বাংলাদেশের পাতাল মেট্রোরেল প্রকল্প ম্যাপ, রুট, দৈর্ঘ্য ও স্টেশন
বাংলাদেশের পাতাল মেট্রোরেল প্রকল্প ম্যাপ, রুট, দৈর্ঘ্য ও স্টেশন নিয়ে এখানে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। দেশের প্রথম পাতাল রেল (আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেল) হবে ৩১.২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ। পূর্বাচলের ৪ নম্বর সেক্টরে ২ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১-এর নির্মাণকাজ শুরু করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল)।
২০৩০ সালে ঢাকায় ৬ পাতাল মেট্রোরেল রুট চালু হবে
ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনি জানান, সরকার ২০২৬ সালের মধ্যে আনুমানিক ৫২,৫৬১.৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর এবং পূর্বাচল থেকে নতুনবাজার পর্যন্ত মাটির নিচ দিয়ে এবং এলিভেটেড উভয় সুবিধাসংবলিত এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ করবে। ২০৩০ সাল নাগাদ রাজধানী ঢাকায় মোট ৬টি মেট্রোরেল রুট উদ্বোধন করা হবে।
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, এমআরটি লাইন-১-এর দুটি অংশ থাকবে— একটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত (বিমানবন্দর রুট) ১৯.৮৭২ কিলোমিটার অংশ। এটি হবে ভূগর্ভস্থ এবং এতে ১২টি স্টেশন থাকবে। অপর অংশটি নতুনবাজার থেকে প্রায় ১১.৩৭ কিলোমিটার এলিভেটেড লাইনসহ পূর্বাচল পর্যন্ত (পূর্বাচল রুট)। এতে সাতটি স্টেশন থাকবে।
অন্যদিকে বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে নতুনবাজার এবং নদ্দা স্টেশন হবে ভূগর্ভস্থ । বাংলাদেশ সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন (জাইকা) এমআরটি লাইন-১-এর নির্মাণকাজের জন্য ৫২,৫৬১.৪৩ কোটি টাকার ব্যয়ভার বহন করবে।
এর মধ্যে জাইকা প্রকল্প সহায়তা (পিএ) হিসাবে দেবে ৩৯,৪৫০.৩২ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার দেবে ১৩ হাজার ১১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। জাপানি ফার্মের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম বিমানবন্দর-কমলাপুর-পূর্বাচল মেট্রো লাইন নির্মাণকাজ তদারকি করবে।
এর আগে, ২০১৯ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৫২,৫৬১.৪৩ কোটি টাকায় এমআরটি লাইন-১ প্রকল্প অনুমোদন দেয়।