২০২২ সালের ৫ম শ্রেণির প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল (২০২২) প্রকাশ করা হবে ২৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখের মধ্যে। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ফলাফল প্রকাশের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের এই তারিখের ব্যাপারে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব ফরিদ আহাম্মদ। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের গৃহীত বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা। এতে একেকটি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের প্রতিটিতে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে হয় এই পরীক্ষা।
পরীক্ষা : | প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ |
পরীক্ষার বিষয় : | বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান |
মোট নম্বর : | ১০০ নম্বর |
পরীক্ষার সময়কাল | ২ ঘণ্টা (১০টা থেকে ১২টা) |
পরীক্ষার তারিখ : | ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ |
পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ : | ২৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ |
ওয়েবসাইট : | http://www.dpe.gov.bd |
২৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখের মধ্যে ৫ম শ্রেণির প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সব কিছু ঠিক থাকলে এই তারিখেই সারা দেশের বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (http://www.dpe.gov.bd) প্রকাশিত হবে।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত ৫ম শ্রেণির এই প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ৮২ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার এবং সাধারণ গ্রেডে ৪৯ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী বৃত্তি পাবে।
ট্যালেন্টপুলে বৃত্তির ক্ষেত্রে উপজেলাভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যার ভিত্তিতে মোট বৃত্তির ৫০% ছাত্র এবং ৫০% ছাত্রীকে মেধা অনুসারে দেওয়া হবে।
ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ৩০০ টাকা এবং সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ২২৫ টাকা করে পাবেন।
উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে সারা দেশের উপজেলা ভিত্তিক কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ৬ লাখ শিক্ষার্থী পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। পরীক্ষার সময়কাল ছিল ২ ঘণ্টা।
করোনার পাশাপাশি গত জানুয়ারি থেকে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমের বিষয়টি মাথায় রেখে গত বছরসহ তিন বছর ধরে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। আগামী দিনেও আর এ পরীক্ষা হচ্ছে না বলেই জানিয়ে আসছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারকেরা। কিন্তু গত ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় আকস্মিকভাবেই এ বছর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
যদিও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলে আসছিলেন, বছরের শেষে এসে হঠাৎ প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া একদিকে শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন ক্ষতিকর বিষয় হবে, তেমনি নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ভবিষ্যৎ শিক্ষাব্যবস্থায় যে পরিবর্তন আসছে, তার জন্যও নেতিবাচক হবে। তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে।