পরীক্ষায় ঘড়ি ব্যবহার নিয়ে বিড়ম্বনা সম্পর্কে ফেসবুকে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ-ইউনিটের (২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া।
তার এই ফেইসবুক স্ট্যাটাসটি এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো-
“আমার ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা ছিল হলে ঘড়ি থাকবে কিনা সেটা নিয়ে। যখন শুনলাম বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হল পড়েছে তখনই শিওর হওয়ার চেষ্টা করছিলাম ঘড়ি আছে কিনা।যদিও শেষমেষ জানতে পারিনি সত্যিই ঘড়ি আছে কি নেই। তাই গেটের চেকআপের সময় হাতঘড়ি নিয়েই হলে ঢুকি। ঢুকে দেখি যে আলহামদুলিল্লাহ ঘড়ি আছে। পরে হাতঘড়ি ম্যামের কাছে জমা দেই।
কিন্তু ঢাবি ঘ ইউনিটের পরীক্ষার হলে ঘড়ি ছিল না। গার্ডও পড়ছে কিছু হাবাগোবা টাইপের। বলছে ১৫ মিনিট পরপর সময় বলবে।কিন্তু পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর তাদের কাছে টাইম জিজ্ঞেস করতে করতেই সময় গেছে প্রচুর। ফলাফল আমি এমসিকিউ চারপাঁচটা দাগাইতে পারিনি। তারপর রিটেন ঘড়ি না থাকায় দ্রুত লিখতে হয়েছে। কোনো টাইম মেইনটেইন করতে পারিনি।পরে দেখি লেখা শেষ হওয়ার আরো পাঁচছয় মিনিট পরে টাইম শেষ হয়েছে।
ফলাফল,ঢাবি ঘ ইউনিটের পরীক্ষা আমার পুরোপুরি বাজে হইছে। গুচ্ছেও জগন্নাথের রুমে ঘড়ি ছিল না।
আমার কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব শুধু এই ঘড়ি না থাকায় খারাপ করেছে। ভর্তি পরীক্ষায় এক মার্কের জন্যই দশবারো জনের পেছনে পড়তে হয়। অথচ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি নেওয়া হয় ৭০০/১০০০ করে।এগুলো নেওয়া মানেই হলে একটা ঘড়ি এবং সার্বিক ব্যাবস্থাপনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া। কিন্তু সবসময়ই এই ঘড়ি থাকা না থাকা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।বিগত বছরগুলোতেও সেইম সমস্যা ছিল।বড় ভাইদের থেকে অনেক শুনেছি।শুধু হলে একটা ঘড়ি না থাকায় তাদের পরীক্ষা খুবই বাজে হয়েছে।
যদি তারা প্রতিটি হলে ঘড়ি থাকাটা নিশ্চিত না করতে পারে তাহলে অন্তত কাটাওয়ালা একেবারে সিম্পল ঘড়িগুলো নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিক। আগামী বছর যাতে পরীক্ষার হলের প্রতিটি রুমে ঘড়ি থাকে।এ বিষয়টা এখনই ক্লিয়ার করা খুবই জরুরি।যাতে আর কোনো শিক্ষার্থীর স্বপ্নভঙ্গ না হয়। একটা ছেলে গাধার মতো খেটে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়। এরপর যদি কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে তার স্বপ্নভঙ্গ হয় তাহলে তার দায়ভারও কর্তৃপক্ষ নিবে।সাংবাদিক ভাইদের এবং বড় ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
– সাখাওয়াত জাকারিয়া
খ-ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়