পিরোজপুরের বেকুটিয়া সেতু উদ্বোধন হলো ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ (রবিবার)। পিরোজপুর জেলার কচা নদীর ওপর বেকুটিয়া পয়েন্টে নির্মিত ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু এটি। ৪ সেপ্টেম্বর সকালে ভার্চ্যুয়ালি সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গমাতা সেতু
পিরোজপুরের বেকুটিয়া সেতুর নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেছা মুজিবের নামে। পিরোজপুর সদর উপজেলার সঙ্গে ৪টি উপজেলার যোগাযোগে আর থাকবে না সময় অপচয়ের বাধা।
৮ম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু
বেকুটিয়া সেতু হচ্ছে ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। এই সেতু উদ্বোধনের ফলে শেষ হয়েছে দীর্ঘদিনের ফেরি পারাপারের ভোগান্তি।
সেতু চালুর ফলে বরিশাল-পিরোজপুর-বাগেরহাট-খুলনা, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যাতায়াতে সময় অনেক কমবে। এবং এই অঞ্চলের বাণিজ্যিক সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। এমনকি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের দক্ষিণবঙ্গের বরিশাল থেকে পায়রা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার স্বপ্নের দুয়ার খুলে যাবে। বেকুটিয়া ফেরিঘাটে দীর্ঘদিন দুর্ভোগের শিকার পরিবহণ, পরিবহণ শ্রমিক ও সাধারণ যাত্রীরা জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পাবে।
বেকুটিয়া সেতুর দৈর্ঘ্য
- গত ২০১৮ সালের অক্টোবর সেতুটির (bekutia bridge) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
- সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে নির্মিত সেতুটি ৯টি স্প্যান ও ১০টি পিলার বিশিষ্ট।
- এর দৈর্ঘ্য ৯৯৮ মিটার ও প্রস্থ ১৩.৪০ মিটার।
- ৪২৯ মিটার ভায়াডাক্টসহ ডাবল লেনের সৈতুটির দৈর্ঘ্য ১৪২৭ মিটার এবং প্রস্থ ১০.২৫ মিটার।
বেকুটিয়া সেতু নির্মাণে খরচ
জি টু জি পদ্ধতিতে সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পায় চীনের ‘চায়না রেলওয়ে সেভেনটিন ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানী লিমিটেড’। সেতুটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি টাকা চীন এবং ২৪৪ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে।
১৬ জেলার যোগাযোগ সহজ হলো
সেতুটি জেলার কাউখালী উপজেলার বেকুটিয়া অংশ ও পিরোজপুর সদর উপজেলার কুমিরমারা প্রান্তে নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটি খুলে দিলে সড়ক পথে বরিশাল বিভাগের সঙ্গে খুলনাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৬টি জেলার যোগাযোগ সহজ হবে। তাতে ব্যবসা ও জীবনমানেও পরিবর্তন আসবে এ অঞ্চলের মানুষের।