তামিম ইকবাল অবসর নিয়েছেন। তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার ও অবসরের খবরের বিস্তারিত নিয়েই এই পোস্ট। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন ৬ জুলাই ২০২৩।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে সম্পূর্ণভাবে বিদায় জানানোর বেশ আগেই টি টোয়েন্টি (T20) থেকে সরে যান তামিম। ২০২২ সালের ১৬ জুলাই হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তামিম। এরপর দেশের হয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেট খেলে যাচ্ছিলেন।
চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে ১৮ মিনিটের বক্তব্যের শুরুতেই তামিম বলেন, গতকাল (৫ জুলাই ২০২৩) আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিই আমার শেষ আন্তর্জাতিক খেলা। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এই মুহূর্তে অবসরের ঘোষণা দিলাম। এই সিদ্ধান্তটি আমি হুট করে নেইনি। আমি গত কয়েক দিন থেকে এটা ভাবছিলাম। আমি পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমি মনে করি এটাই সঠিক সময় সিদ্ধান্ত নেয়ার।
সবাইকে ধন্যবাদ জানান তামিম, ‘আমি সবসময় একটা কথা বলেছি যে, আমি ক্রিকেট খেলি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য। আমি নিশ্চিত নই, এই ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তাকে গর্বিত করতে পেরেছি কি না। আরও অনেক মানুষকে ধন্যবাদ জানানোর আছে। আমার সবচেয়ে ছোট চাচা, যিনি ইন্তেকাল করেছেন – আকবর খান; ওনার হাত ধরেই আমার প্রথম ক্রিকেট বলের টুর্নামেন্ট খেলা। তাকে ও তার পরিবারকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। এম এ আজিজে তপনদা নামের একজন কোচ আছেন, যার কাছে আমি ছোটবেলা থেকে প্র্যাকটিস করেছি। তাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
সেই সঙ্গে সতীর্থ ও ক্রিকেট বোর্ডকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশের ইতিহাসের সেরা ওপেনার ব্যাটার: ‘যে খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমি (বয়সভিত্তিক, প্রিমিয়ার লিগ, ন্যাশনাল লিগ, জাতীয় দল) খেলেছি, তাদের সকলকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিশেষ করে জাতীয় দলে যারা ছিলেন তাদের। ক্রিকেট বোর্ডকেও অবশ্যই, তারা আমাকে লম্বা সময়ের জন্য জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দিয়েছিল। অধিনায়কত্ব করার সুযোগ দিয়েছিল।’
তামিম ইকবাল খান হলেন একজন বাংলাদেশী প্রাক্তন ক্রিকেটার। বাবা ইকবাল খানের স্বপ্ন পূরণ করতেই জাতীয় দলে পা রেখেছিলেন তামিম। ছোট চাচা প্রয়াত আকবর খানের কাছেই হাতেখড়ি ক্রিকেটের। ২০০৭ সালে তামিম ইকবালের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে এবং একই বছর তিনি তার প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলেন। তিনি ডিসেম্বর ২০১০ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১১ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সহ-অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম লেখান তামিম। এর মাঝে কেটে গেছে ১৬ বছর। এর মধ্যে ওয়ানডেতে খেলেছেন ২৪১টি ম্যাচ। ৩৬.৬২ গড়ে রান করেছেন ৮ হাজার ৩১৩। পাশাপাশি টেস্টে ৭০ ম্যাচে ৩৮.৮৯ গড়ে করেছেন ৫ হাজার ১৩৪ রান। আর ৭৮টি টি-টোয়েন্টি খেলে ২৪.০৮ গড়ে ১ হাজার ৭৫৮ রান করে গত বছর অবসর নেন।