ঘূর্ণিঝড় মোচা আপডেট, Cyclone mocha / মোচা / মোখা অর্থ কি? কোথায় আঘাত হানবে? এসব ছাড়াও দরকারি বিভিন্ন তথ্য নিয়ে এই পোস্টে হালনাগাদ তথ্য জানানো হয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গপোসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থিত তীব্র ঘূর্ণিঝড় মোখা কিছুটা উত্তরে অগ্রসর হয়েছে। এবং শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হয়েছে। এটি ১১ মে গভীর রাত ১১ টা বেজে ৪০ মিনিটে মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১০৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিলো। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১০৭৮ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিলো। কক্সবাজার থেকে ৯২০কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিলো। এটি আরও জোরদার হয়ে উত্তর উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতেপারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটার এর ভেতরে বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ ঘন্টায় ১০৫ কিলোমিটার যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর ঐ স্থানে বেশ উত্তাল আছে। এটি আজ রাতে ক্যাটাগরি ১ শক্তিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হতেপারে। এটি উপযুক্ত পরিবেশ পেলে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হতেপারে।
সিস্টেম টি বাংলাদেশ উপকূল থেকে এখনও অনেক দুরে থাকায় এর কোন প্রভাব এখনও দেশের উপকূলে পড়েনি। তবে আগামী ১৩ ই মে থেকে এর প্রভাব পড়তেপারে। তবে কোন মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলার যেন কোনভাবেই এইসময় গভীর সাগরে যাওয়ার জন্য বের না হয় তার জন্য বিশেষভাবে জানাচ্ছি।
তবে ১২ মে ২০২৩ তারিখ থেকে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের আকাশ আংশিক মেঘলা হয়ে যাবে।
সিস্টেম টি প্রাথমিকভাবে উত্তর দিকে অগ্রসর হতেপারে, এবং পরবর্তীতে উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতেপারে।
এটি ক্যাটাগরি ৩ বা ৪ ক্ষমতাসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হতেপারে।
দেশের চট্টগ্রাম উপকূলে যারা আছেন তারা আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিয়ে রাখবেন। একটা কথা বলে রাখা ভালো, সেটা হলো অনেকে বলছে ঘূর্ণিঝড় টি সরাসরি বার্মায় আঘাত করবে, সো, চট্টগ্রাম সতর্কতা অবলম্বন করার দরকার নেই। আমি তাদের সাথে একমত নই। কারণ, চট্টগ্রাম এর কেউ সতর্ক হলোনা, কিন্তু ঘূর্ণিঝড় টি হটাৎ গতিপথ পরিবর্তন করে আমাদের আশঙ্কা অনুযায়ী চট্টগ্রাম আঘাত করলো তাহলে কি হবে?
যাহোক সতর্কতা গ্রহণ করলে বিপদ না আসলেও ক্ষতি হবেনা, কিন্তু সতর্ক হলাম না আর বিপদ হটাৎ চলে আসলো তাহলে তো মহা বিপদ। একটা ঘূর্ণিঝড় এর ডায়ামিটার অনেক বড় হয়, ফলাফল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র থেকে কয়েকশত কিলোমিটার দুরের এলাকায়ও ব্যাপক ক্ষতি হতেপারে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে আগামী ১৩ ই মে থেকে ১৬ ই মে এর ভেতরে,চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতেপারে। এইসকল এলাকায় গড়ে ১০০ থেকে ৩৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতেপেরে। এখানে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ বিভাগ ও খুলনা বিভাগ অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।
ঘূর্ণিঝড় মোখা সরাসরি দেশের চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত করলে, আঘাত করা স্থানে ১২ থেকে ১৮ ফুট উচ্চ বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে আক্রান্ত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় টি চট্টগ্রাম আঘাত করলে, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভয়াবহ পাহারধ্বস এর আশংকা করা যায়।
চিত্রে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার দৃশ্য ও স্থান দেওয়া আছে, এখান থেকে কিছুটা হেরফের হতেপারে।
সূত্র : পারভেজ আহমেদ, Bangladesh Weather Observation Team (BWOT)