ভাইভা বোর্ডের মুখোমুখি বইটি বেশ কাজের

বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ভাইভার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে অনেকেই অথই সাগরে পড়ে যান। কিভাবে প্রস্তুতি শুরু করবো, ভাইভা বোর্ডে কেমন প্রশ্ন করা হয় এসব ভাবতে ভাবতেই অনেকের ক্ষেত্রে ভাইভার দিন ঘনিয়ে আসে। তখন আর মূল বিষয়গুলোও পড়া হয়ে উঠে না, আত্মবিশ্বাসও থাকে তলানিতে।

ভাইভার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আমাকেও বেশ গলদঘর্ম হতে হয়েছিলো। সহায়ক বইও পেয়েছিলাম খুব কম। বিভিন্ন বই ঘেটে, মাঝেমধ্যে পিএসসি গেটে গিয়ে প্রার্থীদের ভাইভা অভিজ্ঞতা শুনে, ভাইভা গ্রুপগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও পেপারপত্রিকা পড়ে হ্যান্ডনোট বানিয়েছিলাম, যেটা আমার ভাইভার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছিলো। বিষয়টা আমার জন্য বেশ কষ্টসাধ্যও ছিল।

আসলে যারা বিভিন্ন ক্যাডারে সফল তাদের বেশিরভাগের ভাইভা অভিজ্ঞতা জানাটা অনেকসময় অধরাই থেকে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই তাদের ভাইভা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন না বা করতে চান না। সফলদের ভাইভা অভিজ্ঞতা জানতে পারলে ভাইভাতে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন সম্পর্কে ও এর উত্তর দেয়ার কৌশল সম্পর্কে অনেকটা সম্যক ধারণা পাওয়া যায়।

ফিচার রাইটার হিসেবে ছোটভাই এমএম মুজাহিদ উদ্দীনের বিভিন্ন ক্যাডারে সফলদের সংস্পর্শে আসার সুযোগ হয়েছে। সে খুব কাছ থেকে শুনেছে সফলদের ভাইভা অভিজ্ঞতা, জেনেছে তারা কিভাবে ভাইভাতে সফল হলেন সে সম্পর্কে। ভাইভা প্রার্থীরা যাতে লাভবান হয় এই মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সে তার প্রাপ্তলব্ধ এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে “ভাইভা বোর্ডের মুখোমুখি” বইটি বাজারে বের করতে প্রয়াসী হয়েছে।

সে আমাকে কুরিয়ার করে সারদায় পাঠিয়েছিলো বইটি। কিন্তু ট্রেনিংয়ের ব্যস্ততার জন্য বইটি দেখার ও এ সম্পর্কে মন্তব্য করার সুযোগ হয়নি। বইটি দেখার পর মনে হয়েছে ভাইভাতে প্রয়োজনীয় প্রায় সবকিছুই এতে সংযোজিত হয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন ক্যাডারে কর্মরত ৪৫ জন ক্যাডারের ভাইভা অভিজ্ঞতা । তারা মুজাহিদকে জানিয়েছেন তাদের ভাইভা অভিজ্ঞতা ও প্রস্তুতি কৌশল সম্পর্কে। আমি মনে করি ভাইভা প্রার্থীদের প্রস্তুতিকে ত্বরান্বিত করতে এমএম মুজাহিদ উদ্দীনের “ভাইভা বোর্ডের মুখোমুখি” বইটি বেশ সহায়ক হতে পারে। ছোটভাই মুজাহিদের এ প্রচেষ্টাকে আমি সাধুবাদ জানাই।

লিখেছেন : মো. দিদারুল ইসলাম, পুলিশ ক্যাডারের ৮ম স্থান অধিকারী, ৩৭তম বিসিএস।