'কোনো ষড়যন্ত্রই অদম্য বাংলাদেশের গতি রোধ করতে পারবে না'

'মানবাধিকারের ধুয়া তুলে দেশে রাজনীতি করা হচ্ছে, ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কোনো ষড়যন্ত্রই অদম্য বাংলাদেশের গতি রোধ করতে পারবে না।' শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে 'মানবাধিকার : জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট' শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) এ সেমিনারের আয়োজন করে।

ইআরডিএফবির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মো. আবু তাহের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদা।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান এবং স্বাগত বক্তব্য দেন ইআরডিএফবির সিনিয়র সহসভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল জব্বার খাঁন। সেমিনার সঞ্চালনা করেন ইআরডিএফবির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।

অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, 'মানবাধিকার কোনো খণ্ডিত বিষয় নয়। এটি নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জন্যও নয়। শেখ রাসেলের কি বেঁচে থাকার অধিকার ছিল না? ২০০১ সালে দায়িত্ব নিয়েই বিচারপতি লতিফুর রহমান ১৬ জন সচিবকে চাকরি থেকে সরালেন। ওই সচিবদের কি চাকরি করার অধিকার ছিল না? সেই নির্বাচনের পর টানা ১৫ দিন সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডব চলল। সেদিন মানবাধিকার কোথায় ছিল? ৭৫-এর খুনিদের বিচারে নিষেধাজ্ঞা কোনো মানবাধিকার ও আইনের মধ্যে পড়ে না। আওয়ামী লীগ সবই শুদ্ধ কাজ করছে, তা বলব না। তবে আওয়ামী লীগ জাতিরাষ্ট্র উপহার দিয়েছে। এখন ভুলত্রুটি যদি কিছু থাকে, তা শুধরাবার দায়িত্ব আমাদের সবার।'

অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, 'বিএনপি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল। সামরিক বাহিনী যে গ্রেনেড ব্যবহার করে, তা কোথা থেকে এসেছিল? তিনি বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দেয়, মুক্তিযুদ্ধ ঠেকাতে সপ্তম নৌবহর পাঠায়, যে দেশের পুলিশ নিরীহ মানুষকে গলায় হাঁটু চেপে ধরে হত্যা করে, তাদের মুখে মানবাধিকারের কথা মানায় না।

অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, ইসরায়েল যখন ফিলিস্তিনে বোমা মারে, তখন কেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মুখ খোলে না? এ দেশে পান থেকে চুন খসলেই তারা ধরে বসে। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের গতি রোধ করতে পারবে না। অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার হচ্ছে। এখন মানবাধিকার নিয়েও রাজনীতি করা হচ্ছে।' 

Rate This Article

How would you rate this article?

Edu Daily 24
Edu Daily 24

Experienced writer with deep knowledge in their field.

Our Editorial Standards

We are committed to providing accurate, well-researched, and trustworthy content.

Fact-Checked

This article has been thoroughly fact-checked by our editorial team.

Expert Review

Reviewed by subject matter experts for accuracy and completeness.

Regularly Updated

We regularly update our content to ensure it remains current.

Unbiased Coverage

We strive to present balanced information.