গ্যাসের দাম বৃদ্ধি তালিকা ২০২৩ (নতুন মূল্য তালিকা)

গ্যাসের দাম বৃদ্ধি তালিকা ২০২৩ প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। বিদ্যুতের পর এবার গ্যাসের দাম আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ভর্তুকি সমন্বয়ে গ্যাসের নতুন এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাড়লো গ্যাসের দাম

১৮ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা হয়েছে। এর আগে, ৯ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গণমাধ্যম জানিয়েছিলেন, বিশ্ববাজারের সঙ্গে দেশে তেল ও গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হবে।

এছাড়া, আবাসিকে এক চুলার দাম ৯৫০ থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ থেকে বাড়িয়ে ১০৮০ টাকা করা হয়। প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী আবাসিক গ্রাহকদের ইউনিটপ্রতি দর ১২.৬০ থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা, সার উৎপাদনে ঘনমিটার ৪.৪৫ থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা করা হয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, দিনে এখন গ্যাসের মোট চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। গড়ে সরবরাহ করা হয় ২৬৬ কোটি ঘনফুট। প্রতিদিন ৩১০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে শিল্প খাতের সংকট মোটামুটি কাটবে। গত জুলাই থেকে দেশে গ্যাসের সংকট তীব্র আকার ধারণ করে।

গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ২০২৩ (নতুন মূল্য তালিকা)

গ্রাহকের ধরননতুন মূল্য
(চুলা/প্রতি ঘণমিটারের দাম)
এক চুলা৯৯০ টাকা
দুই চুলা১০৮০ টাকা
বিদ্যুৎ১৪ টাকা
ক্যাপটিভ পাওয়ার৩০ টাকা
বৃহৎ শিল্প৩০ টাকা
মাঝারি শিল্প৩০ টাকা
ক্ষুদ্র শিল্প৩০ টাকা
সার উৎপাদন১৬ টাকা
চা শিল্প১১.৯৩ টাকা
বাণিজ্যিক৩০.৫০ টাকা
সিএনজি৪৩ টাকা
গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ২০২৩ (নতুন মূল্য তালিকা)

পূর্বের গ্যাসের দাম

এর আগে, ২০২২ সালের জুনে গ্যাসের মূল্য ২২.৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ওই সময় সার উৎপাদনে ২৫৯ শতাংশ, শিল্পে ১১.৯৬ শতাংশ (বৃহৎ শিল্পে ১১.৯৮ টাকা, মাঝারি শিল্পে ১১.৭৮ টাকা, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পে ১০.৭৮ টাকা, চা শিল্পে ১১.৯৩ টাকা), বিদ্যুতে ১২ শতাংশ, ক্যাপটিভে ১৫.৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছিল।

তখন চড়া দামের কারণে বৈশ্বিক খোলাবাজার (স্পট মার্কেট) থেকে গ্যাস কেনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখনো সরকার খোলাবাজার থেকে গ্যাস কিনছে না। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় গ্যাস আসছে। মোট সরবরাহ আগের চেয়ে কম।