দুই কোচিং সেন্টারেরই দাবি, প্রথম স্থান অধিকারী তাদের ছাত্র

দুই কোচিং সেন্টারেরই দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ ইউনিটের প্রথম স্থান অধিকারী মো. জাকারিয়া তাদের ছাত্র ছিল। ২ নভেম্বর দুপুরে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা অনুষদভুক্ত খ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়। এরপর থেকেই কোচিং সেন্টারগুলো মেধাতালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের নিজেদের শিক্ষার্থী হিসেবে প্রচারণা চালানোর তোড়জোর শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোচিং সেন্টার ফোকাস ও আইকন প্লাস উভয় প্রতিষ্ঠানই জাকারিয়াকে নিজেদের ছাত্র বলে দাবি করে। লিমন নামে এক ব্যক্তি ফেসবুক পোস্টে জাকারিয়াকে আইকন প্লাস কোচিং সেন্টারের ছাত্র দাবি করে লিখেন, ‘আইকন প্লাস যাত্রাবাড়ী থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ ইউনিটে ১ম স্থান অধিকারী জাকারিয়াকে অভিনন্দন।’

এক পর্যায়ে ঢাবি খ ইউনিটে প্রথম হওয়া শিক্ষার্থী মো. জাকারিয়া ফার্মগেটের ফোকাস কোচিং সেন্টারে অবস্থানকালে অন্য আরেকটি কোচিং সেন্টারের লোকজন এসে তাকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মোহাম্মদ জাকারিয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‌‘আমি ফোকাস কোচিং সেন্টারের ফার্মগেট শাখায় আছি। লাইভের সময় হঠাৎ বাইরে হুড়োহুড়ি। কিছুক্ষণ পর কিছু লোকজন ঢুকল। ঢুকেই বলল, ‘এই তোরা কি মিটিং করিস নাকি?’ তারা ফোকাসের ভাইদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা করল। আমাকেও বাইরে নেওয়ার চেষ্টা করল। এক পর্যায়ে টানাটানি করল। তাতেও না নড়ায় একজন মাথায় থাপ্পড়ও দিল। এক পর্যায়ে দেখলাম একটা কোচিং-এর কিছু টিচার এলো, তারা জোর জবরদস্তি করে আমাকে দিয়ে বলাতে চাইল আমি তাদের কোচিং-এর শিক্ষার্থী। আমার যদি কিছু হয় তাহলে তারা দায়ী থাকবে। এখন ফার্মগেটেই আছি। টিচাররূপী কিছু কুলাঙ্গার চলে গেছে। কোচিং-এর নাম বললাম না। ক্ষমা করে দেবো বলেছি, তাই ক্ষমা করে দিলাম। আশা করি, আর জীবনেও এমন কাজ করবেন না। এবং টিচাররূপী কুলাঙ্গারগুলোও মানুষ হবেন। আমি ফোকাসেই কোচিং করেছি। অন্য কোথাও কোচিং করিনি।’

আইকন প্লাসের দাবির জবাবে জাকারিয়া বলেন, ‘আমি এখানে শুধুমাত্র একটি ফ্রি ক্লাস করেছিলাম। তখন ওরা পরীক্ষা নিয়েছিল, ওখানে ফার্স্ট হয়েছিলাম। ফ্রি ক্লাস করলেই কোচিংয়ের ছাত্র হয়, জানতাম না।’

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া মোহাম্মদ জাকারিয়া বরিশালের দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাশ করেন।