হায়ার, ট্রান্সটেক, ইকো ও ওয়ালটন এসির দাম ২০২৩ : গরমে স্বস্তির জন্য এয়ার কন্ডিশনকে এক সময় সম্পূর্ণ বিলাসিতা মনে করা হলেও এবার যেন এই যন্ত্রটি অনেকটা প্রয়োজনের খাতায় নাম লিখিয়েছে। বাজারেও এর চাহিদা আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে। বাসায় কিংবা অফিসে– যেখানেই হোক না কেন, এসির দরকারটা ভালোমতো অনুভব করা যাচ্ছে। তাই আজকের এ লেখায় এমন কিছু এসির খবর জানানো হবে, যা অনেকটাই বাজেটের মধ্যে থাকছে। এই এসিগুলোর দাম ৪০ থেকে ৫৫ হাজারের মধ্যে।
দেশের বাজারে সাধ্যের মধ্যে ইলেকট্রিক্স পণ্য কিনতে চাইলে ট্রান্সটেক বেশ নির্ভরযোগ্য একটি ব্র্যান্ড। ট্রান্সটেক ক্লাসিক সিরিজ এসিতে রয়েছে (মডেল: টিএসএ-১২সিএলএন) চারমুখী সুইং সিস্টেমের সুবিধা, এতে করে বাতাস উপর-নিচ এবং ডান-বাম, সব দিকেই ভালোভাবে প্রবাহিত হয়। এতে হাই-ডেনসিটি এয়ার ফিল্টার বা বাতাসের ছাঁকুনিও রয়েছে, যাতে করে এটি বাতাসে থাকা ধুলোবালিও পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এতে অটো-রিস্টার্টের সুবিধাও আছে, যাতে করে লোডশেডিংয়ের পর আলাদা করে চালু করতে হয় না। এ ছাড়া দ্রুত ঘর ঠান্ডা করতে চাইলে টার্বো মোড চালু করে নেওয়া যায়।
বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় হচ্ছে ওয়ালটন। প্রতি বছরই বাজারে এসির ভালো সংগ্রহ এনে থাকে এই ব্র্যান্ডটি। তাদের রিভারাইন সিরিজে মূলত শক্তির অপচয় না করে পরিবেশবান্ধব এসির প্রতি নজর দেওয়া হয়েছে। বাজেট সীমাবদ্ধ হলে এটি একটি ভালো পছন্দ হতে পারে। ওয়ালটন ডব্লুএসএন-রিভারাইন-১২এফ একটি আদর্শ নন-ইনভার্টার এসি। কেন না এতে বাতাস শীতল করার সময় আওয়াজ যতটা সম্ভব কম হয়, এতে আছে একটি বিল্ট-ইন আয়নাইজার, যা কি না বাতাসে থাকা ধুলোবালি-ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া ছেঁকে নিতে পারে। এ ছাড়া এর বাতাসের বহুমুখী প্রবাহ পুরো ঘরজুড়েই শীতল ভাব ছড়িয়ে দেয়। এই দামের মধ্যে এত কম শক্তি ব্যয়ের অন্য এয়ার কন্ডিশনার কমই আছে।
বাটারফ্লাই গ্রুপের ইকো+ এসি লাইনআপটি সুলভ এসির বাজারে সম্প্রতি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ৫৫ হাজারের নিচে দাম হওয়া সত্ত্বেও এই ইকো+ ইনভার্টার এসিটি এর নামের মতোই বিশেষ, কেন না এ দামে এমন এসি পাওয়া কঠিন। এই এসিটিতে কম শক্তি খরচ হয়। সেই সঙ্গে এমন দামের মধ্যে এসিগুলোর অর্ধেকের চেয়েও বেশি সুবিধা আছে এতে। এসব সুবিধার মধ্যে রয়েছে স্লিপ মোড, লং ডিসস্ট্যান্স কুলিং, রেফ্রিজারেন্ট ডিটেক্টর এবং ধুলোবালি ও মরিচা থেকে বাঁচতে এতে আছে একটি সুরক্ষাকারী গোল্ড ফিন গার্ডও। এসব ছাড়াও এতে গোপন এলইডি ডিসপ্লেসহ অটো মোড, কুল মোড এবং ড্রাই মোডের মতো ইত্যাদি বিভিন্ন মজার জিনিস রয়েছে– যা ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই স্বাচ্ছন্দ্যময়।
হায়ার টারবো কুল নামের এই দক্ষ ও উচ্চ ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এসিটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে আছে ১ টনের কুলিং ক্যাপাসিটি এবং এটি ছোট থেকে মাঝারি আকারের কক্ষের জন্য উপযোগী হবে। এর টারবো কুল ফিচারটির মাধ্যমে ঘর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়।
এটি একটি উচ্চ মানের এসি, যা ব্যবহারের মাধ্যমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের দারুণ অভিজ্ঞতা পাওয়া সম্ভব। এর শীতলকরণ দক্ষতা নিম্ন-ভোল্টেজ আছে এমন স্থানেও একইরকম থাকে। এতে ১ টনের কুলিং ক্যাপাসিটি আছে, যা কি না ছোট থেকে মাঝারি ঘরের জন্য কার্যকর। এর লো ভোল্টেজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য এসিটি ১৫০ ভোল্টের মতো বৈদ্যুতিক সংযোগেও কাজ করতে পারে এবং বিদ্যুৎ ওঠানামা করলেও এতে তেমন একটা সমস্যা হয় না। এর দক্ষ ইনভার্টার প্রযুক্তির কারণে এসিটি অনেক কম শক্তি ব্যয় করে এবং এতে করে বৈদ্যুতিক শক্তি সংরক্ষণের পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিলটাও কম আসে।
এয়ার কন্ডিশনার সাধারণত দু’রকমের হয়। একটি হলো মনোব্লক, আর আরেকটির নাম স্প্লিট সিস্টেমস। মনোব্লক এয়ার কন্ডিশনারে ইউনিটটি এক ব্লকের হয়। উইনডো এসি ও পোর্টেবল এসি মনোব্লকের অন্তর্ভুক্ত। আর স্প্লিট সিস্টেমস এয়ার কন্ডিশনারের ইউনিট হয় দুই ব্লক বিশিষ্ট। এর ইনডোর ইউনিটটি শীতল বাতাসের উৎস আর আউটডোর ইউনিটের কাজ হলো বাতাস ঠান্ডা করা ও রিসাইকেল করা। বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ৪ ধরনের এয়ার কন্ডিশনার।