স্কুল-কলেজের ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি ফরম ডাউনলোড ও পূরণের নিয়ম নিয়ে এখানে আলোচনা করা হলো। উল্লেখ্য, দেশের সব স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্র বা ইউনিক আইডি নম্বর সম্বলিত কার্ড দেয়া হবে।
ইউনিক আইডির জন্য শিক্ষার্থীদের নিজেদের পরিচিতিমূলক তথ্য নির্ধারিত ফরমে পূরণ করে জমা দিতে হবে। নিচে ৪ পৃষ্ঠার ফরম দেয়া আছে।
স্কুল-কলেজের ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর জন্য ইউনিক আইডি তৈরির কার্যক্রম এই বছর (২০২২) আবার শুরু হয়েছে। ১৭ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ থেকে ইউনিক আইডির সফটওয়্যারে ডাটা এন্ট্রির কাজ শুরু হয়েছে। এতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষা সংক্রান্ত সব তথ্য থাকবে।
অনলাইন থেকে ডাউনলোডকৃত শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি ফরম যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সহায়তায় পূরণ করতে হবে। ফরম পূরণ করার সময় অবশ্যই শিক্ষার্থীদের পিতা/মাতা জাতীয় পরিচয়পত্র এবং শিক্ষার্থীর অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুসরণ করে তথ্যাদি পূরণ করা লাগবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, শিশু শ্রেণির (৫ বছর) থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণির (১৭ বছর বয়স) পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে এই ইউনিক আইডি। এই আইডিতে ১০ সংখ্যা বা ১৬ সংখ্যার শনাক্তকরণ নম্বর থাকবে এবং এসব তথ্য পরবর্তীতে শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। এরপর থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে আর আলাদাভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হবে না।
ইউনিক আইডি কার্ডে একজন শিক্ষার্থীকে ১৫ ধরনের তথ্য দিতে হবে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীর নাম বাংলা ও ইংরেজিতে, জন্মনিবন্ধন, জন্ম তারিখ, জন্মস্থান,লিঙ্গ, জাতীয়তা, ধর্ম, অধ্যয়নরত শ্রেণি, শ্রেণির রোল নম্বর, বৈবাহিক অবস্থা, প্রতিবন্ধী (প্রযোজ্য হলে), রক্তের গ্রুপ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কি না, ইংরেজিতে মা ও বাবার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, মোবাইল, পেশাসহ জীবিত না মৃত তাও উল্লেখ করতে হবে। পিতা, মাতা অভিভাবক না হলে অভিভাবকের সঙ্গে শিক্ষার্থীর সম্পর্ক ও উল্লেখ করতে।
শিক্ষার্থীরা তাদের ইউনিক আইডি সংগ্রহের জন্য অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করে ফরমটি পূরণ করতে হবে। সেগুলো নিচে আলোচনা করা হল-
আরো পড়ুন : ইউনিক আইডি কার্ড কি, এর জন্য কি কি লাগবে