শেখ রাসেল কুইজ প্রতিযোগিতার প্রশ্ন ২০২৩

শেখ রাসেল কুইজ প্রতিযোগিতার প্রশ্ন নিয়ে অনেকের জানার আগ্রহ রয়েছে। প্রতিযোগিতার প্রশ্ন হবে বঙ্গবন্ধুর সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল সম্পর্কে। শেখ রাসেলের জীবন বৃত্তান্ত ও বিভিন্ন গ্রন্থ বা আলোচনায় শেখ রাসেল সম্পর্কে যেসব তথ্য উঠেছে, সেসব নিয়ে প্রশ্ন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কুইজের প্রশ্নের বিষয় / টপিক

শেখ রাসেলের জন্ম, দুরন্ত শৈশব, শিক্ষা জীবন, স্বপ্ন, ভ্রমণ, পছন্দ, খেলাধুলা, তাঁর উপর রচিত গ্রন্থ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তসহ বিভিন্ন বিষয় থেকে প্রশ্ন নির্ধারণ করা হবে।

শেখ রাসেল প্রতিযোগিতার তারিখ, বয়স ও লিংক

শেখ রাসেল প্রতিযোগিতার পুরস্কার

  • গ্রুপ ক (৮-১২ বছর) : ৫টি ল্যাপটপ (কোর আই ৭, ১১ জেনারেশন)
  • গ্রুপ খ (১৩-১৮ বছর) : ৫টি ল্যাপটপ (কোর আই ৭, ১১ জেনারেশন)

শেখ রাসেল কুইজ প্রতিযোগিতার প্রশ্ন কেমন হবে?

গত বছরের শেখ রাসেল কুইজ প্রতিযোগিতার প্রশ্ন দেখলে চলতি বছরের প্রশ্ন সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা পাওয়া যাবে।

  • প্রশ্ন-১ : ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন শেখ রাসেল। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বর্বর ঘাতক চক্রের নির্মম বুলেটে প্রাণ হারাতে হয় ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শিশু রাসেলকেও। শেখ রাসেল ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। কত বছর বয়সে নিহত হন শেখ রাসেল?
    উত্তর : ১০ বছর ৯ মাস ২৮ দিন বয়সে শেখ রাসেল নিহত হন।
  • প্রশ্ন-২ : শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবনের একটা বড় অংশই কারাগারে কাটিয়েছেন। এমনকি একটানা বছরের পর বছরও তাঁকে বিনা বিচারে কারাগারে বন্দি থাকতে হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জেলগেটে গিয়ে শেখ মুজিবের সঙ্গে দেখা করতেন। তাঁর ছোট ছেলে শেখ রাসেল কারাগারকে কী বলত?
    উত্তর : আব্বার বাড়ি।

শেখ রাসেল সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ৫০ প্রশ্ন

১। শেখ রাসেল দিবস কবে?
উত্তর : ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস।

২। শেখ রাসেল দিবস কোন শ্রেণিভুক্ত দিবস?
উত্তর : শেখ রাসেল দিবস ‘ক’শ্রেণিভুক্ত দিবস।

৩। শেখ রাসেল এর পরিচয় কী?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল।

৪। শেখ রাসেল কোথায় কবে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে ১৮ অক্টোবর ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন শেখ রাসেল।

৫। ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ বইটি কে লিখেছেন?
উত্তর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইটি লিখেছেন।

৬। শেখ রাসেলের মাতার নাম কি?
উত্তর : শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

৭। শেখ রাসেলের ভাই-বােন কত জন?
উত্তর : পাঁচ ভাই-বােন।

৮। পাঁচ ভাই-বােনের মধ্যে রাসেলের অবস্থান কততম?
উত্তরঃ পাঁচ ভাই-বােনের মধ্যে রাসেল সর্বকনিষ্ঠ।

৯। শেখ রাসেলের ভাইদের নাম কি?
উত্তর : শেখ কামাল, শেখ জামাল

১০। শেখ রাসেলের বােনদের নাম কি?
উত্তর : শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা।

১১। শেখ রাসেল কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তেন?
উত্তরঃ শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তেন।

১৩। শেখ রাসেলকে কত সালে হত্যা করা হয়?

উত্তরঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রত্যুষে ।

১৪। শেখ রাসেলকে কত তারিখে হত্যা করা হয়?

উত্তরঃ ১৫ আগস্ট।

১৩। শেখ রাসেলকে কত সালে হত্যা করা হয়?

উত্তরঃ ১৯৭৫ সালে।

১৫। শেখ রাসেলের মাতৃশিক্ষায়তনের নাম কি?

উত্তরঃ ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজ।

১৬। শেখ রাসেলকে যখন হত্যা করা হয়, তখন তার বয়স কত ছিল?

উত্তরঃ ১০ বছর।

১৭। শেখ রাসেলের পরিচিতির কারণ কি?

উত্তরঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র।

১৮। শেখ রাসেল তার বােন শেখ হাসিনাকে কি নামে ডাকতাে?

উত্তরঃ হাসু আপা।

১৯। ভাইয়া আমাকে মারবে না তাে? এ কথাটি শেখ রাসেল কাকে উদ্দেশ্য করে বলে?

উত্তরঃ ব্যক্তিগত কর্মচারী এ এফ এম মহিতুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে বলে।

২০। শেখ রাসেলের আদি নিবাস কোথায়?

উত্তরঃ গােপালগঞ্জ।

২১। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশাের পরিষদ কেন প্রতিষ্ঠা করা হয়?

উত্তরঃ এই সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের মাধ্যমে শিশু শেখ রাসেলের স্মৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

২২। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশাের পরিষদ কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তরঃ শেখ হাসিনা।

২৩। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশাের পরিষদ কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তরঃ ১৯৮৯ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি।

২৪। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশাের পরিষদের লক্ষ্য কি?

উত্তরঃ শেখ হাসিনা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশাের পরিষদ এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন যাতে করে এই সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের মাধ্যমে শিশু শেখ রাসেলের স্মৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সেই লক্ষ্যে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত।

২৫। শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র কেন প্রতিষ্ঠা করা হয়?

উত্তরঃ শেখ রাসেলের স্মৃতিকে জাগরূক রাখার জন্য শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র প্রতিষ্ঠা করা হয়।

২৬। “আমি মায়ের কাছে যাব” কে,কখন এ উক্তিটি করেছিল?

উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশে রাসেলকে নিয়ে পালানাের সময় ব্যক্তিগত কর্মচারীসহ রাসেলকে অভ্যুত্থানকারীরা আটক করে। আতঙ্কিত হয়ে শিশু রাসেল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, “আমি মায়ের কাছে যাব”।

২৭। শেখ রাসেল নামটি কে রেখেছিলেন?

উত্তরঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

২৯। শেখ রাসেল নামকরণে কার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল?

উত্তর : মা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

৩০। শেখ রাসেলের ভুবন ছিল কারা?

উত্তর : শেখ রাসেলের ভুবন ছিল তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাতা শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব, বােন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামালকে ঘিরে।

৩১। শৈশব থেকে শেখ রাসেল কেমন ছিলেন?

উত্তর : শৈশব থেকেই দুরন্ত প্রাণবন্ত রাসেল ছিলেন পরিবারের সবার অতি আদরের।

৩২। কত বছর বয়স থেকে প্রিয় পিতার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের একমাত্র স্থান হয়ে ওঠে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট?
উত্তর : মাত্র দেড় বছর বয়স থেকে প্রিয় পিতার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের একমাত্র স্থান হয়ে ওঠে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট।

৩৪। রাসেলের জন্মের আগের মুহূর্তগুলাে কেমন ছিল?

উত্তর : ভীষণ উৎকণ্ঠার।

৩৫। শেখ রাসেল জন্মের সময় কেমন ছিলেন?
উত্তরঃ মাথাভরা ঘন কালাে চুল, তুলতুলে নরম গাল, বেশ বড়সড় হয়েছিল শেখ রাসেল।

৩৬। ১৯৭১ সালে শেখ রাসেলের পরিবারের সদস্যরা কিভাবে কাটিয়েছেন?

উত্তরঃ ১৯৭১ সালে রাসেল তাঁর মা ও দুই আপাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ধানমণ্ডি ১৮ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে বন্দি জীবন কাটিয়েছেন। পিতা বঙ্গবন্ধু | তখন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি এবং বড় দুই ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামাল চলে গেছেন মুক্তিযুদ্ধে। মা ও আপাসহ পরিবারের সদস্যরা ১৯৭১ সালের ১৭ই ডিসেম্বর মুক্ত হন। রাসেল ‘জয় বাংলা’ বলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। বাইরে তখন চলছে বিজয়-উৎসব।

৩৭। কত বছর বয়সে ১৯৭১ সালে শেখ রাসেল নিজেই বন্দি হয়ে যান?
উত্তরঃ .৭ বছর বয়সে।

৩৮। শেখ রাসেল অভিমান করে কাকে ‘আব্বা ‘আব্বা বলে ডাকে?
উত্তরঃ রাসেল তার মাকে ‘আব্বা আব্বা’ বলে ডাকতো।

