খবর

ধর্মীয় ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার অধিকার রাষ্ট্রের নেই : ঢাবি শিক্ষার্থীর্থের সেমিনারে মত

ধর্মীয় ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার অধিকার রাষ্ট্রের নেই বলে মন্তব্য করেছেন ‘হিজাবোফোবিয়া : নারীর উচ্চশিক্ষার পথে অন্তরায়’ শীর্ষক সেমিনারের বক্তারা। ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বিকালে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

হিজাবোফোবিয়া : নারীর উচ্চশিক্ষার পথে অন্তরায়’ শীর্ষক সেমিনারে

এই সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, রাষ্ট্র ধর্মীয় ইবাদতে হস্তক্ষেপ করছে না বটে, তবে ধর্মীয় বিধিবিধানের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করছে। হিজাবের ওপর হস্তক্ষেপ হচ্ছে। বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভূখণ্ডে ইসলামী সংস্কৃতি মেনে চলতে সংবিধান দেখতে হচ্ছে, আদালতে মামলা করতে হচ্ছে। ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার রাষ্ট্রের নেই। ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ঢাবির শাখার সাবেক সভাপতি জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

সেমিনারে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, আমাদের এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবীরা অধিকারের কথা বলে। তবে অধিকার তাদের বিপক্ষে গেলে তারা সেটির বিরোধিতা করে। হিজাবের কথা বললে গোঁড়া বলে। মূলত হিজাবের যারা বাধা দিচ্ছে, তারা সেকুলার নয় বরং ধর্ম ও ইসলামবিদ্বেষী।

তিনি আরো বলেন, ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার রাষ্ট্রের নেই। রাষ্ট্র ইবাদতে হস্তক্ষেপে করছে না বটে, তবে ধর্মীয় আইনের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করছে। আমরা সেকুলার শ্রেণির হাতে রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি। এটা আমাদের দোষ। আমাদের দেশ আমাদের মতে চলবে। কিন্তু যারা দেশ চালায় তারা আমাদের জনগণের মত নেওয়ার প্রয়োজনবোধ করছে না। তারা তাদের মতো করে চালাতে চায়। আমাদের উচিত, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে অনাচার, জুলুম, নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলা।

বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা হিজাব পরতে পারবেন কি পারবেন না সেজন্য সংবিধান দেখতে হচ্ছে। বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভূখণ্ডে ইসলামী সংস্কৃতি মেনে চলতে পারব কিনা, নারীরা বোরকা-হিজাব পরতে পারবে কিনা সেজন্য সংবিধান দেখতে হচ্ছে, আদালতে মামলা করতে হচ্ছে। কিছুদিন পর আমাদের দাড়ি-টুপি ও নামাজ পড়ার জন্য সংবিধান দেখতে হবে।

সভায় আরো বক্তব্য দেন ঢাবির ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম অপু, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক কামরুল হাসান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী মিশকাতুল জান্নাত ও ইসলামিক স্টাডিজের তাবাসসুম রূপা, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঢাকা মহানগরের সভাপতি মুফতি জাকির হোসাইন প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button