হজ রেজিস্ট্রেশন ২০২৩ [নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তি, ফি, আবেদনের নিয়ম, ও খরচ]

হজ রেজিস্ট্রেশন ২০২৩ [প্রাক নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তি, আবেদনের নিয়ম, ও খরচ] সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো। হজে যাওয়ার জন্য প্রথম ধাপ হচ্ছে প্রাক্-নিবন্ধন বা প্রি-রেজিস্ট্রেশন। এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া করতে হয় https://hajj.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।

২০২৩ সালে হজে যেতে নিবন্ধনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধনের অর্থ জমাদান চলবে ৮-২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক ৪২ হাজার ২৯৩ পর্যন্ত এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ লাখ ৮ হাজার ৩৬৪ পর্যন্ত।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের শর্তাবলী—

নিবন্ধনের জন্য হজযাত্রীর পাসপোর্টের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে হবে।

নিবন্ধনের পর হজে যেতে না পারলে ইতোমধ্যে ব্যয়িত অর্থ ব্যতীত অবশিষ্ট অর্থ ফেরত যোগ্য হবে।

হজের খরচ কোনো কারণে বৃদ্ধি পেলে তা প্যাকেজ মূল্য হিসেবে গণ্য হবে এবং হজযাত্রীকে পরিশোধ করতে হবে। কোনো অর্থ উদ্বৃত্ত থাকলে তা হজযাত্রীকে ফেরত দেওয়া হবে।

হজযাত্রীরা মাহরামসহ একইসঙ্গে পৃথকভাবে হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন ফরম পূরণ করে (ইউডিসি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ডিসি অফিস এবং হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকার মাধ্যমে) নিবন্ধন ভাউচার তৈরি করতে পারবেন।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের ভিসার জন্য নিবন্ধনের তিন দিনের মধ্যে পাসপোর্ট ও কোভিড ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট নিজ দায়িত্বে হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকায় জমা দিতে হবে।

হজ ফ্লাইট ঢাকা-জেদ্দা, ঢাকা-মদিনা, জেদ্দা-ঢাকা ও মদিনা-ঢাকা রুটের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটে হজে গমন ও প্রত্যাগমন করতে হবে। তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকেও গমনাগমন করা যাবে।

শূন্য কোটা পূরণের জন্য প্রাক-নিবন্ধিতদের মধ্য থেকে প্রাক-নিবন্ধনের ক্রমানুসারে নিবন্ধনের আহ্বান করা হবে।

নিবন্ধন সংক্রান্ত নিয়মের কোনো পরিবর্তন হলে তা যথাসময়ে বিজ্ঞপ্তি/এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করা হবে।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রদেয় টাকার পরিমাণ

প্রাক-নিবন্ধনকালে গৃহীত ৩০ হাজার টাকার মধ্যে ১ হাজার টাকা প্রসেস ফি কাটার পর অবশিষ্ট ২৯ হাজার টাকা সমন্বয় করে হজযাত্রীকে অবশিষ্ট ৬ লাখ ৫৪ হাজার ১৫ টাকা সোনালী ব্যাংক লি. স্থানীয় কার্যালয় শাখা, মতিঝিল, ঢাকার হিসাব নং ০০০২৬৩৩০০০৯০৮ এ নিবন্ধন ভাউচারের মাধ্যমে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে জমা প্রদান করে হজযাত্রী নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করবেন।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী নিবন্ধনের শর্তাবলী—

এজেন্সিগুলো সরকারি ব্যবস্থাপনার হজ প্যাকেজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে এবং হজযাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে। এজেন্সি কর্তৃক ঘোষিত হজ প্যাকেজ www.hajj.gov.bd, www.haabbd.com এবং এজেন্সির নিজস্ব ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে এবং এর কপি হজ-১ শাখায় প্রেরণ করতে হবে।

হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২২ এর বিধি ১১ (২) অনুযায়ী এজেন্সিকে হজযাত্রীর সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন এবং ব্যাংকের মাধ্যমে সব লেনদেন করতে হবে।

প্রসেস ফি বাবদ ১ হাজার টাকা, জমজম পানি বাবদ ৪২৫.৮৫ টাকা, মক্কায় ১ শতাংশ বাড়ি ভাড়া বাবদ ২ হাজার ২৪.২০ টাকা, স্থানীয় সার্ভিস চার্জ বাবদ ৮০০ টাকা, আপদকালীন ফান্ড বাবদ ২০০ টাকা, প্রশিক্ষণ ফি বাবদ ৩০০ টাকাসহ মোট ৪ হাজার ৭৫০.০৫ ঢাকা প্রাক-নিবন্ধনকালে গৃহীত ৩০ হাজার ৭৫২ টাকা থেকে কাটার পর অবশিষ্ট ২৬ হাহার ১.৯৫ টাকা সমন্বয়যোগ্য।

জেদ্দা-মক্কা-মদিনা ও মাশায়ের আল-হারামের পরিবহন ফি ৩৫ হাজার ১৬২.৪৩ টাকা এবং বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকাসহ মোট ২ লাখ ৩২ হাজার ৯৫৯.৪৩ টাকা। তার মধ্যে সমন্বয়যোগ্য ২৬ হাজার ১.৯৫ টাকা বাদে অবশিষ্ট ২ লাখ ৬ হাজার ৯৫৮ টাকা নিবন্ধনকারী হজ এজেন্সির নির্ধারিত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আগামী ২৮ মার্চ ২০২৩ তারিখের মধ্যে জমা দিতে হবে।

হজের পাঁচ দিন মিনা-আরাফাহ ও মুজদালিফায় মোয়াল্লেম কর্তৃক প্রদত্ত সেবার ভিত্তিতে ৪ ক্যাটাগরির তাঁবু থাকবে (ক্যাটাগরি এ, বি, সি, ডি)। এজেন্সি যে ক্যাটাগরির তাঁবু গ্রহণ করবে অর্থাৎ ‘ডি’ ক্যাটাগরি এর জন্য ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৩০.০৫ টাকা; ‘সি’ এর জন্য ১ লাখ ৬০ হাজার ৬৩০.৬২ টাকা; ‘বি’ এর জন্য ২ লাখ ২৪ হাজার ৬২১.৬৮ টাকা; এবং ‘এ’ এর জন্য ২ লাখ ৯০ হাজার ৯৩০.৭৮ টাকা সার্ভিস চার্জ হজযাত্রীর কাছ থেকে আদায় করতে পারবে।

হজযাত্রীর কাছ থেকে প্যাকেজে ঘোষিত অর্থ প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট এজেন্সি হজযাত্রীকে পিলগ্রিম আইডি প্রদান করবেন।

হজ চুক্তি অনুযায়ী হজ এজেন্সির ন্যূনতম ১৭ জন নিবন্ধিত হজযাত্রী না থাকলে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২২ এর বিধি ২৬ অনুসারে লিড এজেন্সি নির্ধারণ করতে হবে। অতঃপর সমঝোতাকারী এজেন্সিকে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের অনলাইনে লিড এজেন্সির অনুকূলে স্থানান্তরসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে হবে। স্থানান্তরিত হজযাত্রীদের সব দায়-দায়িত্ব লিড এজেন্সি (নিবন্ধনকারী) গ্রহণ করবে। মোনাজ্জেম লিড এজেন্সি থেকে নিয়োগ হবে। প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে/অভিযুক্ত হওয়ার কারণে কোনো এজেন্সি হজযাত্রী প্রেরণে যোগ্য না হলে ওই এজেন্সি বিধিমালায় বর্ণিত পদ্ধতিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তার এজেন্সির হজযাত্রীর স্থানান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।

হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২২ এর বিধি ১১ (২) অনুযায়ী হজ এজেন্সি হজযাত্রীর সঙ্গে পরস্পর চুক্তি সম্পাদন করবে। চুক্তিপত্রে হজযাত্রীকে প্রদত্ত সুবিধার কথা উল্লেখ করতে হবে। চুক্তির কপি হজযাত্রীকে এবং হজ অফিস, ঢাকা বরাবর প্রেরণ করবে।

হজযাত্রী চুক্তিবদ্ধ এজেন্সির হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ‘ব্যাংক হিসাব’ এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করবেন। আর্থিক লেনদেন করার পূর্বে হজ এজেন্সি ২০২৩ সালে হজযাত্রী প্রেরণের জন্য ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত কি না তা www.hajj.gov.bd ওয়েব সাইট থেকে জেনে নেবেন।

হজযাত্রী হজে গমনকালে কোনো পচনশীল খাদ্যদ্রব্য তামাক পান-সুপারি, জর্দা অর্থাৎ নেশা জাতীয় দ্রব্য বহন করতে পারবেন না।

নিয়মিত সেবন করতে হয় এমন ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী (ব্লাড সুগার টেস্টের স্টিপ নিডিল, ইনসুলিন, ডায়াবেটিক ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ) অবশ্যই (কমপক্ষে ৪৫ দিনের জন্য) সঙ্গে নিতে হবে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রসহ এরকম ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী বহন করতে হবে।

হজযাত্রী সরাসরি হজ এজেন্সি থেকে বিমানের টিকিট সংগ্রহ করবেন। প্যাকেজে উল্লেখিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্য গ্রহণ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে অবহিত হতে হবে। ২০২৩ সালের হজ কার্যক্রম পরিচালনায় যোগ্য হজ এজেন্সির তালিকা www.hajj.gov.bd তে প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকাভুক্ত এজেন্সি এককভাবে/লিড এজেন্সির মাধ্যমে নিবন্ধনকার্য সম্পন্ন এবং সৌদি আরবে হজযাত্রী প্রেরণ করতে পারবে।

সৌদি আরবে এজেন্সিভিত্তিক হজযাত্রীর তথ্য প্রেরণের পর মৃত্যু বা গুরুতর অসুস্থতার কারণে হজে যেতে অপারগ ব্যক্তিদের প্রতিস্থাপন কার্যক্রম শুরু হবে। হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২২ এর বিধি ১৩ অনুসারে প্রতিস্থাপন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। এক্ষেত্রে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদনের মাধ্যমে প্রতিস্থাপন কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে। এজেন্সি সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ হজযাত্রী প্রতিস্থাপন করার সুযোগ পাবে।

হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ব্যাংক হজ এজেন্সিকে কোনোভাবেই হজ নিবন্ধন কাজে লোন প্রদান করবে না।

সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য অনুসরণীয়

প্রাক-নিবন্ধনের ক্রমানুসারে নিবন্ধনের জন্য আহ্বান (কল) পাওয়া সত্ত্বেও যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করবেন না তারা ২০২৩ সালের হজে গমনে আগ্রহী নন বলে বিবেচিত হবেন।

মক্কা ও মদিনায় হুইল চেয়ার ব্যবহারের প্রয়োজন হলে কাউন্সেলর (হজ)/সহকারী মৌসুমী হজ অফিসারের কাছে ৩০০ সৌদি রিয়াল জামানত হিসেবে জমা রেখে হুইল চেয়ার সংগ্রহ করা যাবে। হইল চেয়ার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারের পর হইল চেয়ার ফেরত প্রদানকালে জামানত হিসেবে প্রদত্ত ৩০০ সৌদি রিয়াল ফেরত প্রদান করা হবে। মিনা, আরাফাহ ও মুযদালিফায় হইল চেয়ার ও সাহায্যকারী প্রয়োজন হলে মোয়াল্লেম অফিসে অফেরৎযোগ্য ৩৫০০ সৌদি রিয়াল জমাপূর্বক সেবা গ্রহণ করা যাবে।

হজযাত্রীকে আনুমানিক ১ হাজার সৌদি রিয়াল কুরবানি বাবদ সঙ্গে নিতে হবে।

হজে যাওয়ার জন্য প্রথম ধাপ প্রাক্-নিবন্ধন / প্রি রেজিস্ট্রেশন

সৌদি ‘ই হজ সিস্টেমের’ সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য হজযাত্রীদের জন্য প্রাক্-নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে । নিজে অথবা ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত বৈধ হজ এজেন্সির মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধনের প্রথম ধাপ সম্পন্ন করে পেমেন্ট ভাউচারসহ ব্যাংকে টাকা জমা দিন এবং আপনার  প্রাক্-নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করুন । প্রতি বছরে সৌদি সরকারের সাথে চুক্তি মোতাবেক নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতির ধারার ভিত্তিতে হজযাত্রীদের নিবন্ধন সম্পন্ন হবে । প্রাক্-নিবন্ধন সংক্রান্ত কোন তথ্য জানার প্রয়োজন হলে ০৯৬০২৬৬৬৭০৭ নম্বরে টেলিফোনে যোগাযোগ করতে পারবেন ।

হজের প্রাক-নিবন্ধন করতে যা লাগবে

  • জাতীয় পরিচয়পত্র, (১৮ বছরের নিচে বয়স যাদের, জাতীয় পরিচয়পত্র নেই সেক্ষেত্রে অভিভাবকের সঙ্গে  জন্ম  নিবন্ধন সনদ দিয়ে প্রাক নিবন্ধন করতে পারবেন) ।
  • মোবাইল নম্বর (যেখানে এসএমএস পাবেন)
  • সরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য ৩০,০০০(ত্রিশ হাজার টাকা), বেসরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য ৩০,৭৫২ (ত্রিশ হাজার সাতশত বায়ান্ন) টাকা জমা দিতে হবে ।

যেখানে প্রাক্-নিবন্ধন করা যাবে

  • ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রে
  • জেলা প্রশাসকের কার্যালয়
  • ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়
  • ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত বৈধ হজ এজেন্সি
  • পরিচালক, হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকা

এর যেকোনো এক জায়গা থেকে  হজযাত্রী নিজে অথবা তার প্রতিনিধি প্রাক্-নিবন্ধন করতে পারবেন।

ধাপে ধাপে প্রাক্-নিবন্ধন

  • প্রাক্-নিবন্ধনের প্রথম ধাপে জাতীয় পরিচয়পত্র তথ্য ভান্ডার থেকে (নাম, পিতার নাম, মাতার নাম,  পেশা, জন্মতারিখ, স্থায়ী ঠিকানা, নারী/পুরুষ, বৈবাহিক অবস্থা) তথ্য স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে যাচাই হবে।
  • হজযাত্রী সরকারি নাকি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে ইচ্ছুক সে সংক্রান্ত  তথ্য।
  • ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার জন্য ট্র্যাকিং নম্বরসংবলিত প্রিন্ট করা পেমেন্ট ভাইচারসহ সরকার নির্ধারিত ব্যাংকে (তালিকা পরে জানানো হবে) সরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার টাকা),  বেসরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য ৩০,৭৫২ (ত্রিশ হাজার সাতশত বায়ান্ন) টাকা জমা দিতে হবে ।
  • (উল্লেখ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা জমা না দিলে পুনরায় প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে।)
  • ব্যাংক টাকা পরিশোধের পর ব্যাংক থেকে হজের প্রাক্-নিবন্ধন সনদ দেওয়া হবে। (প্রাক নিবন্ধন সনদে জাতীয় পরিচয়পত্র তথ্য, প্রাক্-নিবন্ধন নম্বর, পাসপোর্টের তথ্য, ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া বিবরণ থাকবে) একই সঙ্গে হজযাত্রীর মোবাইল নম্বরে এসএমএস প্রেরণ করে প্রাক নিবন্ধন নিশ্চিত করা হবে ।
  • জাতীয় হজ নীতির আলোকে প্রাক্-নিবন্ধন নম্বর চলতি বছর হজে যাওয়ার জন্য নির্বাচিত হলে হজযাত্রীর মোবাইলে এসএমএস দেওয়া হবে ।

হজে যাওয়ার জন্য নির্বাচিত হলে হজযাত্রীর মোবাইলে এসএমএস পাওয়ার পর (নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে)।  নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজ অফিস/ সংশ্লিষ্ট এজেন্সি প্রাক-নিবন্ধন তথ্য ভান্ডার থেকে হজ যাত্রীদের আবেদন অনলাইনে গ্রহণ করে প্যাকেজের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ পরিশোধিত মর্মে হজ অফিস/ সংশ্লিষ্ট  হজ এজেন্সি নিশ্চিত করলে পিলগ্রিম আইডি (PID) তৈরি হবে। সম্পূর্ন টাকা পরিশোধ করলে হজযাত্রীর মোবাইল নম্বরে এসএমএস প্রেরণ করে PID নিশ্চিত করা হবে। হজে যাওয়ার জন্য পিলগ্রিম আইডি অত্যাবশক ।

হজযাত্রীকে প্রদত্ত প্রাক পরিবর্তনযোগ্য প্রাক- নিবন্ধন নম্বর (serial) কোনভাবেই পরিবর্তনযোগ্য নয়। তাই হজে যাওয়ার প্রথম ধাপ  প্রাক্-নিবন্ধন করুন ।

প্রাক্-নিবন্ধনে প্রাপ্ত তথ্যাদি পুলিশের বিশেষ শাখার মাধ্যমে যাচাই করা হবে ।

প্রাক-নিবন্ধন বাতিল করতে চাইলে

প্রাক্-নিবন্ধন করে যদি হজে গমন না করেন তাহলে হজযাত্রীর অগ্রীম জমাকৃত জামানত থেকে সার্ভিস চার্জ ২ হাজার এবং প্রসেসিং ফি বাবদ ৩ হাজার  মোট ৫ হাজার টাকা বাদ দিয়ে বাকি টাকা ফেরত পাবেন ।

১৮ বছরের নিচে বয়স যাদের

১৮ বছরের নিচে বয়স যাদের, জাতীয় পরিচয়পত্র নাই সেক্ষেত্রে অভিভাবকের সঙ্গে জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে প্রাক্-নিবন্ধন করতে পারবেন। ও পুলিশের বিশেষ শাখার মাধ্যমে যাচাই করা হবে ।

প্রাক নিবন্ধন আবেদনের নিয়মাবলী

  • ১. সরকারি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হজে গমনেচ্ছুদের প্রাক-নিবন্ধন করার জন্য যে সকল প্রতিষ্ঠানে আবেদন করা যাবে তা হল। (ক) ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রে (খ) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (গ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয় (ঘ) পরিচালক, হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকা।
  • ২. আপনি যেকোন স্থান থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন।
  • ৩. আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনাকে জিমেইলের মাধ্যমে লগ-ইন করতে হবে।
  • ৪. লগ-ইন করার পর আপনি যে হজযাত্রীর আবেদন করতে চান তার তথ্য দিন। একাধিক আবেদনের জন্য ” নতুন আবেদন” বাটনে ক্লিক করতে হবে । ১৮ বছরের উপরে যাদের বয়স তাদের ’এন আইডির’ তথ্য দিতে হবে। আর যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে তাদে জন্ম সনদের মাধ্যমে ফরম পূরন করতে হবে।
  • ৫. হজযাত্রীর তালিকা থেকে যাদের টাকা জমা দিতে চান তাদেরকে সিলেক্ট করতে হবে এবং ”পেমেন্ট আবেদন” বাটনে ক্লিক করতে হবে।

  • ৬. আপনি যে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে চান তার তথ্য পূরন করতে হবে।
  • ৭. আবেদন করার জন্য ”ভাউচারের জন্য আবেদন করুন” অবশনে ক্লিক করতে হবে। আবেদন করার পর কিছু নির্দেশনা দেওয়া থাকবে যা আপনি পড়ে নিতে পারেন।
  • ৮. ভাউচার তৈরি হলে আপনার আছে একটি মেইল যাবে এবং এসএমএস যাবে। মেইলের মাধ্যমে ভাউচার ডাউনলোড করতে পারবেন ।
  • ৯. অথবা ভা্উচার ডাউনলোড করার জন্য লগ-ইন করে পেমেন্ট আবেদন তালিকা থেকে “পেমেন্ট ভাউচার ডাউনলোড করুন” বাটনে ক্লিক করে ডাউনলোড করা যাবে।
  • ১০. ভাউচারটি প্রিন্ট করে ব্যাংকের মধ্যমে টাকা জমা দিতে হবে।
  • ১১. প্রাক্‌-নিবন্ধন সংক্রান্ত যেকোন প্রশ্নে, হজ তথ্য সেবাকেন্দ্রে (ফোন নম্বর: +8809602666707, Skype: hajjcallcenter, E-mail : prp@hajj.gov.bd) যোগাযোগ করুন। । ধন্যবাদ।

প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেম

সৌদি ‘ই হজ সিস্টেমের’ সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য হজযাত্রীদের জন্য প্রাক্-নিবন্ধন পদ্ধতি চালু হয়েছে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বিজনেস অটোমেশন লিঃ প্রাক্-নিবন্ধন কার্যক্রমে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা করছে। সিস্টেমের কোন কারিগরি পরিবর্তন/পরিবর্ধন করা হলে তা হজের ওয়েবসাইটে নোটিস দিয়ে জানানো হবে।