৩৯। শেখ রাসেল করে মাকে কেন ‘আব্বা’ ‘আব্বা বলে ডাকে?
উত্তর : কারগারের রােজনামচায় ১৯৬৭ সালের ১৪-১৫ এপ্রিলের অন্যান্য প্রসঙ্গ ছাড়াও রাসেলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, “জেল গেটে যখন উপস্থিত হলাম, ছােট ছেলেটা আজ আর বাইরে এসে দাঁড়াইয়া নাই দেখে আশ্চর্যই হলাম। আমি যখন রুমের ভিতর যেয়ে ওকে কোলে করলাম আমার গলা ধরে ‘আব্বা’ ‘আব্বা করে কয়েকবার ডাক দিয়ে ওর মার কোলে যেয়ে ‘আব্বা’ ‘আব্বা করে ডাকতে শুরু করল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ব্যাপার কি? ওর মা বলল,“বাড়িতে ‘আব্বা’ ‘আব্বা করে কাঁদে তাই ওকে বলেছি আমাকে ‘আব্বা বলে ডাকতে।”

৪০। রাসেলকে নিয়ে কারাগারের রােজনামচা’র ২৭ শে মে এবং ২৮ শে মে ১৯৬৭ সালের স্মৃতিচারণায় বঙ্গবন্ধু কি লিখেছেন?
উত্তর : রাসেলকে নিয়ে কারাগারের রােজনামচা’র ২৭ শে মে এবং ২৮ শে মে ১৯৬৭ সালের স্মৃতিচারণায় বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, রাসেল আমাকে পড়ে শােনাল, আড়াই বৎসরের ছেলে আমাকে বলছে ৬ দফা মানতে হবে- সংগ্রাম, সংগ্রাম চলবে চলবেপাকিস্তান জিন্দাবাদ’ ভাঙা ভাঙা করে বলে কি মিষ্টি শােনায়!


জিজ্ঞাসা করলাম, ও শিখল কোথা থেকে? রেণু বলল, বাসায় সভা হয়েছে তখন কর্মীরা বলেছিল, তাই শিখেছে।

৪২। ঢাকা ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে শেখ রাসেলের শিক্ষাজীবন শুরু হয় কত বছর বয়সে?
উত্তরঃ ৪ বছর বয়সে।

৪৩। ৪ বছর বয়সে শেখ রাসেলের শিক্ষাজীবন শুরু হয় কোথায়?
উত্তরঃ ঢাকা ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে।

৪৪। মৃত্যুকালে শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের কোন শ্রেণীর ছাত্র ছিল?
উত্তরঃ মৃত্যুকালে শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিল।

৪৫। মৃত্যুকালে শেখ রাসেল কোন স্কুলের ছাত্র ছিল?
উত্তরঃ মৃত্যুকালে শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র ছিল।

৪৬। শেখ রাসেলের যেদিন জন্ম হয় বঙ্গবন্ধু সেদিন কোথায় অবস্থান করছিলেন?
উত্তরঃ রাসেলের যেদিন জন্ম হয় বঙ্গবন্ধু সেদিন ফাতেমা জিন্নাহর পক্ষে প্রচারণায় অংশগ্রহণের জন্য চট্টগ্রামে অবস্থান করছিলেন।

৪৭। আমাদের ছােট রাসেল সােনা’ বইটি কে লিখেছে?
উত্তরঃ শেখ হাসিনা।

৪৮। শেখ রাসেলের দুরন্তপনার সঙ্গী কি ছিল?
উত্তরঃ শেখ রাসেলের দুরন্তপনার সঙ্গী ছিল বাই-সাইকেল।

৫০। সরকারি উদ্যেগে প্রথমবারের মতো “শেখ রাসেল দিবস” কবে উদযাপন করা হয়?
উত্তরঃ সরকারি উদ্যেগে ১৮ অক্টোবর ২০২১ তারিখে প্রথমবারের মতো শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করা হয়।

শেখ রাসেল কু্ইজ নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসা

প্রশ্ন-১। শেখ রাসেল অনলাইন কুইজ ২০২২ এ অংশগ্রহণের জন্য লগইন করতে হবে কি?

উত্তরঃ হ্যাঁ। আপনি যে গ্রুপে নিবন্ধন করেছেন, যেমন: গ্রুপ ক: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে যে কোনো ১০ মিনিট এবং গ্রুপ খ: ০১ অক্টোবর ২০২২, সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে যে কোনো ১০ মিনিট সময়ের জন্য লগইন করে কুইজে অংশগ্রহণ করতে হবে।

প্রশ্ন-২। শেখ রাসেল অনলাইন কুইজ ২০২২ এ অংশগ্রহণ করতে হলে প্রোফাইল সম্পাদন (আপডেট) করতে হবে?

