BOESL দক্ষিণ কোরিয়া লটারি ২০২৪ আবেদন, নিবন্ধন খরচ, বেতন, নোটিশ PDF
বোয়েসেল (BOESL) কর্তৃক দক্ষিণ কোরিয়া লটারি ২০২৪ আবেদন, নিবন্ধন খরচ, বেতন কত ও নোটিশ (South Korea lottery 2024 circular) সম্পর্কে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি প্রার্থীদের অনলাইনে প্রাথমিক নিবন্ধন ৬ জুন সকাল ১০টা থেকে ৮ জুন ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত হয়েছে। ২০২৩ সালে প্রায় ৭৫০০ জন বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত। কোরীয় ভাষা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইন নিবন্ধন-২০২৩ (লটারি) সংক্রান্ত নোটিশ-এ নিবন্ধনর নিয়ম ও তারিখ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বোয়েসেলের ওয়েবসাইটে (http://www.boesl.gov.bd) দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়োগের সার্কুলার বা বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যাবে।
দক্ষিণ কোরিয়া লটারি রেজাল্ট দেখতে ক্লিক করুন।
EPS-এর আওতায় ই৯ ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পখাতে বাংলাদেশি প্রার্থীদের চাকরিতে নিয়োগের লক্ষ্যে কোরীয় ভাষা পরীক্ষায় (ইউবিটি) অংশগ্রহণের জন্য নিম্নবর্ণিত যোগ্যতা ও শর্তপূরণ সাপেক্ষে নির্ধারিত নিবন্ধন সাইট eps.boesl.gov.bd অনলাইন নিবন্ধন সম্পন্ন করা যাবে। সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নেওয়ার নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদনের নিয়ম, খরচ, বেতন, রেজাল্ট, গাইড লাইন ও নোটিশ প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (BOESL) দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী রপ্তানীর লক্ষ্যে বিশেষ নোটিশ ও নির্দেশনামূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এই নোটিশ বা বিজ্ঞপ্তিতে আগ্রহী কর্মীদের করণীয়, বাছাই প্রক্রিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ায় জনবল রপ্তানীর প্রক্রিয়া বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।
ক) অনলাইন প্রাথমিক নিবন্ধন : আগামী ৬ জুন সকাল ১০টা থেকে ৮ জুন ২০২৩ তারিখ বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
খ) অনলাইন প্রাথমিক নিবন্ধনকৃত প্রার্থীর সংখ্যা ২০০০০ (বিশ হাজার)-এর বেশি হলে এইচআরডি কোরিয়া কর্তৃক লটারির মাধ্যমে কোরীয় ভাষা পরীক্ষায় (ইউবিটি)’তে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে চূড়ান্ত নিবন্ধনের জন্য প্রার্থী নির্বাচন করা হবে।
গ) লটারি: আগামী ১১ জুন ২০২৩ খ্রি. তারিখ সকাল ১১ ঘটিকায় বোয়েসেল-এর অভিবাসি সম্মিলন হলে অনুষ্ঠিত হবে।
ঘ) চূড়ান্ত নিবন্ধন: আগামী ১৩ জুন ২০২৩ খ্রি. তারিখ থেকে রোস্টার ভিত্তিক শুরু হবে।
ঙ) চূড়ান্ত নিবন্ধনকারী অর্থাৎ প্রবেশ পত্র গ্রহণকারী প্রার্থীদের ব্যক্তিভিত্তিক পরীক্ষায় আগামী ২৫ জুলাই থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রি. তারিখ-এ প্রবাসী কল্যাণ ভবন এর নির্ধারিত ইউবিটি-হল-এ অনুষ্ঠিত হবে।
এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত নোটিশ শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে। বিষয়টি বহুল প্রচারের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।
…………………..
২০২৩ সালে প্রায় সাড়ে সাত হাজার (৭৫০০ জন) বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া যেতে পারবেন বলে আশা করছে বোয়েসেল। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত শুধু দক্ষিণ কোরিয়া গেছেন পাঁচ হাজার ৮৯১ জন বাংলাদেশি কর্মী। এর আগে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত শুধু দক্ষিণ কোরিয়া গেছেন পাঁচ হাজার ৮৯১ জন বাংলাদেশি কর্মী।
আরো পড়ুন : ২০২৩ সালে ৭৫০০ বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ
দক্ষিণ কোরিয়ায় এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমে (ইপিএস) কর্মী নিয়োগের সার্কুলার ঘোষণা করা হয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিঃ (বোয়েসেল) এ তথ্য জানিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় শিল্পখাতে লটারির মাধ্যমে প্রতি বছর হাজার হাজার বাংলাদেশিকর্মী সরকারিভাবে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। গত বছরের শেষ নাগাদ প্রায় পাঁচ হাজার দুইশত বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়ায় গেছে। যা এরই মধ্যে অন্যান্য বছরের তুলনায় রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এ বছর প্রায় ৭৫০০ জন বাংলাদেশির দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন, ঢাকায় নিযুক্ত কোরীয় রাষ্ট্রদূত লি জাং কিউন।
তিনি বলেন, এছাড়াও অতিরিক্ত আরও ৫০০০ কর্মীসহ কৃষি ভিসায় মৌসুমী শ্রমিক পাঠানোর সুযোগতো থাকছেই। বর্তমানে নতুন করে বাংলাদেশ থেকে বেসরকারিভাবে ই-সেভেন ভিসায় প্রচুর বাংলাদেশি যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। ফলে নতুন করে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশিদের জন্য। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে আরও বিপুল পরিমাণ কর্মী নিতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া।
১। শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি/সমমান; ২। পাসপোর্টের মেয়াদ হালনাগাদ থাকা সাপেক্ষে; ৩। এসএসসি/সমমান সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে পাসপোর্টের মিল থাকা সাপেক্ষে; ৪। বয়স সীমা ১৮ থেকে ৩৯ বছর; ৫। E-9 ভিসায় Dirty Difficult Dangerous (3D) কাজ করতে সমস্যা নেই; ৬। যার কালার ব্লাইন্ডনেস বা রঙ বোঝার সক্ষমতার সমস্যা নেই; ৭। কোরীয় ভাষা পড়া, লেখা ও বোঝার পারদর্শিতা থাকতে হবে; ৮। মাদকাসক্ত/সিফিলিস শনাক্ত ব্যক্তিরা অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
৯। ফৌজদারি অপরাধে জেল বা অন্য কোনো শাস্তি হয়নি; ১০। যারা দক্ষিণ কোরিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থান করেনি; ১১। যার ওপর বিদেশ যাত্রায় কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বা যেতে কোনো সমস্যা নেই এবং ১২। যারা ই-৯ বা ই-১০ ভিসায় কোরিয়াতে ৫ বছর বেশি থাকেনি।
বোয়েসেল জানিয়েছে, কর্মনিষ্ঠা, সততা ও নিয়মানুবর্তিতার কারণে বাংলাদেশের কর্মীরা এখন দক্ষিণ কোরিয়াতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তাইতো দেশটিতে বাংলাদেশের কর্মীদের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ২০০৭ সালে কর্মী নিয়োগের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির আওতায় ২০০৮ সাল থেকে দেশটিতে দক্ষ কর্মী পাঠানো শুরু করে বাংলাদেশ সরকার। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মে মাসের শেষ সপ্তাহে লটারি সার্কুলার হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এছাড়া ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রস্তুতিসহ বিষয়টি বহুল প্রচারের আহ্বান জানিয়েছেন, বোয়েসেল কর্তৃপক্ষ। যাবতীয় তথ্য বোয়েসেলের এই লিঙ্কে http://eps.boesl.gov.bd ক্লিক করলে পাবেন নতুবা ফেসবুক পেজেও পাওয়া যাবে। লটারি সার্কুলার হওয়ার পর, যাদের কম্পিউটার নেই কিন্তু নিজে নিজে মোবাইলের মাধ্যমে আবেদন করতে চান তারাও নির্ভুলভাবে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও যেকোনো কম্পিউটারের দোকান থেকে নির্ভুলভাবে আবেদন করা যাবে।
শুধু কোরিয়ান ভাষা শিখলে নামমাত্র খরচে মাসে দেড় লাখ টাকার বেশি বেতনে চাকরি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া যায়।
লটারির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে হলে আবেদন ফরম পূরণ করা হয়, এ ক্ষেত্রে আবেদন ফি ৫০০ টাকার মতো। যারা ভাষা শিখে দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজের জন্য যেতে চান, তাদের আবেদন ফরম পূরণ করতে খরচ হয় ৫০০০ টাকা।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে। বিস্তারিত তথ্য বোয়েসেলের লিঙ্কে গিয়ে হোমপেজে ক্লিক করলে পাবেন নতুবা ফেসবুক পেজে পাওয়া যাবে। যাদের কম্পিউটার নেই কিন্তু নিজে নিজে মোবাইলের মাধ্যমে আবেদন করতে চান তারাও নির্ভুলভাবে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও যেকোনো কম্পিউটারের দোকান থেকে নির্ভুলভাবে আবেদন করা যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বোয়েসেল আরও উল্লেখ করেছে, কোরীয় ভাষা অপারদর্শীদের জন্য ২০২৩ সালের লটারি সার্কুলার শিগগিরই বোয়েসেলের নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হবে।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ইপিএসের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ নির্বাচিত ১৬টি দেশ থেকে মাঝারি ও স্বল্প-দক্ষ বিদেশি কর্মী নিয়োগ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বাংলাদেশি কর্মীদের রেমিট্যান্সপ্রবাহ ছিল ১৩৫.৪৬ মিলিয়ন ডলার। দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের রেমিট্যান্স আয়ের ১৫টি প্রধান উৎসর অন্যতম।
দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য বোয়েসেলের নির্দেশনা অনুসরণ করে পরীক্ষা ও লটারির মাধ্যমে বাছাই পরীক্ষায় নির্বাচিত হতে হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার ১ ওন (South Korean won বা SKW) সমান বাংলাদেশের ০.০৮১ টাকা। অথাৎ দক্ষিণ কোরিয়ার ১০০০ টাকার সমান বাংলাদেশের প্রায় ৮১ টাকা।