VPN (Virtual Private Server) বা ভিপিএন কী, কিভাবে চালু করতে হয়- এসব নিয়ে আজকাল অনেকেরই কৌতুহল। এছাড়া ভিপিএনের সুবিধা-অসুবিধা কী, তাও বেশিরভাগ মানুষ জানেন না।
VPN কি?
– VPN মানে হলো ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক। এই কম্পিউটার বা স্মার্টফোন সফটওয়্যার বা অ্যাপের মাধ্যমে একটি পাবলিক নেটওয়ার্কের মধ্যে বিশেষ প্রাইভেট নেটওয়ার্ক তৈরি করে, নিরাপদ ভাবে ব্রাউজিং এবং তথ্য আদান-প্রদান করা। অর্থ্যাৎ, VPN এর মাধ্যমে আপনি একটা ভার্চুয়াল লোকেশন ব্যবহার করে বিশ্বের যেকোনো ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে পারেন। অন্যদিকে নির্দিষ্ট একটি দেশ বা অঞ্চলের ব্লক করে দেওয়া ইন্টারনেটের ওয়েবসাইটের কনটেন্ট দেখার জন্য ভিপিএন (vpn)ব্যবহার করা হয়।
ভিপিএন (VPN) এর প্রকারভেদ :
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য অনেক ধরনের ভিপিএন (VPN) রয়েছে ।প্রত্যেকটি ভিপিএন (VPN) তাদের সিকিউরিটি সুযোগ দিয়ে থাকে। গুগল প্লে স্টোরে ১৫০টিরও বেশি জনপ্রিয় ভিপিএন রয়েছে । ভিপিএন (VPN) গুলোকে অনেকগুলো ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়ছে। এগুলো নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। pptp : pptp কমন একটি টানেলিং যার সম্পূর্ণ রূপ হল point to point। Windows 95 এ ব্যবহার করা হয়েছে pptp তাহলে বুঝতে পারছেন এটি অনেক পুরনো। পুরনো হওয়ার কারণে হ্যাকার দ্বারা আক্রান্ত হবার অনেকটাই সম্ভাবনা থাকে।
sstp : pptp এর চেয়ে অনেক বেশী কার্যকর এবং : secure socket tunneling protocal এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল sstp যেটা উইনডোজ সাপোর্ট করে pptp এর চেয়ে sstp অনেক বেশি কার্যকর এবং নিরাপদ হয়ে থাকে
L2TP/ IP SEC : L2TP এর পূর্ণরূপ হল Layer 2 Tunnel Protocal। (L2TP) এনক্রিপশন করে না , L2TP টানেল তৈরি করে সিকিউর এনক্রিপশনের IPSEC জিনিসটা দেখে L2TP সব ট্রাফিক এনক্রিপশন করে টপ এ যোগ করে তাতে অপশন গুলো আগের চেয়ে অনেক স্লো হয়ে যায়।
Open Vpn: ওপেন Vpn মানে ওপেনসোর্স, মানে বোঝা যায় open-source টেকনোলজিতে ওপেন ভিপিএন ইউজ করা হয়। ওপেন ভিপিএন এর কনফিগারেশন সবচেয়ে বেশি উন্নত। ওয়েব এর জন্য নিরাপদ হিসেবে এটিকে বিবেচনা করা হয়।
IKE V2 : IKE V2 এর পূর্ণরূপ হল Internet key exchange version 2। ১৯৯৮ সালে এটি মাইক্রোসফট সিকিউরিটি পার্টনারশিপের মাধ্যমে তৈরি করে যেটা অথেন্টিকেশন এর জন্য pair (প্রটোকল v.59) সার্টিফিকেট ব্যবহার করে।
ভিপিএন (VPN) কিভাবে কাজ করে?
যখন আপনি কোনো ভিপিএন এর সাথে কানেক্টেড থাকবেন তখন আপনার মোবাইল, ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহারের ডিভাইসগুলো আইপি এড্রেস চেঞ্জ করে অন্য একটি তে রুপান্তরিত করে দেয়। ওয়েবসাইটগুলো আপনার আসল আইপি এড্রেস দেখতে পাবে না। তারা শুধু ভিপিএন এর আইপি এড্রেস দেখতে পারবে। তাই আপনাকে আলাদা ভাবে খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। সার্চ ইঞ্জিন ও অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলো আপনার কাজগুলো ট্র্যাক করতে পারবে না।
ভিপিএন (VPN) ব্যবহার করা কি নিরাপদ?
ইয়াহু টেকের একটি রিপোর্টে দাবি করেছে, অনলাইনে গোপনীয়তা রক্ষার্থে, ভিপিএন (VPN) সবসময় নিরাপত্তা দিতে পারে না।
তবে ভালো মানের ভিপিএন (VPN) সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।তাহলে ভিপিএন (VPN) ব্যবহার করা আপনার জন্য নিরাপদ হয়। তাছাড়া ভালো ভিপিএন (VPN) ব্যবহার না করলে ভিপিএন (VPN)-এর মাধ্যমে হাতিয়ে নিতে পারে আপনার তথ্য।
ভিপিএন এর সুবিধাগুলো :
১. আপনার অবস্থান কেউ ট্রাক করতে পারবেনা।
২. তথ্য আদান-প্রদান করার ক্ষেত্রে নিরাপদে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবেন।
৩. আপনার অবস্থান কেউ ট্রাক করতে পারবেনা।
৪. তথ্য চুরি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
৫. ব্লক করা ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে পারবেন। মনে করুন, আমাদের দেশে ফেসবুক বন্ধ করে দিলে ভিপিএন ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রবেশ করতে পারবেন।
৬. আপনার প্রকৃত লোকেশন গোপন করে রাখতে পারবেন।
ভিপিএনের অসুবিধা :
ভিপিএন (VPN) এর সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল ভিপিএন (VPN) ব্যবহার করে টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করা যায় না। টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করার জন্য ইন্টারনেটের উপর নির্ভর করতে হবে।
অনেক সময় ক্রিমিনাল ভিপিএন (VPN) Use করে বিভিন্ন ধরনের ক্রাইম করতে চায়। তা ছাড়া হ্যাকাররা বিভিন্ন ধরনের তথ্য হ্যাক করতে চায়।তার জন্য অপরাধীদের ধরতে অনেক সময় কষ্ট হয়ে যায়।
কোন VPN ব্যবহার করা যেতে পারে :
আপনি যদি গুগল এ সার্চ দিয়ে দেখেন তাহলে অনেক ভিপিএন এর নাম দেখতে পাবেন। তবে এসকল ভিপিএন এর মাঝে আমি ZenMate VPN, Hotspot Sheild (ক্রোম এক্সটেনশন) কিংবা NordVPN (ক্রোম এক্সটেনশন) ব্যবহারের পরামর্শ দেব।
নর্ডভিপিএন এর কিছু অত্যাধুনিক ফিচার আছে। তাছাড়া এদের অপশনগুলো অনেকটা ফ্রেন্ডলি হওয়ায় এটা ব্যবহার বা অপারেট করতে খুব বেশি সমস্যা হয় না। এদের মাঝে ডাবল ভিপিএন সার্ভার আছে যেটা আমার অনেকটা ভালোও লেগেছে।
কন্টেন্টটি কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানান, ভালো লাগলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন ।
লিখেছেন : মো. মোনায়েম হোসেন
অনলাইন থেকে সংগৃহীত ও আংশিক সম্পাদিত