কনস্টেবল পদে নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে ৩০০০ প্রার্থীর। এসব প্রার্থীদের মধ্যে পুরুষ ও নারী উভয় প্রার্থীই রয়েছেন। মেধা ও শারীরিক সক্ষমতা বিবেচনায় যোগ্য প্রার্থীদের চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
২৭ নভেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া শাখার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৩০০০ শূন্য পদের বিপরীতে আবেদনকারী ছিল ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫৩৪ জন। এরমধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৮ জন। শারীরিক সক্ষমতা যাচাই শেষে ২৩ হাজার ৬৯৭ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। উত্তীর্ণ ৭ হাজার ৪০০ জন প্রার্থীর মধ্যে চূড়ান্ত নিয়োগ পেয়েছেন ৩ হাজার।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এবারের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় নিম্নবিত্ত পরিবারের, যেমন- দিনমজুর, কৃষক, ভ্যানচালকের সন্তানরাই চাকরি পেয়েছেন। কোনও তদবির বা অর্থ ছাড়া এ চাকরি যাদের কাছে ছিল স্বপ্নের মতো। জনপ্রতি নেওয়া হয়েছে ১৩৩ টাকা ফি। চাকরি পেয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি অনেকে। দেশের ৬৪ জেলাতেই আবেগঘন দৃশ্য চোখে পড়েছে।
পিআরবি পরিবর্তনের মাধ্যমে মেধা ও শারীরিক যোগ্যতার ভিত্তিতে কনস্টেবল পদে ৭টি ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ১ম ধাপে রয়েছে প্রাথমিক বাছাই, ২য় ধাপে শারীরিক মাপ এবং ফিজিক্যাল এনডুরেন্স টেস্ট, ৩য় ধাপে লিখিত পরীক্ষা, ৪র্থ ধাপে মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা, ৫ম ধাপে প্রাথমিক নির্বাচন, ৬ষ্ঠ ধাপে পুলিশ ভেরিফিকেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ৭ম ও সর্বশেষ ধাপে প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্তকরণ।
শারীরিক সক্ষমতা ৭টি ইভেন্টের মধ্য দিয়ে যাচাই করা হয়েছে। যার মধ্যে ছিল দৌড়, পুশআপ, লং জাম্প, হাইজাম্প, ড্র্যাগিং ও রোপ ক্লাইম্বিং।