উত্তরঃ হ্যাঁ। কুইজে অংশগ্রহণ করতে হলে আবশ্যিকভাবে কুইজ শুরু হওয়ার পূর্বে আপনাকে প্রোফাইল সম্পাদন করতে হবে। অন্যথায় কুইজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

প্রশ্ন-৩। শেখ রাসেল অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা ২০২২ কিভাবে শুরু করতে হবে? উত্তরঃ লগইন করার পর ‘কুইজ শুরু করুন’ বাটনে ক্লিক করে কুইজ শুরু করতে পারবেন।

প্রশ্ন-৪। শেখ রাসেল অনলাইন কুইজ কিভাবে শেষ করবো?

উত্তরঃ কুইজ-এর জন্য নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কুইজ শেষ হবে অথবা আপনি চাইলে ‘সাবমিট করুন’ বাটনে ক্লিক করে শেষ করতে পারবেন।

প্রশ্ন-৫। শেখ রাসেল অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা ২০২২ এ পুনরায় অংশগ্রহণ করতে পারবো কিনা?

উত্তরঃ না। আপনি একবার কুইজে অংশগ্রহণ করার পর পুনরায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

প্রশ্ন-৬। কুইজে অংশগ্রহণের পূর্বে করণীয় বিষয় কী?

উত্তরঃ ক। ইন্টারনেট সংযোগ এবং ডিভাইস (মোবাইল/ল্যাপটপ/কম্পিউটার/ট্যাব) সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা চেক করে নিন। প্রয়োজনে বিকল্প ডিভাইস ও ইন্টারনেট সংযোগ এর ব্যবস্থা রাখুন।

খ। কুইজ প্ল্যাটফর্মে (https://quiz.sheikhrussel.gov.bd) সঠিকভাবে লগইন করতে পারছেন কিনা যাচাই করে নিন। গ। প্রোফাইল আপডেট সম্পন্ন করেছেন কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন।

প্রশ্ন-৭। কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নিমিত্ত ‘কুইজ শুরু করুন’ কখন দেখা যাবে?

উত্তরঃ কুইজ প্রতিযোগিতা যখন শুরু হবে অর্থাৎ ‘ক’ গ্রুপের ক্ষেত্রে-৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সন্ধ্যা ০৭:০০টায় লগইন করার পর দেখা যাবে। একইভাবে ‘খ’ গ্রুপের ক্ষেত্রে ০১ অক্টোবর ২০২২ সন্ধ্যা ০৭:০০টায় লগইন করার পর দেখা যাবে।

প্রশ্ন-৮। সার্টিফিকেট কিভাবে পাওয়া যাবে?

উত্তরঃ ৫ অক্টোবর ২০২২ থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২২ এর যে কোন সময় প্রোফাইল থেকে সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। শুধুমাত্র যারা কুইজে অংশগ্রহণ করেছেন তারাই সার্টিফিকেট পাবেন।

প্রশ্ন-৯। শেখ রাসেল কুইজ প্রতিযোগিতায় কয়টি প্রশ্ন থাকবে?

উত্তরঃ উভয় গ্রুপে ১০০টি করে প্রশ্ন থাকবে।

প্রশ্ন-১০। কুইজ শুরু করার পর সময় গণনা কিভাবে শুরু হবে?

উত্তরঃ ‘কুইজ শুরু করুন’ বাটনে ক্লিক করা মাত্রই সময় গণনা শুরু হয়ে যাবে।

প্রশ্ন-১১। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে যেকোনো সময় কি কুইজে প্রবেশ করা যাবে?

উত্তরঃ হ্যাঁ। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে যেকোন সময় কুইজে অংশ নেওয়া যাবে।

প্রশ্ন-১২। কুইজের রেজাল্ট কোথায় পাওয়া যাবে?

উত্তরঃ ১৮ অক্টোবর ২০২২, শেখ রাসেল দিবস-এ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে এবং পরবর্তীতে sheikhrussel.gov.bd ওয়েবসাইট ও ICT Division, DoICT এবং Human Development Media এর ফেসবুক পেইজে শেয়ার করা হবে।

প্রশ্ন-১৩। কুইজে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি অংশ নিতে পারবে?

