বর্তমান যুবসমাজ দ্বারা সৃষ্ট ব্যবসায় কেন্দ্রিক সমাজে ফলপ্রসূ যে কোন ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাই হতে পারে বৃহৎ আকারে বৈশ্বিক উন্নয়ন সাধনের মূলমন্ত্র। হাল্ট প্রাইজ সেই পথচলায় কান্ডারীর ভূমিকা পালন করতে চলেছে। এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ব্যবসায় উদ্যোগ প্রতিযোগিতা যার আয়োজক যৌথভাবে জাতিসংঘ ও বিল ক্লিন্টন ফাউন্ডেশন। “শিক্ষার্থীদের নোবেল পুরস্কার ” নামে পরিচিত এই প্রতিযোগিতায় বিল ক্লিন্টনের আহবানে বহু শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে আজকের ধরিত্রী সুনির্দিষ্ট কিছু সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে। সমাধানকৃত বিষয়টিকে ব্যবসায়ে প্রায়োগিক রূপ দেয়ার জন্য বিজয়ী দলকে দেওয়া হয় ১ মিলিয়ন ইউএস ডলার। আর এমন অব্যাহত নিত্যনতুন সমাধানের মাধ্যমেই তৈরি করা হচ্ছে কর্মক্ষম যুবসমাজ।
এমন মহতী পদক্ষেপের সাথী হয়ে গত ১৬ জুলাই ২০২০-২০২১ কার্যবিধির জন্য ও তা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশনের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, জোরারগঞ্জ, চট্টগ্রাম নির্ধারিত টার্গেটকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিভাগ থেকে ৫৪ জন সদস্য নিয়ে পরিচালনা পরিষদের কমিটি ঘোষণা করে।
উক্ত কমিটিতে ক্যাম্পাস ডিরেক্টর হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ১২ তম ব্যাচের মোঃ আবদুল্লাহ আল জামান (শান্ত), ডেপুটি ক্যাম্পাস ডিরেক্টর হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ১১ তম ব্যাচের শাহজাহান সিরাজ। হেড অফ অপারেশনস্ এ নির্বাচিত হয়েছেন ১১তম ব্যাচের নাজিম উদ্দিন।
৭ টি বিভাগে বিন্যস্ত করা কমিটিতে রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগে ডিরেক্টর হিসেবে আছেন ১১ ব্যাচের আকিল ইবনে আমিন, ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে আছেন ১১ ব্যাচের সঞ্জয় চৌধুরী ( এক্সটার্নাল) আর ১২ তম ব্যাচের ইয়াছির আরাফাত (ইন্টার্নাল), সিনিয়র এক্সিকিউটিভ পদে নিয়োজিত আছেন ১১ তম ব্যাচের সুলেখা ঘোষ ও অনামিকা দাশ এবং ১২ তম ব্যাচের তৌসিফ হাবিব ও চন্দ্রিমা বনিক, এক্সিকিউটিভ পদে মনোনীত রয়েছেন ১৩ তম ব্যাচের মোঃ ফয়সাল, মোঃ ইব্রাহীম হাসান, এস এম সাদরুল আলম।
কন্টেন্ট রাইটিং বিভাগে ডিরেক্টর পদে রয়েছেন ১২ তম ব্যাচের অপি চৌধুরি, ডেপুটি ডিরেক্টর পদে আছেন ১২ তম ব্যাচের সৌম্য চৌধুরী, এক্সিকিউটিভ পদে আছেন ১৩ তম ব্যাচের সাজিদুর রহমান ও ইমতিয়াজ আলম জিদান, জুনিয়র এক্সিকিউটিভ পদে আছেন ১৪ তম ব্যাচের মোঃ মামুন হক, হোসাইন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, মোঃ আব্দুল্লাহ হোসেন।
প্রোমোশন এন্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগে ডিরেক্টর পদে নির্বাচিত হয়েছেন ১২ ব্যাচের
তাসফিকুর আলম মাজ্জাত, ডেপুটি ডিরেক্টর পদে আছেন ১৩ তম ব্যাচের দিব্য দাশ অভি, এক্সিকিউটিভ ইন চার্জে আছেন ১৩ তম ব্যাচের মোঃ ইরফান উদ্দীন।
ইনফো সেশন এন্ড ওয়ার্কশপ বিভাগে ডিরেক্টর হিসেবে রয়েছেন ১১ তম ব্যাচের অনিক বড়ুয়া, ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে রয়েছেন ১২ তম ব্যাচের সাহাল সিদ্দিকী, জুনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে আছেন ১৪ তম ব্যাচের মোঃ জহিরুল আলম।
ডিজাইন এন্ড গ্রাফিক্স বিভাগে ডিরেক্টর হিসেবে রয়েছেন ১২ তম ব্যাচের দীপান্বিতা দেবনাথ, ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে আছেন ১৩ তম ব্যাচের মোঃ রাশেদুল ইসলাম শিহাব,জুনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে আছেন ১৪তম ব্যাচের ফারজানা কুনছু এপি।
স্পন্সর এন্ড মিডিয়া পার্টনার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ডিরেক্টর পদে রয়েছেন ১১ তম ব্যাচের অনিন্দ্য চৌধুরী, ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে আছেন ১১ তম ব্যাচের সালমান চৌধুরী (ইন্টার্নাল) ও ১২ তম ব্যাচের আহমেদ রেজা খান ( এক্সটার্নাল), সিনিয়র এক্সিকিউটিভ পদে নিয়োজিত আছেন ১১ তম ব্যাচের ফারজানা আক্তার মুক্তা ও শাহানা তুজ জোহরা এবং ১২ তম ব্যাচের শান্তা শীল ও মনিরুল হক তানভীর, এক্সিকিউটিভ পদে আছেন ১৩ তম ব্যাচের রিয়াজ হোসেন, সুজয় পাল ও তাসফিয়া তানজিম, জুনিয়র এক্সিকিউটিভ পদে রয়েছেন ১৪ তম ব্যাচের লিংকন দে,জিয়াউদ্দিন শিহাব, ফারহানুল কাদের চৌধুরী।
জাজ এন্ড পার্টিসিপ্যান্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ডিরেক্টর পদে আছেন ১১তম ব্যাচের এস এম তৌসিফ, ডেপুটি ডিরেক্টর পদে আছেন ১১ তম ব্যাচের এস এম মঈনুল কাদের, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে আছেন ১১ তম ব্যাচের সৃষ্টি মজুমদার ও ১২ তম ব্যাচের আব্দুল কাদের জিলানী, মুরাদ হোসেইন ও তানবিরুল ইসলাম তুষার, এক্সিকিউটিভ পদে আছেন ১৩ তম ব্যাচের অনিক দাশ ও শারমিন আক্তার মিমি, জুনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে আছেন ১৪ তম ব্যাচের ফজিলাতুন্নেসা, মোঃ ইরফান উদ্দীন খান আতিক,সুলতানুল আরেফিন চিশতী,মাহমুদ হাসান মারুফ।
এমন বৃহৎ প্রতিযোগিতাপূর্ণ প্লাটফর্মে শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক পরিবর্তনে অংশগ্রহণের গতি ক্রমশ ত্বরান্বিত হচ্ছে। উক্ত বিষয়ে নবলব্ধ ক্যাম্পাস ডিরেক্টর মোঃ আবদুল্লাহ আল জামান (শান্ত) ব্যক্ত করেন- “আলহামদুলিল্লাহ ‘শিক্ষার্থীদের নোবেল পুরস্কার’ খ্যাত এত বড় প্রতিযোগিতায় নিজের বিদ্যাপীঠের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাওয়ায় আমি খুবই গর্বিত এবং এমন নিবেদিত ও দক্ষ কমিটি বাছাই করতে পেরে সত্যিই আনন্দিত। বিশ্বকে পরিবর্তন করার সুযোগ আমরা প্রতিদিন পাই না। আমাদের শিক্ষানীড়ের শিক্ষার্থীরা কতটা নিবেদিত এই বসুধাকে পরিবর্তনের জন্য তা বিশ্বকে দেখানোর এটাই সুবর্ণ সুযোগ।”