরসিএ। সে অনুযায়ী এবার চতুর্থ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে তারা। সর্বশেষ গত বছরের ৩০ মার্চ এনটিআরসিএ ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্য পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল।

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ গণবিজ্ঞপ্তি / ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি কবে হবে


এনটিআরসিএর নিয়োগ শাখা থেকে জানা গেছে, এ বছরের শুরুতে বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় কত লোকবল প্রয়োজন, তা জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। শূন্য পদের সংখ্যা কত, তা এবারই প্রথম অনলাইনে পূরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানেরা সেই তালিকা পূরণ করার পর তা যাচাই-বাছাই করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও পরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অনুমোদন দেন। সেটিও এবার অনলাইনে করা হয়েছে।

নিয়োগ শাখার কর্মকর্তারা জানান, প্রতিটি জেলার শূন্য পদের চাহিদা আসার পর তা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। সে অনুযায়ী এবার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ৭০ হাজার শূন্য পদ রয়েছে। এসব পদের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে নিয়োগের অনুমোদন শেষে নভেম্বর বা ডিসেম্বরের যেকোনো দিন চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. এনামুল কাদের খান গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘আমরা শূন্য পদের সংখ্যা পেয়েছি। গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য সব বিভাগে কাজ চলছে। এখানে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন আছে।’

আবেদন ফি কমছে


এনটিআরসিএর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আবেদন করার ক্ষেত্রে দুই দফায় টাকা নেওয়া হয়। একটি হচ্ছে সনদ পাওয়ার জন্য। এ জন্য আবেদনের শুরুতে ৩৫০ টাকা নেওয়া হয়। আরেকটি হচ্ছে পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে সনদ পাওয়ার পর পছন্দের প্রতিষ্ঠানে আবেদন করার সময়। সে সময় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদনের জন্য ১০০ টাকা করে ফি নেওয়া হতো। চাকরিপ্রার্থী যত ইচ্ছা তত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারতেন। কেউ ৫০টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলে তাঁকে দিতে হতো পাঁচ হাজার টাকা।

তবে এবার এনটিআরসিএ সনদ পাওয়ার পর চাকরিপ্রার্থীদের পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদনের নিয়মে কিছুটা বদলের সুপারিশ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী এবার একজন প্রার্থী সনদ পাওয়ার পর সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। আগের নিয়মে এ জন্য তাঁর খরচ হওয়ার কথা ছিল চার হাজার টাকা।

কিন্তু এবার তা কমিয়ে এক হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। আবেদনের নিচে লেখা থাকবে—‘পছন্দের ৪০টি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ না পেলে মেধার ভিত্তিতে যদি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পান, তাহলে যোগ দেবেন কি না?’ সেখানে প্রার্থী ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বাছাই করতে পারবেন।

এ বিষয়ে এনটিআরসিএ নিয়োগ শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, চাকরিপ্রার্থীদের খরচ কমাতে এবারই প্রথম অনলাইনে প্রার্থীরা পছন্দের ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করার সুযোগ পাচ্ছেন। এসব প্রতিষ্ঠানে সুযোগ না পেলে অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ রাখা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই এসব নিয়ম কার্যকর করা যাবে।

নতুন এ নিয়মকে সাধুবাদ জানিয়েছে এনটিআরসিএর সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরাম।

Rate this post

প্রাসঙ্গিক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page