কলেজ ভর্তি রেজাল্ট ২০২২ – ফলাফল যেভাবে জানবেন

কলেজ ভর্তি রেজাল্ট (২০২২) ২৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তি ফলাফলের পর ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে ক্লাস শুরু করা হবে ২ মার্চ ২০২২ তারিখ থেকে।

শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে রাতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মোবাইলেও এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফলের তথ্য পাঠানো হয়েছে।

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১৪১ জন শিক্ষার্থী একাদশে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিল। এর মধ্যে ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ২২৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে।

নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ৩০ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ রাত ৮টার মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং চার্জ বাদে রেজিস্ট্রেশন ফি ২২৮ টাকা (ওয়েবসাইটে উল্লেখিত অপারেটর-এর মাধ্যমে) জমা দিয়ে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন করতে হবে।

পরবর্তী সময়ে মাইগ্রেশন নিতে হলে শিক্ষার্থীকে নতুন করে ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে না অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির তারিখ ১৯ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। 

একাদশ শ্রেণির ভর্তির ফলাফল ২০২২

ভর্তি কার্যক্রম :কলেজ ভর্তি
শ্রেণি :একাদশ শ্রেণি
প্রার্থী সংখ্যা : প্রায় ১৬ লাখ
রেজাল্টের তারিখ :২৯ জানুয়ারি ২০২২
ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চয়ন :৩০/১/২০২২ থেকে ৬/২/২০২২
প্রাথমিক নিশ্চয়ন ফি : ২২৮ টাকা
ভর্তির ওয়েবসাইট :http://xiclassadmission.gov.bd
ক্লাস শুরুর তারিখ :২ মার্চ ২০২২

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়েছে, পুনঃনিরীক্ষণের ফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদন নেয়া হবে ২১ জানুয়ারি ও ২২ জানুয়ারি। আর ২৪ জানুয়ারি পছন্দক্রম পরিবর্তনের সুযোগ দেয়া হবে বলে জানানো হয় নীতিমালায়। সেই সঙ্গে ২৯ জানুয়ারি প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে বলেও নিশ্চিত করা হয়।

ভর্তি নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে, ৩০ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের বাছাই নিশ্চয়ন করতে হবে। বাছাই নিশ্চিত না করলে তাকে পুনরায় ফি সহ আবেদন করতে হবে। নীতিমালা অনুযায়ী, আগামী ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন নেয়া হবে।

কলেজ চয়েস বা পছন্দক্রম অনুযায়ী ১ম এবং ২য় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি। ১১-১২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের বাছাই নিশ্চয়ন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে বাছাই নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে বলে উল্লেখ করা হয় নীতিমালায়।

আন্তঃশিক্ষাবোর্ড এর সমন্বয়ক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ জানিয়েছেন, এসএসসির পর অনেকেই কারিগরিশিক্ষাসহ বিভিন্ন সেক্টরে কর্মজীবনও শুরু করে। তাই পাস করা শিক্ষার্থীর চেয়ে কলেজে ভর্তির আবেদন ৪ লাখ কম। কলেজে ভর্তিতে কোনো আসন সংকট নেই বলে ও নিশ্চিত করেছে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড।

এ বিষয়ে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলম সাজু বলেছেন, ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস শুরু করা উচিত। সেই সঙ্গে পড়াশোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ করার ও পরামর্শ দেন তিনি।

এদিকে বোর্ড বলছে, একাদশে যারা ভর্তি হবে তাদের বেশিরভাগই টিকার আওতায় এসেছে। তাই নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস শুরুর সব প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেছে শিক্ষাবোর্ড।