উত্তরঃ নিবন্ধনের প্রেক্ষিতে সকলেই কুইজে অংশ নিতে পারবে।

প্রশ্ন-১৪। কুইজে কোন নেগেটিভ মার্ক রয়েছে কিনা?

উত্তরঃ না।

প্রশ্ন-১৫। পরীক্ষার লিংক কি দুই গ্রুপের জন্য একই নাকি ভিন্ন ভিন্ন?

উত্তরঃ একই।

প্রশ্ন-১৬। নিবন্ধনের সময় তথ্য ভুল থাকলে সংশোধনের প্রক্রিয়া কী? উত্তরঃ গ্রুপ, নিবন্ধনে ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার/ইমেইল ও জন্ম তারিখ সংশোধন করা যাবে না। বাকি সকল তথ্য প্রোফাইলে লগ ইন করে পরিবর্তন করা যাবে।

প্রশ্ন-১৭। লগইন পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে করণীয় কী?

উত্তরঃ নিবন্ধনকারীরা তাদের সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলায় নিযুক্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রোগ্রামার ও সহকারী প্রোগ্রামারদের সাথে যোগাযোগ করে পাসওয়ার্ড রিসেট করে নিতে পারবেন।

শেখ রাসেল এর জীবন বৃত্তান্ত

শেখ রাসেল

শেখ রাসেল (অক্টোবর ১৮, ১৯৬৪ – আগস্ট ১৫, ১৯৭৫) বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র। ১৯৭৫ সালের সেনা অভ্যুত্থানে শেখ মুজিব হত্যার সময় সপরিবারে তাকেও হত্যা করা হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রত্যূষে একদল তরুণ সেনা কর্মকর্তা ট্যাঙ্ক দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমণ্ডিস্থ ৩২ নম্বর বাসভবন ঘিরে ফেলে শেখ মুজিব, তার পরিবার এবং তার ব্যক্তিগত কর্মচারীদের সাথে শেখ রাসেলকেও হত্যা করা হয়। শেখ মুজিবের নির্দেশে রাসেলকে নিয়ে পালানোর সময় ব্যক্তিগত কর্মচারীসহ রাসেলকে অভ্যুত্থানকারীরা আটক করে। আতঙ্কিত হয়ে শিশু রাসেল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, “আমি মায়ের কাছে যাব”। পরবর্তীতে মায়ের লাশ দেখার পর অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিনতি করেছিলেন “আমাকে হাসু আপার (শেখ হাসিনা) কাছে পাঠিয়ে দাও”।

ব্যক্তিগত কর্মচারী এএফএম মহিতুল ইসলামের ভাষ্যমতে, “রাসেল দৌড়ে এসে আমাকে জাপটে ধরে। আমাকে বললো, ভাইয়া আমাকে মারবে না তো? ওর সে কণ্ঠ শুনে আমার চোখ ফেটে পানি এসেছিল। এক ঘাতক এসে আমাকে রাইফেলের বাট দিয়ে ভীষণ মারলো। আমাকে মারতে দেখে রাসেল আমাকে ছেড়ে দিল। ও (শেখ রাসেল) কান্নাকাটি করছিল যে ‘আমি মায়ের কাছে যাব, আমি মায়ের কাছে যাব’। এক ঘাতক এসে ওকে বললো, ‘চল তোর মায়ের কাছে দিয়ে আসি’। বিশ্বাস করতে পারিনি যে ঘাতকরা এতো নির্মমভাবে ছোট্ট সে শিশুটাকেও হত্যা করবে। রাসেলকে ভিতরে নিয়ে গেল এবং তারপর ব্রাশ ফায়ার।”

প্রাথমিক জীবন

শেখ রাসেল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা অঞ্চলের ধানমন্ডিতে ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে ১৮ অক্টোবর, ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে রাসেল সর্বকনিষ্ঠ। ভাই-বোনের মধ্যে অন্যরা হলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক শেখ কামাল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা শেখ জামাল এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ শেখ রেহানা। শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

শেখ রাসেলের নামে স্কেটিং স্টেডিয়াম

শেখ রাসেলের স্মৃতিকে জাগরূক রাখার জন্য শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি বাংলাদেশের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল ক্লাব। ১৯৯৫ সালে পাইওনিয়ার ফুটবল লীগে খেলার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ক্লাবটি।

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ

১৯৮৯ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন যাতে করে এই সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের মাধ্যমে শিশু শেখ রাসেলের স্মৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে এই দেশ কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেই লক্ষ্যে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত।

আরো দেখুন : শেখ রাসেল কুইজ প্রতিযোগিতা ২০২২ (নিবন্ধনের তথ্য ও বিস্তারিত)