ফিচার

নোবেল লরিয়েটদের পাঠশালা!

এটি এমন একটি বিদ্যাপীঠ, যেখানে পড়াশোনা করেছেন ৭৮ জন নোবেল বিজয়ী! বাংলাদেশের অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীও পড়ছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা এমআইটিতে। চেষ্টা করলে হয়তো আপনিও পারবেন। এমআইটিতে ভর্তির খোঁজখবর জানাচ্ছেন হাবিবুর রহমান তারেক
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ১৫০ বছরের ইতিহাস। একটু খোঁজ নিলেই বেরোবে বিশ্বখ্যাতদের নাম, যাঁরা উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন এখান থেকে। প্রতিষ্ঠানটির নাম ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। যুক্তরাজ্যের এ প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছেন ১০০টির বেশি দেশের ছাত্রছাত্রী। বাংলাদেশের অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীও জায়গা করে নিচ্ছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই বিদ্যাপীঠে। এমআইটির কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ল্যাবরেটরির পরিচালক অনন্ত আগারওয়াল অনলাইনে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বিরক্তির কারণ হতে পারে এমন বিষয় এড়িয়ে সহজ ও আনন্দদায়ক পাঠদানকে আমরা গুরুত্ব দিই। আমাদের পাঠ্যক্রমও সেভাবেই তৈরি।’ তিনি জানান, এমআইটিতে পড়াশোনা করতে হলে গণিত ও বিজ্ঞান_এ দুটি বিষয়ে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট ৩২টি বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ আছে এখানে। এমআইটিতে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একজন নাজিয়া চৌধুরী। অনলাইনে তিনি বলেন, ‘এমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পাব, কখনো ভাবিনি। ২০০৯ সালে গণিতবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরস্কার পাই। এরপর আবেদনের সুযোগ আসে এমআইটিতে। এখন জীববিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক পড়ছি প্রতিষ্ঠানটিতে। স্নাতকে আমার মতো আরো কয়েকজন বাংলাদেশিও পড়াশোনা করছেন।’
প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা তাঁদের চমকপ্রদ সব উদ্ভাবন দেখিয়ে তাক লাগিয়েছেন। নাজিয়া বলেন, “এমআইটিকে একটা ‘গবেষণার কারখানা’ বলা যায়। বিভিন্ন বিষয়ের ২০০টির মতো ল্যাবে প্রতিদিন গবেষণা চলছে।”
এখানে ভর্তি হওয়া সহজ নয়। প্রতিবছর আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে কেবল ১০ হাজারের মতো শিক্ষার্থী পড়াশোনার সুযোগ পান। পড়াশোনার বিষয়ে বিস্তারিত পাবেন লিংকটিতে- http://web.mit.edu/firstyear/prospective/degrees/
এমআইটিতে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে টিউশন ফিসহ মোট খরচ ৫৫ হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার। মোট খরচের অর্ধেকের বেশি আর্থিক সহায়তা, বৃত্তি ও অন্যান্য সুবিধা পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। কোন প্রোগ্রামে কেমন খরচ সে বিষয়ে বিস্তারিত পাবেন এখানে-  http://mitadmissions.org/afford/basics
ভর্তিপ্রক্রিয়া, পড়াশোনা, আর্থিক সহযোগিতাসহ এমআইটির দরকারি সব তথ্যই পাওয়া যাবে এ লিংকে_ http://mitadmissions.org/index.php। কিভাবে আবেদন করবেন তা জানতে ওয়েবপেজের ‘অ্যাপ্লাই’ অপশন থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপলিক্যান্ট’ অংশে ক্লিক দিন। ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় কয়েকটি ধাপে। আবেদন করতে হলে টোফেল এবং স্যাট (১ ও ২) থাকতে হবে। এরপর কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে ভর্তির আগ্রহের কথা জানিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে দরকার হবে সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেওয়া সুপারিশপত্র। আবেদন গ্রহণের পর এমআইটি কর্তৃপক্ষ পরবর্তী করণীয়সহ নির্দেশনা জানিয়ে দেবে। আর্থিক সচ্ছলতার কাগজপত্র দেখানোর ঝামেলা নেই।
খণ্ডকালীন চাকরি, গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করেও পড়াশোনা ও আয়_দুটিই চালানো যাবে একসঙ্গে। আর্থিক সহায়তা, বৃত্তি ও খণ্ডকালীন কাজের তথ্য পাওয়া যাবে এ ওয়েবে- http://web.mit.edu/sfs/
আবেদনসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া সাধারণত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চলে। এ সময়ের মধ্যে ভর্তি ও বৃত্তির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। আবেদনের দিনক্ষণ জানা যাবে এ লিংকে-
http://web.mit.edu/registrar/calendar/
আরো জানতে চোখ রাখুন-  http://web.mit.edu
সূত্র : দৈনিক কালের কণ্ঠ । সিলেবাসে নেই । ৪ এপ্রিল ২০১২

Rate this post

প্রাসঙ্গিক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page