হজ এজেন্সিগণ তাদের লাইসেন্সের জন্য যে ইমেইল হজ অফিসে জমা দিয়েছেন, সেই ইমেইল ব্যবহার করেই প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমে সাইন আপ করতে হবে এবং এক ইমেইল ব্যবহার করে একাধিক লাইসেন্সের কাজ করা যাবে না। প্রশিক্ষণ সার্ভারের ইউজার ও ডাটাবেজের সাথে মূল সার্ভারের ইউজার ও ডাটাবেজের সম্পর্ক নেই বিধায়, মূল সার্ভারের জন্য আলাদা ভাবে ইউজার নিতে হবে। প্রাক্-নিবন্ধন ব্যবস্থার সফলতার জন্য আপনাদের সকলের পরামর্শ ও সহযোগিতা আবশ্যক।

১. আপনার (নিব্ন্ধনকারী) পাসওয়ার্ড অত্যন্ত গোপনীয়। গোপনীতার সাথে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন ও আইটি হেল্পডেস্কসহ কাউকে জানাবেন না।

২. প্রাক-নিবন্ধন শুরু করার পূর্বে হজের ওয়েবসাইটে দেয়া বিস্তারিত তথ্যাবলী পড়ে বুঝে কাজ করবেন।এ বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে হেল্পলাইনে (০৯৬০২৬৬৬৭০৭ ) ফোন করতে পারেন।

সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের খরচ কত ২০২৩

সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পৃথক হজ প্যাকেজ ২০২৩ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের মূল্য ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মিনার তাবুর ফি ক্যাটাগরির মূল্য অনুসারে সরকারি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। মিনার তাবুর অবস্থান সংক্রান্ত ক্যাটাগরির ভিত্তিতে বেসরকারি এজেন্সিগুলো সরকারি প্যাকেজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে। তাবুর অবস্থান ও অন্যান্য সুবিধা সরকারি প্যাকেজের মতো নিশ্চিত করতে হবে।

  • বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য সর্বনিম্ন প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এর আগে ছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে দেড় লাখ টাকা বেড়েছে।
  • গত ৯ জানুয়ারি সৌদি সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন।
  • ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে রাজধানী হোটেল ভিক্টোরিতে বেসরকারি ব‍্যবস্থাপনায় হজ ২০২৩ ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।

হজ রেজিস্ট্রেশন ২০২৩ বিজ্ঞপ্তি / Hajj registration circular 2023

হজ রেজিস্ট্রেশন ২০২৩ - প্রাক নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তি, আবেদনের নিয়ম, ও খরচ - হজ রেজিস্ট্রেশন ২০২৩ বিজ্ঞপ্তি - Hajj registration circular 2023 https://hajj.gov.bd
হজ রেজিস্ট্রেশন ২০২৩ – প্রাক নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তি, আবেদনের নিয়ম, ও খরচ – হজ রেজিস্ট্রেশন ২০২৩ বিজ্ঞপ্তি – Hajj registration circular 2023 https://hajj.gov.bd

হজ প্রশিক্ষণ ২০২৩

১। হজ প্রশিক্ষণের তথ্যচিত্র দেখার জন্য ইউটিউব লিঙ্ক : https://www.youtube.com/watch?v=LpOabR-6fZE

২। সারাদেশব্যপী হজ বিষয়ক প্রশিক্ষণের প্রস্তুতির জন্য কিছু নির্দেশিকা
৩। হজযাত্রী ও হজ গাইডদের প্রশিক্ষণ মডিউল

৪। হজ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নমুনা উপস্থাপনা

৫। হাব প্রতিনিধির নমুনা উপস্থাপনা

৬। স্বাস্থ্য বিষয়ে নমুনা উপস্থাপনা

৭। অনলাইনে প্রশিক্ষণার্থীদের হাজিরা সিস্টেমের ম্যানুয়াল

হজ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় ও সচরাচর প্রশ্নের উত্তর

  • প্রশ্ন : সরকারী ও বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন কতদিন চালু থাকবে?

উত্তর : হজে যাওয়ার জন্য সরকারি অথবা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে। বর্তমানে প্রাক-নিবন্ধন সারা বছর চলমান আছে।

  • প্রশ্ন : অনুমোদিত হজ এজেন্সির তালিকা কোথায় পাবো?

উত্তর : www.hajj.gov.bd ওয়েবসাইটে “ফিট এজেন্সির তালিকা” অপশনে “অনুমোদিত এজেন্সির তালিকা” পাওয়া যাবে।

  • প্রশ্ন : প্রাক-নিবন্ধনের জন্য কত টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে?

উত্তর : প্রাক-নিবন্ধনের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩০০০০ টাকা ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩০৭৫২ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হয়।

  • প্রশ্ন : সরকারি অথবা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কোন স্থান হতে প্রাক-নিবন্ধন সম্পূর্ণ করবেন?

উত্তর : সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করা যাবে হজ অফিস, ঢাকা, জেলা প্রশাসক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার অফিস হতে এছাড়াও অনলাইনে হজের ওয়েবসাইট www.hajj.gov.bd প্রবেশ করে “সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন” অপশনে মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করা যাবে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত হজ এজেন্সির কার্যালয় হতে।

  • প্রশ্ন : প্রাক-নিবন্ধনের সিরিয়াল নম্বরটি কখন জানতে পারব?

উত্তর : ব্যাংক প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমের টাকা জমা নিশ্চিত করলেই এস.এম.এস মাধ্যমে জানতে পারবেন এবং ব্যাংক থেকে যে প্রাক-নিবন্ধন সনদ দিবে আপনার সিরিয়াল নম্বরটি সেখানেও পাবেন।

  • প্রশ্ন : আমার প্রাক-নিবন্ধন হয়েছে কিনা আমি কিভাবে তা যাচাই করতে পারব?

উত্তর : হজের ওয়েব সাইট www.hajj.gov.bd তে গিয়ে পিলগ্রিম সার্চ অপশন থেকে আপনার ট্রাকিং নাম্বার দিয়ে সার্চ করে যাচাই করতে পারবেন।

  • প্রশ্ন : আমি হজে গমনের জন্য নির্বাচিত হয়েছি কিভাবে জানবো?

উত্তর : হজের ওয়েব সাইটে নোটিশের মাধ্যমে ও প্রাক নিবন্ধন সার্ভার থেকে প্রদত্ত মোবাইলে এস.এম.এস এর মাধ্যমে এবং এছাড়াও যে স্থানে প্রাক নিবন্ধন করেছেন সেখান থেকেও আপনি এই তথ্য জানতে পারবেন।

  • প্রশ্ন : পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কি করবো?

উত্তর : লগইন পেইজে Forget Password বাটনে ক্লিক করুন, অতপর আপনার ইমেইল এড্রেস লিখে I’m not a robot ক্লিক করুন তারপর submit করুন, আপনার ইমেইলে একটি ভেরিফিকেশন লিংক যাবে সেখানে কনফার্ম করলৈ ই-মেইলে নতুন Password চলে যাবে।

  • প্রশ্ন : প্রাক-নিবন্ধনের সময় কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন?

উত্তর : ১। জাতীয় পরিচয়পত্র ফটোকপি ও মোবাইল নম্বর;
এবং অনুর্ধ্ব ১৮ বছরের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি ও (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
২। প্রবাসীদের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি, ওয়ার্ক পারমিটের ফটোকপি, পাসপোর্টের ফটোকপি ও (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

  • প্রশ্ন : একজন হজযাত্রী সিস্টেম থেকে কী কী নোটিফিকেশন পাবেন?

উত্তর : প্রাক -নিবন্ধন ও নিবন্ধনের টাকা জমা হলে নিবন্ধনকারি কর্তৃক প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে SMS পাবেন। এছাড়া, পিলগ্রিম আইডি তৈরী, স্বাস্থ্য পরীক্ষার তারিখ, আইডি কার্ড প্রিন্ট, গাইড নির্ধারণ ও ফ্লাইট নির্ধারণ হলে মোবাইল নম্বরে SMS পাবেন।

  • প্রশ্ন : কোন ব্যাংকে আমি প্রাক নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে পারবো?

উত্তর : https://prp.pilgrimdb.org/ প্রবেশ করে ” প্রাক-নিবন্ধন” ক্লিক করে নিচের দিকে “প্রাক‌-নিবন্ধন কার্যক্রমে অংশগ্রহনকারী ব্যাংকসমূহ” ক্লিক করে ব্যাংক সমূহের নাম দেখতে পারবেন ।

  • প্রশ্ন : প্রবাসীদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে কিভাবে প্রাক-নিবন্ধন করবো?

উত্তর : ১৮ বছরের বেশি হলে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া প্রাক-নিবন্ধন করতে পারবেন না। তবে প্রবাসীদের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি, ওয়ার্ক পারমিটের ফটোকপি, পাসপোর্টের ফটোকপি ও (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিয়ে প্রাক-নিবন্ধন করতে পারবেন।

  • প্রশ্ন : আমি কি প্রাক নিবন্ধনের সময় ছবি ও ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারবো?

উত্তম : জী! ছবি ও ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন প্রাক-নিবন্ধনের টাকা জমা দেওয়ার আগে পর্যন্ত ।

  • প্রশ্ন : আমি কি হজ এজেন্সি পরিবর্তন করতে পারবো?

উত্তর : হ্যাঁ, এক এজেন্সি হতে অন্য এজেন্সিতে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে যেতে পারবেন। তবে কোনভাবেই সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ট্রান্সফার হতে পারবে না।

  • প্রশ্ন : আমি কখন ও কিভাবে পিআইডি নং পাবো?

উত্তর : নিবন্ধিত হজযাত্রীদের HMIS সিস্টেমে ইনপুট করার সাথে সাথে হজযাত্রীদের পিআইডি জেনারেট হবে এবং হজযাত্রী SMS এর মাধ্যমে জানতে পারবেন।

  • প্রশ্ন : আমি কি পরবর্তী বছরের জন্য প্রাক-নিবন্ধন করতে পারব?

উত্তর : আপনি কোনো সন উল্লেখ করে প্রাক-নিবন্ধন করতে পারবেন না। প্রাক-নিবন্ধন সিরিয়াল নম্বরের উপর ভিত্তি করে আপনাকে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচিত করা হবে। নিবন্ধনের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর যদি প্যাকেজের বাকি টাকা জমা না দেন, তবে আপনি পরবর্তী বছরটিতে দ্বিতীয়বার নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন।

  • প্রশ্ন : আমার গাইড কিভাবে নির্ধারন হয় এবং কিভাবে জানতে পারব?

উত্তর : সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ গাইড ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দিষ্ট কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন করা হয় এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ গাইড এজেন্সি নির্বাচন করেন। হজযাত্রীর গাইড নির্ধারণ হলে SMS এর মাধ্যমে অবহিত করা হয় ।

  • প্রশ্ন : প্রাক-নিবন্ধনে যাকে মাহারাম করা হবে, নিবন্ধনের সময় তাকে পরিবর্তন করা যাবে কি না?

উত্তর : হ্যাঁ, নিবন্ধনের সময় পরিবর্তন করা যাবে।

  • প্রশ্ন : আমার এজেন্সি হতে যেসব হজযাত্রীর তথ্য আর্কাইভে প্রেরণ করা হয়েছে তা আমি কিভাবে দেখতে পারব?

উত্তর : রিপোর্ট মেনুতে ক্লিক করে ৪০১ নং রিপোর্টে আর্কাইভকৃত হজযাত্রীদের Status এবং Archived লেখা দেখতে পাবেন।

  • প্রশ্ন : হজযাত্রীর স্থানান্তর সম্পর্কিত রিপোর্ট কোনটি?

উত্তর : স্থানান্তর সম্পন্ন হয়েছে এমন হজযাত্রীদের তথ্য রিপোর্ট মেনুতে গিয়ে ৪০২ নম্বর রিপোর্টে দেখতে পারবেন।

  • প্রশ্ন : আমার এজেন্সী হতে গাইডকে প্রাক-নিবন্ধন করা হয়েছিল এবং তিনি গাইড হিসেবে সরাসরি HMIS এ নিবন্ধন করে হজ করেছেন। তার প্রাক-নিবন্ধন বাতিল কিভাবে করা যাবে?

উত্তর : ইতোপূর্বে প্রাক-নিবন্ধিত কেউ গাইড হিসাবে সরাসরি HMIS এ পিআইডি নিয়ে থাকলে তাদের প্রাক-নিবন্ধন বাতিল বিদ্যমান রিফান্ড পদ্ধতিতেই হবে। অর্থ্যাৎ, উক্ত প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তির প্রাক-নিবন্ধন বাতিল করতে হলে প্রাক-নিবন্ধনকারি ব্যাংক হতে অনলাইনে রিফান্ডের আবেদন করবে।

  • প্রশ্ন : এজেন্সী কিভাবে নিবন্ধিত হাজীর তালিকা ও তার স্ট্যাটাস দেখতে পাবে?

উত্তর : এজন্য, রিপোর্ট মেনুতে গিয়ে ৪০৪ নম্বর রিপোর্টটি দেখবেন । এছাড়া, ৪০৩ নম্বর রিপোর্টটিতে ট্র্যাকিং নম্বর দিয়ে হজযাত্রী সার্চ করে ওই হজযাত্রীর স্ট্যাটাসসহ দেখতে পারবেন।

  • প্রশ্ন : কিভাবে এজেন্সি হজযাত্রীর প্রাক-নিবন্ধন বাতিল (রিফান্ড) স্ট্যাটাস দেখতে পাবে?

উত্তর : ৪০৩ নং রিপোর্টে ট্রাকিং নম্বর দ্বারা স্ট্যাটাসসহ দেখতে পারবেন।

  • প্রশ্ন : বেসরকারি প্রাক-নিবন্ধন বাতিলের আবেদন কখন কার্যকর হবে? অনুমোদিত হলে কিভাবে তা জানা যাবে?

উত্তর : শুধুমাত্র ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইউজার এই অনলাইন আবেদন অনুমোদন করলেই তা কার্যকর হবে । আপনি ৪০৩ নম্বর রিপোর্টটিতে ট্র্যাকিং নম্বর দিয়ে হজযাত্রীর অবস্থান সার্চ করে ওই হজযাত্রীর স্ট্যাটাসসহ দেখতে পারবেন।

  • প্রশ্ন : আমার এজেন্সী ভুল করে মাহরাম ব্যতীত কাউকে প্রাক-নিবন্ধন করেছে। এর সমাধান কি?

উত্তর : হজ এজেন্সীরা অবশ্যই মাহরাম ও পরিবারের সদস্যদের একই ভাউচারের মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধন করবে। হজ এজেন্সীরা মাহ্‌রাম ও পরিবারের সদস্যদের অন্য ভাউচারে টাকা পরিশোধ করলে তার দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সীকে বহন করতে হবে।

  • প্রশ্ন : পাসর্পোট এর মেয়াদ কত দিন পর্যন্ত থাকতে হবে?

উত্তর : ভিসার জন্য আবেদনের সময় থেকে ৬মাস পর্যন্ত পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে হবে।

  • প্রশ্ন : আমার নিবন্ধন হয়েছে কি না কি ভাবে জানবো?

উত্তর : ট্র্যাকিং নাম্বার দিয়ে হজের ওয়েব সাইট www.hajj.gov.bd তে পিলগ্রিম সার্চ অপশন থেকে সার্চ করে দেখতে পারবেন।

  • প্রশ্ন : প্যাকেজ কি একবার তৈরি করে নিলেই হবে?

উত্তর : প্যাকেজ একবার তৈরি করলেই হবে। ভাউচার তৈরী করার সময় শুধু সিলেক্ট করতে হবে।

  • প্রশ্ন : এজেন্সি কিভাবে তার প্রাক নিবন্ধিত হাজীর তালিকা দেখতে পাবে?

উত্তর : মূল সার্ভারে লগইন করার পরে প্রাক নিবন্ধন বহাল হাজীর তালিকা দেখতে পারবেন, অথবা তালিকার জন্য ৪০১ নম্বর রিপোর্ট দেখতে হবে।

  • প্রশ্ন : ৬৫ বছরের উপরে যাদের বয়স তারা কি এই বছর হজে গমন করতে পারবে?

উত্তর : সৌদি সরকার ও ধর্ম মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ৬৫ বছরেরে উপরে যাদের বয়স তারা ২০২৩ সালে হজে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা এই বিষয়ে কোন নির্দেশনা এখোনো আসেনি।

  • প্রশ্ন : প্রাক-নিবন্ধন বাতিলের প্রক্রিয়া কি?

উত্তর : সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীগণ অনলাইনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট উল্লেখ করে প্রাক-নিবন্ধন বাতিলের আবেদন করবেন। আবেদন অনুমোদিত হলে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার হবে । বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীগন ব্যাংকের মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধন বাতিলের আবেদন করবে এবং আবেদন অনুমোদিত হলে নির্দিষ্ট সময় পর এজেন্সির নিকট হতে চেক সংগ্রহ করবে।

  • প্রশ্ন : সরকারি ব্যবস্থাপনায় অনলাইনে প্রাক-নিবন্ধন রিফান্ডের আবেদন করতে হজযাত্রীর কি কি প্রয়োজন?

উত্তর : সরকারি ব্যবস্থাপনায় অনলাইনে প্রাক-নিবন্ধন রিফান্ডের আবেদন করতে হজ্বযাত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার, শাখা ও রাউটিং নাম্বার, ট্রাকিং নং এবং যে ফোন নাম্বার দিয়ে প্রাক নিবন্ধন করেছিলেন ওই ফোন নাম্বার এর প্রয়োজন পড়বে।

  • প্রশ্ন : জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য নির্বাচন কমিশনের সার্ভার হতে প্রাক্-নিবন্ধন সিস্টেমে না এলে আমার করণীয় কি?

উত্তর : আপনি যে উপজেলা/থানার (স্থায়ী ঠিকানা) অধিবাসী ঐ উপজেলা/থানায় অবস্থিত নির্বাচন কমিশন কার্যালয় হতে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ সঠিক রয়েছে কিনা তা যাচাই করে পুনরায় ডাটা এন্ট্রি করবেন। কেননা NID অথবা জন্ম তারিখের কোন একটি সংখ্যা ভূল হলে ঐ ডাটা নির্বাচন কমিশনের সার্ভার হতে প্রাক্-নিবন্ধন সিস্টেমে আসবে না।

  • প্রশ্ন : যদি হজে গমনেচ্ছু তার বর্তমান প্রাক-নিবন্ধনকারি হজ এজেন্সীতে না থাকতে চায় অথচ হজ এজেন্সী হজযাত্রীকে স্থানান্তর করার অনলাইন আবেদন না করে, তাহলে তাঁর হজ এজেন্সী স্থানান্তর কিভাবে হবে?

উত্তর : যদি হজে গমনেচ্ছু তার বর্তমান প্রাক-নিবন্ধনকারি হজ এজেন্সীতে না থাকতে চায় অথচ হজ এজেন্সী হজযাত্রীকে স্থানান্তর করার অনলাইন আবেদন না করে, তাহলে তাঁকে দালিলিক কাগজপত্র (প্রাক-নিবন্ধনকারি হজ এজেন্সীকে প্রাক-নিবন্ধনের টাকা পরিশোধ সংক্রান্ত) নিয়ে পরিচালক, হজ অফিস, ঢাকার বরাবর আবেদন করবে। আবেদনে অবশ্যই তিনি যে হজ এজেন্সীতে স্থানান্তর হতে চাঁন, তা উল্লেখ করে ট্র্যাকিং নম্বর ও মোবাইল নম্বর দিতে হবে। পরিচালক, হজ অফিস, ঢাকা ওই আবেদন গ্রহণযোগ্য বিবেচনা করলে তিনি তা ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে স্থানান্তরের জন্য সুপারিশ করবেন। সুপারিশপত্রটি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইউজার তখন অনলাইনে ওই ট্র্যাকিং নম্বরের বিপরীতে হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তিকে তাঁর আবেদিত হজ এজেন্সীতে স্থানান্তরের জন্য প্রক্রিয়া করবেন, তবে তা নতুন হজ এজেন্সী অনলাইনে ওই হজযাত্রীকে গ্রহণ (accept) করলেই স্থানান্তর সম্পন্ন হবে।

  • প্রশ্ন : নিবন্ধনের সময় কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন?

উত্তর : নিবন্ধনের সময় প্রয়োজন মূল পাসপোর্ট ও পাসপোর্টের ফটোকপি এবং প্রাক- নিবন্ধন সনদ।