দেশের সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ৯ম, আর সব শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ১১তম শিক্ষা বোর্ড হচ্ছে ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহ’। ২০১৭ সালের ২৮ অগাস্ট ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে (শনিবার) জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার (জেএসসির) আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো ময়মনসিংহ বোর্ডের অধীনে ওই অঞ্চলের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো। ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর ও জামালপুর জেলার নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ময়মনসিংহ বোর্ডের অধীন। ময়মনসিংহ বোর্ডের অধীনে ১২৫টি কেন্দ্রে ১,৪৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৫২ জন শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৮০,৮৫৫জন ছাত্র, ৮২,৭৯৭ জন ছাত্রী।
উল্লেখ্য, ২ নভেম্বর ২০১৯ থেকে সারা দেশে একযোগে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সারাদেশের মোট ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন পরীক্ষার্থী জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেবে।
দ্রুত সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রথম থেকেই এই বোর্ডকে ডিজিটাল করার উপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা তুলে তিনি বলেন, ই-ফাইলিং ও অনলাইন শিক্ষা প্রোফাইল কার্যক্রম চালু হয়েছে। শুরু থেকেই ই-জিপি টেন্ডার কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
তবে প্রস্তাবিত ১৭৫ জনবলের বিপরীতে মাত্র ২৯ জন (১৪ জন প্রেষণে, ১২ জন অস্থায়ী এবং ৩ জন আউটসোর্সিং) তাদের কাজ চালাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
“জনবলের তীব্র সংকটের কারণে অমানসিক কষ্ট করতে হচ্ছে। তবু কাঙ্খিত সেবা দিতে পিছ পা হচ্ছেন না শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা।”
বোর্ড প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিনের আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, বোর্ড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষকদের সীমাহীন কষ্ট ও দুর্ভোগের অবসান হয়েছে।
“নতুন বোর্ডের পাবলিক পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এ অঞ্চলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দারুন খুশি।”
২০২০ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও এই বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে।