এইচএসসি ভূগোল ১ম পত্র সাজেশন ২০২২ / অধ্যায় ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর (HSC geography 1st Paper suggestion 2022 / important question answers) নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে। আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির জন্য এই শর্ট সাজেশন দেয়া হয়েছে। আশা করা যায়, সংক্ষিপ্ত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস অনুযায়ী এই সাজেশন অনুসরণ করে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবে। ভূগোল ১ম পত্র বিষয়ের পরীক্ষা হবে ২০ নভেম্বর ২০২২ (রবিবার)।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার (HSC) পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন। গত বছর (২০২১) মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন। অর্থাৎ, এবারের পরীক্ষায় গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থী কমেছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৮৩ জন।
পাবলিক পরীক্ষা | উচ্চমাধ্যমিক / এইচএসসি পরীক্ষা ২০২২ |
বোর্ড সমূহ | সাধারণ শিক্ষা বোর্ড (ঢাকা বোর্ড – রাজশাহী বোর্ড – যশোর বোর্ড – কুমিল্লা বোর্ড – চট্টগ্রাম বোর্ড – বরিশাল বোর্ড – সিলেট বোর্ড – দিনাজপুর বোর্ড ও ময়মনসিংহ বোর্ড ) |
পরীক্ষা শুরু | ৬ নভেম্বর ২০২২ থেকে |
তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ | ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ |
ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু | ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে |
অধ্যায়-২: পৃথিবীর গঠন
অধ্যায়-৩: ভূমিরূপ পরিবর্তন
অধ্যায়-৪: বায়ুমণ্ডল ও বায়ুদূষণ
অধ্যায়-৬ : জলবায়ু অঞ্চল ও জলবায়ু পরিবর্তন
অধ্যায়-৮ : সমুদ্রস্রোত ও জোয়ার-ভাটা
১. মোহহাবিযুক্তি রেখা কী?
উত্তর : ভূত্বক ও গুরুমণ্ডল পৃথককারী শিলাস্তর হলো মোহোবিযুক্তি রেখা।
ভূকম্পন তরঙ্গের মাধ্যমে জানা যায় অশ্মমণ্ডল ও গুরুমণ্ডলের মধ্যে একটি পাতলা স্তর আছে যা ১৯০৯ সালে সার্বিয়ার ভূকম্পনবিদ মোহোরোভিসিক প্রথম আবিষ্কার করেন। তাঁর নামানুসারে এ স্তরটিকে মোহোবিযুক্তি রেখা বলা হয়।
১. প্লাইস্টোসিনকালের সোপান বলতে কী বুঝো?
উত্তর : আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলে।
উত্তর-পশ্চিমাংশের বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় বা উচ্চভূমি এ অঞ্চলের অন্তর্গত। প্লাইস্টোসিনকালে এসব সোপান গঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
৩. আবহাওয়ার তারতম্য বিচূর্ণীভবনের কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : নানা ধরনের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিলাসমূহ চূর্ণ-বিচূর্ণ হওয়াকে বিচূর্ণীভবন বলে।
আবহাওয়ার তারতম্যের ফলে বিচূর্ণীভবন সংঘটিত হতে পারে। দিন-রাত্রির ও ঋতুভেদে উষ্ণতার পার্থক্যের কারণে শিলাসমূহ অসমানভাবে প্রসারিত ও সংকুচিত হয়। এর ফলে বিচূর্ণীভবন ক্রিয়া সংঘটিত হয়।
আবার তুষারের দ্বারাও বিচূর্ণীভবন হয়ে থাকে। যেহেতু উষ্ণতার তারতম্য ও তুষারপাত আবহাওয়ার অংশ।
৪. সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি শোষণকারী স্তরটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণকারী স্তরটি হচ্ছে ওজোনোস্ফিয়ার।
ওজোন স্তরটির প্রভাবে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকে। কারণ, এ স্তর না থাকলে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির দহনে প্রাণীর দেহ পুড়ে যেত এবং সমস্ত প্রাণিকুল অন্ধ হয়ে যেত। এ স্তর সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি শোষণ করায় এখানে তাপ ৭৬° সে. পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। তাই ওজোনস্তরের কোনো ক্ষতি হলে বা এটি ফুটো হলে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি ভূপৃষ্ঠে চলে আসবে এবং তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাবে। এতে প্রাণিজগৎ ধ্বংস হয়ে যাবে।
৫. ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : ভূগর্ভের অভ্যন্তরের শিলার চাপের ফলে ভূপৃষ্ঠে উঁচু ও নিচু অবস্থার সৃষ্টি হয়, যাকে ভঙ্গিল পর্বত বলে।
বিস্তৃত ও সুউচ্চ অনেক পর্বতের সমন্বয়ে ভঙ্গিল পর্বত গঠিত হয়। এ পর্বতের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ভাঁজ। সাধারণত অভ্যন্তরের তলদেশে যেখানে একটি শিলাম-লের প্লেট, পার্শ্ববর্তী প্লেটের তলদেশে ঢুকে পড়ে সে বরাবর বিপুল পরিমাণ পলি এসে জমা হতে থাকে এসব পলি এক পর্যায়ে প্রবল পার্শ্বচাপের কারণে কোথাও ঊর্ধ্বভাবান সঙ্গেই নিম্নভাজের সৃষ্টি করে।
৬. বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন গ্যাসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : বায়ুমণ্ডলে যেসব গ্যাসীয় উপাদান আছে তাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস হলো অক্সিজেন।
অক্সিজেন গ্যাস না থাকলে জীবকূলের অস্তিত্ব টিকে থাকতো না। বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন গ্যাসের পরিমাণ ২০.৭১ ভাগ। এ গ্যাস প্রাণীদের শ্বসনকাজে, শক্তি ও উত্তাপ বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয়। ভূত্বকের শিলা গঠনকারী খনিজের সাথে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সহজেই মিশ্রিত হয়ে বিচূর্ণীভবনে অংশগ্রহণ করে। প্রাণীকূলের বেচে থাকার জন্য অক্সিজেন অপরিহার্য। তাই বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন গ্যাস ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ।
৭. আবহাওয়া ও জলবায়ুর পার্থক্য লেখো।
উত্তর : আবহাওয়া হলো কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানের নির্দিষ্ট সময়ের। বায়ুম-লের তাপমাত্রা, বায়ুর চাপ, বায়ুর প্রবাহ, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি অবস্থা।
অপরদিকে, জলবায়ু বলতে একটি বৃহৎ অঞ্চল জুড়ে আবহাওয়ার উপাদানগুলো যেমন- বায়ুর তাপ, চাপ, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত ইত্যাদির অন্তত ৩০-৩৫ বছরের যে গড় অবস্থা দেখা যায় তাকে বোঝায়।
৮. আর্দ্র বায়ুর উষ্ণতা শিশিরাঙ্কে নেমে গেলে কোন অবস্থার সৃষ্টি হয় ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : আর্দ্র বায়ুর উষ্ণতা শিশিরাঙ্কে নেমে গেলে শিশির পড়ে।
বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয়ুবাষ্প থাকে, তাতে বায়ু সম্পৃক্ত হয় না। যদি – কোনো স্থানের বায়ুকে ধীরে ধীরে শীতল করা যায় তাতে উষ্ণতা একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌছালে বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প থাকে, তাতেই ঐ স্থানের বায়ু পরিপূক্ত হয়। এতে শিশিরের সৃষ্টি হয় এবং এ অবস্থাকে শিশিরাঙ্ক বলে। আর্দ্র বায়ুতে ২-৫ শতাংশ জলীয়বাষ্প থাকে। এটি তাপ বিকিরণ করে ধীরে ধীরে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে শিশির আকারে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়। তাই বলা যায়, আর্দ্র বায়ুর উষ্ণতা শিশিরাঙ্কে নেমে গেলে শিশির পড়ে।
৯. গ্রিনহাউস কী কাজে ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের দেশগুলোতে শীতকালে সবুজ শাক-সবজি উৎপাদনের জন্য যে কাচের ঘর তৈরি করে, তাকেই গ্রিনহাউস বলে।
গ্রিন হাউসে সূর্যালোক অবাধে প্রবেশ করে কিন্তু নির্গত হওয়ার সময় তাপ শক্তির খানিকটা কাঁচের আচ্ছাদনের ভিতর ধরে রাখে। নির্দিষ্ট মাত্রায় তাপ ধরে রেখে বা সৃষ্টি করে মূলত উদ্ভিজ্জ ও শাকসবজি জন্মাবার জন্য এ ঘর শীতপ্রধান দেশে ব্যবহার করা হয়।
১০. বিভিন্ন প্রকার স্কেলের নাম লেখো।
উত্তর : মানচিত্রের যেকোনো দুটি স্থানের মধ্যে দূরত্ব এবং ভূপৃষ্ঠে বা ভূমিভাগে ঐ দু’টি স্থানের মধ্যে প্রকৃত দূরত্বের যে অনুপাত বা সম্পর্ক, তাকে মাপনী বা স্কেল বলে। বিভিন্ন প্রকার স্কেল হচ্ছে-
১১. চন্দ্রের আকর্ষণে জোয়ার হওয়ার ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর : চন্দ্রের আকর্ষণে মুখ্য জোয়ার সংঘটিত হয়।
চন্দ্রের আবর্তনের সময় পৃথিবীর যে অংশ চন্দ্রের সবচেয়ে সম্মুখে উপস্থিত হয় সেখানে চন্দ্রের আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি হয়। স্থলভাগ অপেক্ষা জলভাগের ওপর এ আকর্ষণ শক্তির কার্যকারিতা অনেক বেশি। ফলে চারদিক হতে পানিরাশি ঐ আকর্ষণ স্থলের দিকে ধাবিত হয়। ফলে চন্দ্রের নিকটবর্তী অংশের পানিরাশি স্ফীত হয়ে ওঠে যা মুখ্য জোয়ার নামে পরিচিত।
আরো পড়ুন : এইএসসি পরীক্ষার নতুন রুটিন ২০২২ pdf