বিভিন্ন স্থানে ব্ল্যাক আউট, পল্লী বিদ্যুৎ চেয়ারম্যানকে অপসারণের আলটিমেটাম
বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ ব্ল্যাক আউট (black out) চলছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১০ কর্মকর্তার নামে মামলা এবং চাকরি থেকে স্থায়ী অপসারণের প্রতিবাদে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি জানিয়েছে ‘পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন’। এই দাবির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন স্থানে ব্ল্যাক আউট অর্থাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখেছে আন্দোলনরত পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীরা। এরফলে জনজীবনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের এক প্রেস রিলিজে জানা যায়, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একত্রীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন ও চুক্তিভিত্তিক /অনিয়মিত নিয়োগপ্রাপ্তদের স্থায়ীকরণের দাবিতে দীর্ঘদিন যাবত আন্দোলন চলমান । এরই প্রেক্ষিতে গত ১ আগস্ট ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হলেও আরইবির প্রত্যক্ষ অসহযোগিতার কারণে তারা কার্যকর সমাধানের পথ দেখাতে ব্যর্থ হয় । গণস্বাক্ষরসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জনদূর্ভোগের কথা বিবেচনায় বিভিন্ন কর্মসূচি স্থগিত করে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একাধিকবার স্মারকলিপি প্রদান করা হলেও চলমান প্রেক্ষাপটে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয় এবং বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) কয়েকজনকে গ্রেফতার, ২০জন কর্মকর্তাকে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত ও কিছু কর্মকর্তাকে বদলির আদেশ দেয়া হয় ।
এছাড়াও আন্দোলনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করে ভূল তথ্য উপস্থাপন ও সেনাবাহিনীকে অপব্যবহার করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অস্থিতিশীল করার মদতের কারণে আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের অপসারণসহ তাদের যৌক্তিক দাবি মানার আল্টিমেটাম দিয়ে কমপ্লিট শাটশাউন ও ঢাকামুখী লং মার্চের হুমকি প্রদান করা হয় উল্লেখিত প্রেস রিলিজে ।
ব্ল্যাক আউট কি
নির্দিষ্ট এলাকায় ব্ল্যাক আউট এবং ব্ল্যাক আউট বলতে পুরো গ্রিড ফেইল করাকে বোঝায়। দেশের ৮০-৯০% এলাকায় বিদ্যুত নেই। ঢাকা,সিলেট,চট্টগ্রাম, ময়মসিংহ এলাকায় ব্ল্যাক আউট হয়েছে। যার অর্থ বিদ্যুতের ফ্রিকোয়েন্সী মিনিমাম ৪৮ এর নিচে নেমে গিয়েছে, এখন কোন জোনে সমস্যা তা খুজে বের করতে হবে।