ওসি প্রদীপের ফাঁসি কার্যকর কবে, সর্বশেষ যা জানা গেলো

ওসি প্রদীপের ফাঁসি কার্যকর কবে, সর্বশেষ যা জানা গেলো

ওসি প্রদীপের ফাঁসি কার্যকর কবে : সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, মেজর সিনহা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর ফাঁসি সাত দিনের মধ্যে কার্যকর করা হবে—এমন একটি তথ্য। তবে এ তথ্য পুরোপুরি ভুল ও ভিত্তিহীন, কারণ মামলাটি এখনো উচ্চ আদালতে বিচারাধীন এবং চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হয়নি।

বিশ্বস্ত তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টওয়াচ এই দাবি যাচাই করে একে 'মিথ্যা' ও 'গুজব' হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

হাইকোর্টের অনুমোদন ছাড়া ফাঁসি কার্যকর নয়

বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হলে হাইকোর্টের অনুমোদন প্রয়োজন, যেটি ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। একইসঙ্গে আসামিদের জেল আপিল ও অন্যান্য আইনি আবেদন করার অধিকার রয়েছে। সিনহা হত্যা মামলার বিচারিক রায়ের পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মামলাটির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়

আসামিরা একই বছর পৃথকভাবে আপিল ও জেল আপিল করেন। এরপর পেপারবুক (মামলার নথিপত্র) প্রস্তুত করে শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির নির্দেশে বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি সগির হোসেন সমন্বয়ে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ গঠন করা হয়।

২০২৫ সালের ২৩ এপ্রিল শুরু হয় শুনানি

এই বেঞ্চে ২০২৫ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে ডেথ রেফারেন্স এবং আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার জানান, ২৩ মে পর্যন্ত মোট ১৪ দিন শুনানি হয়েছে এবং এটি এখনো চলমান।

তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ হয়তো ভুল বুঝে সাত দিনের মধ্যে ফাঁসি কার্যকরের কথা উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করেছেন। আদালত এখনো রায় দেয়নি, তাই ফাঁসি কার্যকরের প্রশ্নই ওঠে না

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নিয়ম

বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে অবশ্যই সব বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করতে হয় এবং আসামির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেষবারের মতো সাক্ষাৎ করার সুযোগ দেওয়া হয়। এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে ফাঁসি কার্যকর করা যায় না

সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো খবর গুজব

ফ্যাক্টওয়াচ জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজবমূলধারার কোনো সংবাদমাধ্যমেও এ ধরনের তথ্য প্রকাশ হয়নি

পটভূমি: মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ড

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফে শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় মেজরের বোন বাদী হয়ে ৫ আগস্ট ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও এসআই লিয়াকত আলীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন

২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত রায় দেন। এতে প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এবং সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়।

Rate This Article

How would you rate this article?

Edu Daily 24
Edu Daily 24 Senior Reporter

Experienced writer with deep knowledge in their field.

Our Editorial Standards

We are committed to providing accurate, well-researched, and trustworthy content.

Fact-Checked

This article has been thoroughly fact-checked by our editorial team.

Expert Review

Reviewed by subject matter experts for accuracy and completeness.

Regularly Updated

We regularly update our content to ensure it remains current.

Unbiased Coverage

We strive to present balanced information.