আমার ঘরে আমার স্কুল : করোনার সময়ে টিভিতে পাঠদান

মাছুম বিল্লাহ - Masum Billah

আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওযার পর গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সর্বস্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জরুরি সেবা প্রদানকারী কিছু প্রতিষ্ঠান ছাড়া কোনো অফিস-আদালতেই নেই কর্মব্যস্ততা, নেই স্বাভাবিক পরিবেশ। একইভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ যাদের কলরবে মুখরিত হয়ে ওঠে তারা নেই প্রতিষ্ঠানে, সবাই যার যার বাড়িতে অবস্থান করছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের জন্য শিক্ষক হিসেবে আমাদের কী করণীয়, প্রতিষ্ঠানের কী করণীয় এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কী করণীয় তা নিয়ে ভাবা এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

আমাদের মনে রাখতে হবে, একজন শিক্ষক হিসেবে আমার দায়িত্ব শুধু শ্রেণিকক্ষে ক্লাস পরিচালনা করা আর খাতা দেখাই নয়। যে কোনো পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা। বর্তমান এই অস্থির সময়েও আমাদের উচিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে চিন্তা করা এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া, যাতে তারা তাদের এই সময়ের একটি বড় অংশ একাডেমিক কার্যাবলীতে নিয়োজিত রাখতে পারে।

১লা এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কবে নাগাদ খোলা হবে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছে না। এই অবস্থায় কি হবে প্রাইমারি থেকে উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের? সব স্তর মিলিয়ে দেশে প্রায় পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী রয়েছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে তাদের কোটি কোটি ঘণ্টা কি আমরা এমনিতেই নষ্ট হতে দেব? দেয়া উচিত কী?

২২ মার্চ থেকে দেশের প্রথম সারির ১৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৬টি পদ্ধতিতে ভার্চুয়ালি ক্লাস নিচ্ছে। ধীরে ধীরে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনমুখী হবে বলে জানা গেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন বর্তমানে আমাদের পরিশ্রম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। বেশ কয়েকটি পদ্ধতিতে ভার্চুয়াল ক্লাস নেয়ার পদ্ধতি থাকলেও ইউটিউব লাইভ, ফেসবুক লাইভ, গুগল ক্লাসরুম, মাইক্রোসফট টিম, জুম এবং কোর্সেরা এই ছয়টি পদ্ধতির মধ্যে দু-একটির ব্যবহার ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এসব প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্লাসের লেকচার শিট আপলোড করা হবে। সেখানেও শিক্ষার্থীদের বাসার কাজ দেয়া হবে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো গুগল ক্লাসরুম। অনেক শিক্ষকই এখন গুগল ক্লাসরুম পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্লাস নিচেছন। গুগল স্যুটে নিবন্ধন করে নির্ধারিত কোড দিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করতে পারবে ওই ক্লাসে। একটি কোর্সে অসংখ্য ক্লাসের পাশাপাশি ২০ জন শিক্ষক তাদের ক্লাসে যুক্ত করতে পারেন। অ্যাসাইনমেন্টের জন্য গুগুল ফরম, গুগল ডক, গুগল ড্রাইভ ও ইউটিউব ভিডিও যুক্ত করার সুযোগ থাকছে। ক্লাসরুমে থেকে যাওয়ার পর ক্লাসের ভিডিওগুলো পরেও দেখা যাবে। শুধু কম্পিউটার নয়, যে কোনো ডিভাইস থেকে শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নিতে পারবে। এই অনিশ্চিত বন্ধের মধ্যে ইউটিউব হয়ে উঠেছে অনলাইন ক্লাসের নতুন প্লাটফর্ম।

ফেসবুকে ক্লাসরুম বানিয়ে কাজে লাগাচ্ছেন অনেকেই। কোর্সভিত্তিক আলাদা আলাদা গ্রুপে লাইভ ক্লাস নেয়া হচ্ছে। সেখানে ডকুমেন্ট, প্রেজেন্টেশন, নোটস বিনিময় ছাড়াও লাইভ ক্লাস চলাকালে শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যার কথা জানাতে পারে। ঠিক ওই সময়ে ক্লাসে উপস্থিত না থাকতে পারলেও পরে গ্রুপে ভিডিও হিসেবে থেকে যাবে এই লাইভ ক্লাসগুলো।

ভিডিও শেয়ারিং ভিত্তিক সবচেয়ে বড় সাইট হচ্ছে ইউটিউটব ব্যবহার। নির্ধারিত চ্যানেলে শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক ক্লাসের ভিডিও আপলোড করা হয়। সেই ভিডিওতে প্রাইভেট অপশন চালু করে শুধু নির্ধারিত শিক্ষার্থীদের দেখানো হয়। আবার একবারে সব ভিডিও আপলোড করে কোর্সে নির্ধারিত সময়ে ভিডিও প্রিমিয়ার করা যায়।

কোর্সোরা হচেছ নির্ধারিত ফির মাধ্যমে বিশ্বের নামিদামি শিক্ষকদের ক্লাসগুলো পাওয়ার ব্যবস্থা। কিন্তু কোভিড-১৯ বা করোনা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার পর এই সময়ের শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে ৪০০ বিষয়ে তিন হাজার ৮০০টি কোর্স বিনা মূল্যে দিচ্ছে কোর্সেরা। ওই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা বাছাই করা যেসব কোর্সগুলোর মান তুলনামূলক ভালো সেই ভিডিও ক্লাসের অনলাইনের মাধ্যমে পড়াচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

জুম ও মাইক্রোসফট টিম বিভিন্ন অফিসের টিমভিত্তিক কাজে ব্যবহার করা হলেও এখন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাস নেয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করছেন। এসব পদ্ধতিতে শিক্ষকরা দিনের শিট নিয়ে আলোচনা করছেন। সেখানে কোনো অংশ বুঝতে সমস্যা হলে সরাসরি ভিডিও ক্লাসে থাকা শিক্ষার্থী লাইভ প্রশ্ন, অনুপস্থিত শিক্ষার্থীরা পরবর্তী সময়ে কমেন্টের অপশনে আলোচনা করার সুযোগ পাচ্ছে। প্রতিটি লেকচারের ওপর নেয়া ক্লাসগুলো ভিডিও রেকর্ড করে আপলোড করে দেয়া যাবে। ফলে ওই সময় কোনো শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলেও পরে ভিডিও টিউটরিয়েল ও লেকচার দেখতে পারবে। সেখানে তার কোনো সমস্যা থাকলে কমেন্ট লিখতে পারবে এবং শিক্ষক সেটির উত্তর দিতে পারবেন। একই সঙ্গে পরের দিনের লেকচারগুলো ওয়েবসাইটে দিয়ে দিবেন। ওয়েবসাইট ভিত্তিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেকচার প্রকাশ করার ব্যবস্থাও আছে।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট কিছু লিংক থাকবে যেখানে ক্লিক করেই একজন শিক্ষার্থী তার প্রয়োজনীয় লেকচার ও ভিডিওগুলো পেয়ে যাবে। তার সুবিধামতো সময় এগুলো দেখে একজন শিক্ষার্থী লেকচারগুলো পড়তে পারবে। কিছু কিছু ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ও এগুলোর দু’একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের টাচে থাকছে।

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এভাবে তাদের একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার অবস্থার মধ্যে আছে এবং কেই কেউ জোরেশোরেই শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন দুই হাজারের বেশি কলেজের বিরাট অঙ্কের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার কি হবে? এ নিয়ে কোনো চিন্তা-ভাবনা কি কর্তৃপক্ষের আছে? তেমন কিছু লক্ষ করছি না। তারা কি প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার বাইরে থেকে যাবে এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে? সেটি কি উচিত হবে?

এ তো গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা। আমাদের মাধ্যমিক, প্রাইমারি এবং প্রি-প্রাইমারি শিক্ষার্থীদের কি হবে? মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে বাংলাদেশ সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে রেকর্ডিং করা ক্লাস প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে জড়িত ও ব্যস্ত রাখতে এই নতুন উদ্যোগ। এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। এক্সেস টু ইনফরমেশন (এ টু আই) প্রকল্পের সহযোগিতায় এ কার্যক্রম চলবে। এর সাথে ব্র্যাক শিক্ষাও জড়িত আছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সেরা শিক্ষকদের ক্লাসগুলো রেকডিং করে সংসদ টিভির মাধ্যমে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই ক্লাসগুলো প্রচার করা হবে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিদিন ৩৫টি ক্লাস প্রচার করা হবে। মাউশি তথা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।

সব কাজেরই কিছু সুবিধা ও কিছু অসুবিধা থাকবে এবং আছে। এটিও তেমন। যেমন এই ক্লাসগুলো শুধুমাত্র সংসদ টেলিভিশন চ্যানেলে দেখানো হবে অর্থাৎ দেশের বিশাল এক অংশের শিক্ষার্থীদের এর আওতায় আনা যাবে। তবে, শ্রেণিকক্ষের ক্লাস পরিচালনার বিকল্প এটি কোনোভাবেই নয়। এখানে শিক্ষার্থীরা কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না। তবে, ক্লাসুগলো এ টু আই আই পরিচালিত ‘কিশোর বাতায়নে’ থাকবে। শিক্ষার্থী অন্য যে কোনো সময়ে ক্লাসটি দেখে তার কমেন্ট লিখতে পারবে এবং শিক্ষক তার উত্তরও দেবেন। উত্তর অবশ্য সাথে সাথে নয়, পরে দেয়া হবে যা শিক্ষার্থী আবার দেখতে পারবে। তাছাড়া প্রতিটি ক্লাস বিশ মিনিটের। শিক্ষক যেহেতু শিক্ষার্থীদের কোনো কাজ দিয়ে দেখতে পারবেন না তাই ক্লাস বিশ মিনিটের করা হয়েছে। এসব প্রতিবন্ধকতা থাকবে, তারপরেও আমরা চাইবো যে, শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তত এই কাজটি চলুক।

আমরা যে কাজই করি না কেন তার পক্ষে ও বিপক্ষে কথা বলার লোক থাকবেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে যে কাজটি শুরু হয়েছে তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ও কঠিন। এই সময়ে কোনো শিক্ষক ঘরের বাইরে আসতে চাচ্ছেন না, আসা ঠিকও নয়। তাহলে ক্লাসগুলো পরিচালনা করবেন কারা? আর শিক্ষকরা তো সব এক জায়গায় নেই, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন যাদেরকে সরকারি বিভিন্ন প্রজেক্ট, এ টু আই, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচি পটেনশিয়াল টিচার হিসেবে, প্রশিক্ষক হিসেব তৈরি করেছে। তারা তো এই সময়ে ঢাকায় আসতে পারছেন না। তাই ঢাকায় যেসব শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছে তাদের দ্বারাই ক্লাসগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে। অথচ প্রতিদিন ৩৫টি করে ক্লাস পরিচালনা করা হবে। এতগুলো ক্লাস কারা করাবেন? যারা এই সময়ে সাড়া দিয়ে এর সঙ্গে যারা যুক্ত হয়েছেন তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। কাজেই ক্লাসগুলো যখন টিভিতে দেখানো হবে নিশ্চয়ই সেখানে অনেক ধরনের ফিডব্যাক থাকবে, মতামত থাকবে। যাদেরই মতামত থাকুক না কেন, আপনারা তা জানাতে পারেন লিখে। শুধু সমালোচনার জন্য সমালোচনা নয়। আমি নিজে বসে দুটো স্টুডিওতে অনেকগুলো রেকডিং দেখেছি। অনেক শিক্ষকই টিভি ক্যামেরা দেখলে ঘাবড়ে যান, এটি স্বাভাবিক। ফলে, তাদের স্বাভাবিক ক্লাস পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধা পেতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কিছু কিছু স্টুডিওতে বিশেষ করে ক্যামব্রিয়ান স্কুল ও কলেজের স্টুডিওতে রয়েছে স্মার্ট বোর্ড যার ব্যবহার অনেক শিক্ষকই জানেন না। প্রথম প্রথম তা ব্যবহার করতে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। এসব কারণে ক্লাসগুলোতে অনেক ত্রুটি থাকবে, তাই বলে আমরা শুধু সমালোচনা যেন না করি।

কিশোর বয়সী শিক্ষার্থীদের সব সময় কোনো না কোন কাজ বা খেলাধুলায় ব্যস্ত রাখতে হয়। একটি প্রবাদ আছে ‘অলস মস্তিষ্ক শয়তানের বাসা।’ তাই তাদরেকে ব্যস্ত রাখতেই হবে। স্বাভাবিক সময়ে তারা বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতো, বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতো, ক্লাস করতো, খেলাধুলা করতো, অনেকে প্রাইভেট পড়তো , বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি যেত। বর্তমানে এসব কাজ যখন বন্ধ তখন তাদের মাথায় ভর করবে দুনিয়ার যত আজে বাজে চিন্তা, এটি স্বাভাবিক। সেগুলো থেকেও তাদের ফিরিয়ে রাখার এটি একটি পদ্ধতি। আর শিশুরা তো শুধু শুধু কোনোভাবেই বসে থাকতে পাওে না, তাদের কিছু না কিছু করা চাই। এটি চাইল্ড সাইকোলজির অংশ।

আমরা আশা করি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও এই কঠিন পরিস্থিতিতে ছোট সোনামণিদের জন্য বাস্তবধর্মী এবং ফলপ্রসূ কিছু করবে। যেমন-শিক্ষার্থীদের কিছু গল্পের বই পড়তে দিয়ে, কিছু লিখতে দিয়ে শিক্ষক হয়তো মোবাইলে (বাবা-মা’য়ের মোবাইলের মাধ্যমে) শিশু শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে পারেন এবং দু’ চারটা হালকা প্রশ্নের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন সে কোন গল্পটি পড়েছে, কিংবা পড়েনি, না পড়লে পড়তে বলতে পারেন। শিক্ষক ফোন দিলে শিক্ষার্থী অবশ্যই উৎফুল্ল হবে এবং কিছু করার প্রেরণা পাবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও উপায় খুঁজছে কীভাবে প্রাথমিকের ছোট বাচ্চাদের একাডেমিক টাচে রাখা যায়। জানা যায়, প্রাথমিকের এক কোটি ৪০ লাখ বাচ্চাদের একাডেমিক টাচে রাখা ছাড়াও তাদের মায়েদের কাছে এসএমএসের মাধ্যমে করোনার সতর্কতামূলক বার্তা পৌঁছানোর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। আমরা অচিরেই কিছু দেখতে চাই।

লেখক : মাছুম বিল্লাহ, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত সাবেক ক্যাডেট কলেজ ও রাজউক কলেজ শিক্ষক।