টিকা না নিলে স্কুল-কলেজে না যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এই নির্দেশনা ১৫ জানুয়ারি ২০২২ তারিখের পর থেকে কার্যকর হবে।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা নেয়ার জন্য এখান থেকে আর নিবন্ধন লাগবে না বলে ১০ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ১২-১৮ বছর বয়সী সব শিক্ষার্থীর টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করতে ৮ জানুয়ারি নির্দেশনা পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
জানা গেছে, এক কোটি ১৬ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৪৬ লাখ শিক্ষার্থীর টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ শেষ হয়েছে। আশা করছি আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে বাকিরাও টিকা নিয়ে নেবে।
১৫ জানুয়ারির মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর টিকাদান কার্যক্রম শেষ হবে এবং এর পর থেকেই টিকা না নেয়া শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না।
মাউশির নির্দেশনায় বলা হয়, ১২-১৮ বছর বয়সী সব শিক্ষার্থীকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে কভিড-১৯ প্রতিরোধে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে এরই মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে গত ৩০ ডিসেম্বর বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়। রাষ্ট্রের এই গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রাধিকার কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হলো।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার সব পরিচালক, সরকারি ও বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সব অঞ্চলের উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রধান শিক্ষক এবং উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকার বিষয়টি নিশ্চিত করে স্কুলে যাওয়ার বিষয়ে কেবিনেট সেক্রেটারি নির্দেশনা দিয়েছেন উল্লেখ করে মাউশি মহাপরিচালক বলেন, আমরা সে অনুযায়ী কাজ করছি। ১৫ জানুয়ারির পর বিষয়টি (টিকা ছাড়া স্কুলে নয়) নিশ্চিত করা হবে।
৬ জানুয়ারি সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, টিকা না নিয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাওয়া যাবে না। ১২ বছরের বেশি বয়সের শিক্ষার্থীদের অন্তত এক ডোজ টিকা নিয়ে স্কুল-কলেজে যেতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করব না, যেভাবে সীমিত পরিসরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চলছিল; সেভাবেই চলবে। ১২ জানুয়ারির মধ্যে যারা এক ডোজ টিকা দিয়েছে তারা ক্লাসে আসবে, বাকিরা অনলাইনে ক্লাস করবে আর অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেবে। সবার অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়া হলে তারপর থেকে তারা সশরীরে ক্লাস করতে পারবে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী মোট শিক্ষার্থী ১ কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৩২২ জন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৪৪ লাখ, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৫৪ জনকে। মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ৪৮ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ জনকে। প্রথম ডোজ বাকি আছে ৭৫ লাখ ৫৪ হাজার ৬০৬ জনের।
৩৯৭ উপজেলায় ১৫ জানুয়ারির মধ্যে, ৩ উপজেলায় ১৭ জানুয়ারি, ৫৬ উপজেলায় ২০ জানুয়ারি, ১৫ উপজেলায় ২২ জানুয়ারি, ৩৫ উপজেলায় ২৫ জানুয়ারি এবং ১১ উপজেলায় ৩১ জানুয়ারির মধ্যে টিকাদান সম্পন্ন করতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী।