সিম কিনলে কিস্তিতে স্মার্টফোন দেবে মোবাইল অপারেটর
সিম কিনলে কিস্তিতে স্মার্টফোন দেবে মোবাইল অপারেটর। এতো দিন ধরে এই সুবিধা বিভিন্ন দেশে দিয়ে আসছিলো বিদেশি মোবাইল অপারেটরগুলো (গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক) । এবার বাংলাদেশেও এটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জনগণের হাতে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সেবা সহজলভ্য করতেই এই সিদ্ধান্ত। এমনটাই জানিয়েছে বিটিআরসি। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশের মাত্র ৮ শতাংশ মানুষ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
দেশের মোবাইল ফোন অপারেটর এবং বিটিআরসি বলছে, স্মার্ট বাংলাদেশের মূল ভিত্তি স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নেন্স বাস্তবায়নে হাতে-হাতে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিকল্প নেই। সেখানে স্মার্টফোন নাগরিকদের হাতের নাগালে আনতে এই পদ্ধতি দারুণ কার্যকর হতে পারে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার গণমাধ্যমকে জানান, এ বিষয়ে বিটিআরসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে। এর ফলে স্মার্টফোন সহজলভ্য হবে, আরও সুলভে ইন্টারনেটও দেবে অপারেটরগুলো। দেশের স্মার্টফোনের পেনিট্রেশন বাড়বে যা স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
কিস্তিতে স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে যেসব শর্ত থাকছে
- মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো দুই বা এর বেশি সিমের স্লটের স্মার্টফোন দেবে। সেখানে একটি স্লটে যে অপারেটর স্মার্টফোন সে অপারেটরের সিম লকিং থাকবে। অন্য স্লটগুলোতে গ্রাহক নিজেরে পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো অপারেটরের সিম ব্যবহার করতে পারবে এবং এখানে কোনো শর্ত থাকবে না।
- অপারেটরগুলো হ্যান্ডসেট আমদানি, উৎপাদন ও সংযোজন করতে পারবে না। স্থানীয়ভাবে মোবাইল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হতে তারা স্মার্টফোন কিনবে।
- ডাউন পেমেন্ট নেয়া যাবে সর্বনিম্ন ২০ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ । কিস্তি হবে সর্বনিম্ন ৩ মাস হতে সর্বোচ্চ ১২ মাস পর্যন্ত।
- কিস্তি শেষ হওয়ার পর বা স্মার্টফোনের দাম পরিশোধের পর লক করা সিমের স্লটটি খুলে দিতে হবে এবং গ্রাহকের স্বাধীনতা থাকবে যেকোনো সিম ব্যবহার করার।
- স্মার্টফোনের দাম পরিশোধ না করে অপারেটর বদল করা যাবে না, অর্থাৎ এমএনপি করা যাবে না।
- অপারেটরগুলো এখানে বিটিআরসির অনুমতি নিয়ে বিভিন্ন প্যাকেজ দিতে পারবে এবং কিস্তিতে দেয়া হ্যান্ডসেটের বিস্তারিত তথ্য বিটিআরসিকে জানাবে।