২৫০০ নার্স নিয়োগের উদ্যোগ শিগগিরই

Rate this post

দেশে বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে শিগগিরই ২৫০০ নার্স নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানা গেছে। এসব নার্স সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে সরকারিভাবে নিয়োগ দেয়া হবে।

পিএসসিকে ইতোমধ্যে এই নিয়োগের ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। করোনার কারণে গত ৩১ মার্চ পিএসসি এই নিয়োগ স্থগিত করে। এখন এটি জরুরি শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, যেহেতু পরীক্ষার তারিখ আগে একবার দেওয়া হয়েছে সেহেতু পরীক্ষার জন্য কম সময় দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পিএসসিকে চিঠি দিয়েছে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে। পিএসসি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে বলে, তারা এই পরীক্ষা কম সময়ে নিতে প্রস্তুতি শুরু করেছে। শিগগিরই কমিশন সভা করে এটি জানিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষার তারিখও দেওয়া হবে।

৩১ মার্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সিনিয়র স্টাফ নার্স পদের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। দশম গ্রেডের এ পদের লিখিত পরীক্ষা আগামী ১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। রাজধানীর ১৫টি কেন্দ্রে সিনিয়র স্টাফ নার্সের লিখিত পরীক্ষা ওই দিন বেলা ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল।

পিএসসি জানায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাড়ার পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লিখিত এ পরীক্ষার পরিবর্তিত তারিখ ও সময় যথাসময়ে অবহিত করা হবে।

গত বছরের ১ মার্চে (২০২০) প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে সিনিয়র স্টাফ নার্সে পদের সংখ্যা ২,৫০০টি বলা হয়েছিল। গত ২৮ জানুয়ারি সিনিয়র স্টাফ নার্স পদের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর ২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি এমসিকিউয়ের ফল প্রকাশ করে পিএসসি। ১১ মার্চ দশম গ্রেডের পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশ করেছিল পিএসসি। এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৫ হাজার ২২৮ জন প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষা আগামী ১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

বাছাই পরীক্ষা ও প্রক্রিয়া :
প্রার্থীদের ১০০ নম্বরের এমসিকিউ (লিখিত) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়েছে। এই পরীক্ষায় মোট ১০০টি প্রশ্ন ছিল। এক ঘণ্টার এই পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান, গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন ছিল। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর পান প্রার্থীরা। ভুল উত্তরের জন্য ০.৫ নম্বর কাটা গেছে। এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা হবে ৪ ঘণ্টার। এরপরই মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের।

বেতন-ভাতা ও সুবিধাদিলিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হলে একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স ও মিডওয়াইফ জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী দশম গ্রেডের ১৬ হাজার টাকা স্কেলে বেতন ও বিধি অনুযায়ী অন্য সুবিধা পাবেন।

এডু ডেইলি ২৪

Education, News and Information-based portal

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *