৬ মাসের উপবৃত্তির টাকা একসঙ্গে পাবে শিক্ষার্থীরা
বিগত ৬ মাসের উপবৃত্তির টাকা একসঙ্গে পাবে শিক্ষার্থীরা। অর্থসংকট ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন হওয়ায় প্রায় এক বছর বন্ধ ছিল প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি (Stipend) বিতরণ। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসের উপবৃত্তির টাকা চলতি মার্চ মাসের ১৫ তারিখের মধ্যেই পরিশোধ করা হবে।
জানা গেছে, নানা জটিলতায় গত বছরের (২০২০) ৯ মাসের উপবৃত্তি বকেয়া হয়ে যায়। এর মধ্যে এপ্রিল, মে জুন মাসের দ্বিতীয় কিস্তির বকেয়া টাকা ছাড় হয়েছে। বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান নগদ দ্রুত সময়ের মধ্যে এ টাকা শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেবে। ২০২০ সালের বাকি ছয় মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর) টাকাও বিতরণের প্রস্তুতি শুরু করা হচ্ছে।
যাদের এখনো নগদের সার্ভারে (https://pesp.mynagad.com) তথ্য এন্ট্রি দেওয়া বাকি আছে তাদের সুযোগ দিতে ১৫ থেকে ২৫ মার্চ ২০২১ তারিখ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। এ সময় পর্যন্ত নগদের পোর্টাল উন্মুক্ত রাখা হবে।
প্রাথমিক মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৩,৫০০ কোটি টাকা উপবৃত্তি ও কিউস অ্যালাউন্সের জন্য ছাড় করা হয়েছে। এ টাকা থেকে প্রাথমিক পর্যায়ের নিয়মিত ১ কোটি ১০ লাখ শিক্ষার্থীর কিডস অ্যালাউন্স বাবদ প্রায় ১১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে। এছাড়া উপবৃত্তির তিন কিস্তির বকেয়া পরিশোধ করা হবে।
প্রতি কিস্তি (৩ মাস) উপবৃত্তি বিতরণ করতে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। সে হিসেবে প্রতি বছরে চার কিস্তিতে প্রয়োজন হয় ১,৮০০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, প্রাথমিকের সব শিক্ষার্থীকে জামা, জুতা কেনার জন্য এককালীন এক হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। এতে আরও ১১০০ কোটি টাকা লাগবে।
উল্লেখ্য, প্রাক-প্রাথমিকের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ৫০ টাকা হারে উপবৃত্তি দেওয়া হতো। এখন তা বাড়িয়ে ৭৫ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক স্তরের এক সন্তান বিশিষ্ট পরিবারের মাসিক উপবৃত্তি ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হয়েছে। দুই সন্তান বিশিষ্ট পরিবারের উপবৃত্তি ৩০০ টাকা, তিন সন্তান বিশিষ্ট পরিবারের উপবৃত্তি ৪০০ টাকা এবং চার সন্তান বিশিষ্ট পরিবারের উপবৃত্তি ৫০০ টাকা করা হয়েছে।