শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় থাকছে না লিখিত পরীক্ষা, এটা গুজব : শিক্ষা মন্ত্রণালয়

5/5 - (2 votes)

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় থাকছে না লিখিত পরীক্ষা, এই তথ্যকে গুজব বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, শুধুমাত্র প্রিলিমিনারি ও মৌখিক পরীক্ষায় সনদ নয়।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি খবরে দাবি করা হয়েছে যে, ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনে কেবল প্রিলিমিনারি ও মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে সনদ দেওয়া হবে। তবে এই তথ্যকে সম্পূর্ণ গুজব হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, “নিবন্ধন নীতিমালায় কিছু ছোটখাটো সংশোধনী আনা হচ্ছে ঠিকই, তবে লিখিত পরীক্ষা বাদ দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। লিখিত পরীক্ষাই হচ্ছে শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থীদের দক্ষতা যাচাইয়ের মূল উপাদান। এ বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) মো. হেলালুজ্জামান সরকার গণমাধ্যমকে জানান, “কে বা কারা এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে, তা জানা যায়নি। তবে লিখিত পরীক্ষা বাদ দেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। লিখিত পরীক্ষাই প্রার্থীর বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান যাচাইয়ের প্রধান মাধ্যম।”

তিনি আরও জানান, “রোববার সকাল ১০টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হবে যেখানে শিক্ষক নিবন্ধন নীতিমালায় আংশিক পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হবে। তবে এই পরিবর্তনগুলো হবে সীমিত এবং গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলো বহাল থাকবে।”

শিক্ষক নিবন্ধনের ইতিহাস

  • ২০০৫ সালের মার্চের আগ পর্যন্ত দেশের স্কুল-কলেজগুলো নিজেরাই নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ করত।

  • এরপর এনটিআরসিএ (NTRCA) প্রতিষ্ঠিত হলে তারা নিবন্ধন সনদ দেওয়া শুরু করে।

  • ২০১৫ সাল থেকে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ করার পূর্ণ ক্ষমতা লাভ করে।

  • এ পর্যন্ত ১৮টি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা আয়োজন করেছে সংস্থাটি।

বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া “লিখিত পরীক্ষা বাদ” সংক্রান্ত তথ্য ভুল ও বিভ্রান্তিকরশিক্ষা মন্ত্রণালয় লিখিত পরীক্ষা বজায় রাখার পক্ষে এবং নীতিমালায় কোনো বড় পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই বলে নিশ্চিত করেছে।

এডু ডেইলি ২৪

Education, News and Information-based portal

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *