সাম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)’র বরাত দিয়ে একটি সংবাদ পরিবেশন করা হয়। এতে ১২টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮টি ক্যাম্পাসে ভর্তিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সতর্ক করেছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ সংবাদের এক পর্যায়ে চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বহদ্দারহাট (মহিলা শাখাকে) ইউজিসি কর্তৃক অননু্মোদিত বলে উল্লেখ করা হয়। এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হচ্ছেঃ ইতিপূর্বে কোন কোন পত্র-পত্রিকায় ইউজিসি’র বরাত দিয়ে এ ধরনের একটি খবর প্রকাশিত হলে আমরা ইউজিসি’র কাছে এর ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়েছি যে, বহদ্দারহাটে অবস্থিত মহিলাদের জন্য পাঠদানের যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তাকে কোন অবস্থায় ক্যাম্পাস বলা সমীচীন হবে না বরং ইহা হচ্ছে আইআইইউসি’র ফিমেল একাডেমিক বিল্ডিং। যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য যেভাবে লেখাপড়ার দ্বার উন্মুক্ত থাকবে তদ্রূপ ছাত্রীদের জন্যও দ্বার অবারিত থাকবে তাই স্বাভাবিক। যেহেতু আইআইইউসি শুরু থেকে ছাত্রীদের জন্য পৃথক শিক্ষা কাযক্রম পরিচালনা করে আসছে, তাই প্রথম দিকে আইআইইউসি এর অনুমোদিত ক্যাম্পাস ১৫৪/এ কলেজ রোড চট্টগ্রামের পাশেই আলাদা ভবন ভাড়া করে ছাত্রীদের জন্য পাঠদানের ব্যবস্থা করে। যখন কুমিরাতে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শুরু হয় তখন ছাত্রীদের জন্য একটি আলাদা একাডেমিক ভবন ও একটি হোস্টেল নির্মাণ করা হয়। কিন্ত ছাত্রীদেরকে সেখানে স্থানান্তরিত করার উদ্যোগ নেয়া হলে ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে চরম আপত্তি উত্থাপিত হয়। শহর থেকে ২০ কি. মি. দূরে পাহাড়ী এলাকায় নিরাপত্তাহীন পরিবেশে ছাত্রীদেরকে পাঠানো থেকে বিরত থাকার জন্য তাদের পক্ষ থেকে প্রবল চাপ প্রয়োগ করা হয়। অথচ ছাত্রীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকায় তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আইআইইউসি-তে ভর্তিচ্ছু ছাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে। ফলে আমরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মধ্যেই নিজস্ব জমির উপর ছাত্রীদের জন্য আলাদা একাডেমিক ভবন নির্মাণে বাধ্য হই। বর্তমানে বহদ্দারহাটে অবস্থিত ফিমেল একাডেমিক ভবনটি ১১০ কাঠা জমির উপর নির্মিতব্য একটি বিশ তলা ভবন। যার ছয় তলা ইতিমধ্যে নির্মিত হয়েছে এবং এতেও ৩ (তিন) সহস্রাধিক ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। ইহা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া মাত্র। বহদ্দারহাট ছাড়া আইআইইউসি’র অন্য কোথাও ছাত্রীদের পাঠদানের আর কোন ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া ছাত্রীদেরকে অভিন্ন পাঠ্যসূচি, সময়সূচী এবং প্রাশাসনিক কাঠামোতে পাঠদান করা হয়। একে একটি ভিন্ন ক্যাম্পাস বলার যৌক্তিকতা নেই বলে আমরা মনে করি। ছাত্রীদের জন্য আলাদাভাবে শিক্ষাঙ্গনকে অননু্মোদিত আখ্যায়িত করা হলে হাজার হাজার ছাত্রীরা নিরাপদ পরিবেশে শিক্ষালাভের মত মৌলিক অধিকার হতে বঞ্চিত হবে বলেও আমরা মনে করি। আশা করি শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও ইউজিসি সহ সকল শুভানুধ্যায়ীদের কাছে আমাদের ব্যাখ্যা যুক্তিযুক্ত ও গ্রহনযোগ্য হবে এবং সকল প্রকাল ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটবে।
রেজিস্ত্রার, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম
– বিজ্ঞপ্তি
Ad