ডোপ টেস্ট কি : কিভাবে-কোথায় করা যায়
ডোপ টেস্ট কি, এ ব্যাপারে অনেকেই স্পষ্ট তথ্য জানেন না। তাছাড়া ২৬ জুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আইন সংশোধন করে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে। এর পর থেকেই শিক্ষার্থীদের অনেকেরই ডোপ টেস্ট নিয়ে মনে কৌতুহল তৈরি হয়েছে।
ডোপ টেস্ট হচ্ছে কোনো ব্যক্তি মাদকাসক্ত কিনা, সেটা যাচাইয়ের মেডিকেল পরীক্ষা। মাদক বা এলকোহলসহ বেশকিছু নেশা জাতীয় দ্রব্য আছে যা গ্রহণ করার পরও এর রেশ শরীরে থেকে যায়। আর এগুলোই ডোপ টেস্টের মাধ্যেমে শনাক্ত করা হয়।
বেশীরভাগ মাদকের কার্যক্ষমতা কম সময় থাকলেও কিছু কিছু মাদক বা এ্যলকোহল জাতীয় নেশাকর পন্য আছে, সময়ের সাথে সাথেও যার রেশ শরীরে থেকে যায়। আর এগুলোই ডোপ টেস্টের মাধ্যেমে ধরা হয়। খেলাধুলায় বা অন্যান্য কাজে আর্টিফিশিয়াল কিছু ব্যবহার করে নিজের শারিরিক শক্তি বাড়িয়ে লাভবান হওয়ার সুযোগ নাই।
অতিরিক্ত পারফরমেন্সের উদ্দেশ্যে মাদক গ্রহণ করার পর যখনই কারো উপর ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা গুলোর সন্দেহ হয় বা সন্দেহের অভিযোগ তোলা হয়, তখন তারা তাকে শোকজ করে থাকে। পরবর্তীতে ঐ খেলোয়াড়কে ডোপ টেস্টের সম্মুখীন হতে হয়। যদি ফলাফলে কিছু পাওয়া যায় তাহলে তাকে অর্থদণ্ড, বরখাস্ত বা কারাভোগের শাস্তি দেওয়া হয় ক্রীড়া আইন অনুযায়ী। প্রযুক্তির উন্নতির কারণে অনেক ক্রীড়াবিদই এমন সব নিষিদ্ধ পদার্থ ব্যবহার করেন, যার ফলে ক্রীড়া নৈপুন্যে সাময়িক ভাবে অতিরিক্ত শক্তির যোগান পান তারা ।
মাদক গ্রহণর ফলে দেহের স্বাভাবিক শক্তির চেয়ে অতিরিক্ত শক্তি সঞ্চারিত হয়, যার ফলে স্বাভাবিক ক্রীড়াবিদরা হেরে যায়। এই নিষিদ্ধ কর্মকান্ড প্রতিহত করার জন্যে প্রতিটা আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়, একেই ডোপিং টেষ্ট বলে।
ডোপ টেস্ট সাধারনত অভিযুক্তের রক্ত এবং প্রশ্রাব পরিক্ষা করে পজিটিভ বা নেগেটিভ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে ।
যেভাবে ডোপ টেস্ট করা হয়
সাধারণত মুত্র কিংবা রক্ত (কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুটোরই) নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ডোপ টেস্টে মাদক গ্রহণ করার শেষ ১ সপ্তাহ মূখের লালার মাধ্যমে, শেষ ২ মাস রক্তের মাধ্যমে, শেষ ১২ মাস বা ১ বছর চুল পরীক্ষার মাধ্যমে মাদক শনাক্ত হবে। এছাড়াও, ডোপ টেস্টে স্প্যাইনাল ফ্লুইড পরীক্ষার মাধ্যমে গত পাঁচ বছরের মধ্যে যদি কেউ মাদক গ্রহণ করে তবে এ পরীক্ষায় ধরা পড়বে। বর্তমানে মূত্র পরীক্ষার মাধ্যমে ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে এবং এই পরীক্ষার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি শেষ ১০ দিনে কোনো মাদক গ্রহণ করেছেন কি না তা জনা যাবে।