জাপানি ভাষা শিখে কম খরচে জাপানে চাকরি
সরকারি ব্যবস্থাপনায় জাপানে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক মানবসম্পদ উন্নয়ন সংস্থা (এমআই জাপান) “টেকনিক্যাল ইন্টার্ন” পদে নিয়োগের চাহিদাপত্র পাঠানোর পর তা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশিত হয়েছে।
আবেদনের যোগ্যতা : প্রার্থীকে ন্যূনতম এসএসসি পাস হতে হবে। জাপানি ভাষায় লেভেল এন-৫ বা পর্যাপ্ত দক্ষতা থাকতে হবে। প্রার্থীর (নারী ও পুরুষ) বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। উচ্চতা—পুরুষের ক্ষেত্রে অন্তত ১৬০ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ১৫০ সেন্টিমিটার। এর আগে যাঁরা জাপানে কর্মরত ছিলেন, তাঁরা আবেদন করতে পারবেন না।
বাছাইপ্রক্রিয়া : জাপানে ‘টেকনিক্যাল ইন্টার্ন’ হিসেবে পাঁচ বছরের জন্য কাজ করতে আগ্রহী প্রার্থীকে bmet.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম ডাউনলোড করে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নির্ধারিত ই-মেইল ঠিকানায় কিংবা প্রতিষ্ঠান বরাবর পাঠাতে হবে। ফরম যাচাই-বাছাই করে যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিকভাবে বাছাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তাদের মোবাইলে ফোন বা এসএমএস দিয়ে ডাকা হয়।
কী কী দরকার হবে : এসএমএস পাওয়া প্রার্থীকে নির্ধারিত সময়ে ও তারিখে বিএমইটি কর্তৃক মনোনীত কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে জাপানি ভাষার পর্যাপ্ত দক্ষতাসংক্রান্ত সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, মূল জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধনসহ জীবনবৃত্তান্ত মূল কপির সঙ্গে এক সেট ফটোকপি নিয়ে নির্ধারিত সময়ে কাগজপত্রসহ উপস্থিত থাকতে হবে।
প্রক্রিয়া : সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর ‘আইএম জাপান’ (ইন্টারন্যাশনাল ম্যানপাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন)-এর প্রতিনিধিদল প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত টেকনিক্যাল ইন্টার্নদের পরবর্তী সময়ে গণিত, জাপানি বর্ণমালা ও শারীরিক যোগ্যতাবিষয়ক পরীক্ষা নেবে। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের পর্যায়ক্রমে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অধীন কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ছয় মাস মেয়াদি ‘জাপানিজ ভাষা ও সংস্কৃতি’ বিষয়ে প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হবে। ট্রেনিং সফলভাবে সম্পন্নকারীরা টেকনিক্যাল ইন্টার্ন হিসেবে তিন বছরের চুক্তিতে জাপান গমন করে থাকেন। তিন বছরের চুক্তি সফলভাবে সম্পন্ন হলে চাকরির মান সন্তোষজনক, কর্মক্ষেত্রে সফলতা এবং কম্পানির চাহিদা বৃদ্ধি পেলে আরো দুই বছরের জন্য নবায়ন করা হয়।
খরচ : সরকারিভাবে জাপানে ‘টেকনিক্যাল ইন্টার্ন’ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বা নির্বাচিত কর্মীদের কোনো ফি দিতে হবে না। শুধু পাসপোর্ট, মেডিক্যাল পরীক্ষা, বহির্গমন ছাড়পত্রসংক্রান্ত খরচ কর্মীদের বহন করতে হয়। এ ছাড়া প্রশিক্ষণকালে (ছয় মাস) খাবার খরচ কর্মীকে বহন করতে হবে।
তথ্যসূত্র : জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)
সূত্র : কালের কণ্ঠ, ২১ মার্চ ২০২০